শব্দ সন্ন্যাস
একদিন সব শেষ হয়ে যায়
সম্পর্ক শব্দের, কবিতার।
সেই শব্দগাছ আর নেই
যেখান থেকে টুপটাপ
ঝরে পড়তো শব্দেরা
মনের অলিন্দে।
সেখানে এখন শুধু নীরবতার নদী
বয়ে চলেছে পলিময় মন্থর গতিপথে।
মাঝে মাঝে ভয়ংকর দাবানল
শুকনো গাছগুলোকে জ্বালিয়ে
নিজের আত্মাকে সতেজ করে নিচ্ছে।
দীর্ঘশ্বাস ক্রমশ বড় হয়
নীলরঙা কষ্টগুলো জাগিয়ে
রাখে, রাতচরা পাখিদের মতো।
করাতের মতো তীক্ষ্ণভাবে কেটে
স্মৃতিগুলোকে মসৃন করে,
নিজের কোল পেতে নিজেকেই ঘুম পাড়াই।
শব্দের ঝরে যাওয়া একটা
অমানবিক স্তন্যবঞ্চনার ব্যাথা,
এক বন্দীদশা, যা নীরবতায়
বুকের ওপর ভেঙে পড়া আকাশ।
তবুও কিছু অখন্ড থাকে।
জল,গাছ, পাখি, আলো, বাতাস।
একটি ক্রাচহীন, শব্দের,
সুরের ঠাসবুনোটে পশমী কবিতা উঁকি
দেয় মাঝে মাঝে মনের শার্সিতে।
ঝলমলে সাতটা রঙের রেণুর মতো
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে।
রাত্রির শিরায় শিরায় আঘাত করে,
হারিয়ে যাওয়া শব্দদের তন্ন তন্ন করে
খুঁজে, সকালে আলোর দিকে ফেরা।
এভাবেই চলুক আত্মাকে জ্বালিয়ে অন্তহীন নির্বাসিত সন্ন্যাস।
অহংকারী হুকগুলোয় ঝুলে থাকুক রক্তাক্ত মাংস, মজ্জা, বুদ্বুদের জীবন।
শব্দেরা যতই নিষ্ঠুর হোক, ভার্টিগোর
দুর্দান্ত শক্তিতে দূরে হারাতে যাক;
অস্ফুট, অস্বচ্ছ, তুলতুলে, সদ্যোজাত
শিশুর মতো কবিতার আশ্রমের খোঁজে
অনন্ত নক্ষত্র সাক্ষী থাকুক প্রারব্ধ কর্মের।
অনেক ভালো লাগল দিদি
অনেক ধন্যবাদ
এভাবেই চলুক আত্মাকে জ্বালিয়ে অন্তহীন নির্বাসিত সন্ন্যাস।
শুভেচ্ছা অফুরান বন্ধু
শব্দের ঝরে যাওয়া একটা
অমানবিক স্তন্যবঞ্চনার ব্যাথা,
এক বন্দীদশা, যা নীরবতায়
বুকের ওপর ভেঙে পড়া আকাশ।
তবুও কিছু অখন্ড থাকে।
জল,গাছ, পাখি, আলো, বাতাস।
বুকের মাঝে আকাশ ভেঙ্গে
জল জমে যায় চোখে
অখন্ড সুখ ধূলিকনা
ঘোরে মত্তলোকে।
ঝরে যাওয়া শব্দ বুনন
হারিয়ে যাওয়াই ভালো
তা না হলে শেষ প্রহরে
চোখের আলো আঁধার হলে
হালকা স্মৃতি মিলিয়ে যাবে
শূন্য কোন বুকের খাঁচা
দুলবে ঘড়ের কোনে।….
সুন্দর লেখা।
শুভকামনা থাকলো
অসাধারণ বললেন