আবোল তাবোল ২৮
এক। আজব এই জগতে
একি হলো আজ, আজব এই জগতে
চোখের সামনে মরে মানুষ হা-ভাতে;
হৃদয় সকল জানতাম আলোতে ভরা
আর নেই সে আলো ইটপাথরে ঘেরা।
দুষ্টু রিপুর কবলেও বন্দী যেন মানুষ
তাই যে ছিঁড়াছিঁড়ি খুনাখুনি অসন্তোষ;
বুক ফাটা কান্না পাশবিক অত্যাচারে
চারিদিকে জ্বলছে আগুন দুর্ব্যবহারে।
দুই। দীপ্ত হাসি
দ্যাখি না কারো মুখে আর দীপ্ত হাসি
যথাতথা দুর্নীতির ছোবল রাশি রাশি।
জানতাম, সবার উপরে মানুষই সত্য
কই আর মনুষ্যত্ব, শুধু দ্যাখি পশুত্ব।
তিন। রচিত কানন
ঝরে গেছে মন মানস অতলে নীরবে
কখনো কি আর স্বপ্নরা জেগে উঠবে ?
প্রেম মমতার পথ ধরে হাঁটবে আবার
নবীনেরা পাবে দিশা ফিরে দাঁড়াবার।
যে মাতৃভূমি আমাদেরই রচিত কানন
পুষ্প নেই সুবাস নেই যেন নিরস বন;
শুধু ঝগড়া বিবাদ রক্ত ঝরা সারাক্ষণ
কে তবে বড়, যুদ্ধ ঔদ্ধত্য আস্ফালন।
ছন্দের ছোট খাটো মিল আছে এমন লিখা পড়লেও আমি ধন্য হয়ে যাই।
জানিনা কেন … ছন্দ বা পদ্য আমার কাছে ভালো লাগে। আমার দুর্বলতা থাকে।
সেই ভালো লাগার নিক্তিতে আপনার লিখা আলবৎ উৎরে যায় মি. সাইদুর রহমান।