বাড়িতে আগে দেখেনি তাকে,
সে কেগো মা, জিজ্ঞাসি মাকে।
এ কি, মানুষের নাম, ‘খড়ি’ ?
তোর কি তাতে, জ্বালায় মরি।
মা যে বিরক্ত, করি প্রস্থান,
ভাবি, আমারই নেই জ্ঞান।
চাঁদ দেখি, বসি জানালেতে,
মা পাঠালে দুধ, খড়ির হাতে।
খাবে এ তুমি, বলি আমি হেসে,
মুখখানি তার. হলো ফ্যাকাসে।
জোর করে যে খাইয়েছি কিছু,
খড়ি তাকায়, বার বার পিছু।
পড়া করে কচিরা, দিই উঁকি,
দিদি করেন যে তদারকি;
খড়িও আছে বসি, ঐ কোণে,
কার কি লাগে, ওই তো আনে।
খড়িও পড়ুক , সেও তো কচি,
দিদির সে আঁখি, পালালে বাঁচি।
পুতুলের বিয়ে, আজ বিকেলে,
নিমন্ত্রণ পেয়ে, এলাম চলে।
খড়ি নেই, খুঁজে পাই শেষে,
রান্না ঘরে বসে, মা’র রোষে।
খড়িকে ছাড় মা, আজ বিয়ে,
মা’র শান্তি,মোর কান মলে।
পরিবেশ যেন হলো থমথম,
খড়ির হাসি, দেখি এই প্রথম;
খুকু বলে, মোর কানে কানে.
বক মোরে, দাদুকে না কেনে ?
বিত্তের এক গাড়ির কত যে সেবা,
কচি সোনা খড়ির মূল্য দিল কেবা।
এক রত্তি অবুঝ সে কোমল হৃদয়ে
না জানি কত ব্যথা আছে লুকিয়ে।
লিখায় সমাজের প্রতি যে বার্তা সেইটি যথেষ্ঠ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।
অভিনন্দন প্রিয় কবি মি. সাইদুর রহমান। শুভেচ্ছা।