সাধারণ মেয়ে মালতির মতই অতি সাধারণ আমি। এতোটাই সাধারণ যে সময়ের নদী তিরতির করে বয়ে, পায়ের পাতার নীচে আকুল হয়ে দাঁড়ায়। তখন আমার ঘরে ফেরার ইচ্ছেরা সব জেগে ওঠে। যে ঘর আছে আমার মনের ছায়ায়, যে ঘর আছে শতেক সময় তীরে।
অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে আমি। একা একাই এক বুক মাটি কেটে রাখি,আর রাখি এক ফালি ফলন্ত জমি,শীতে, ফাগুনের আগেই, যে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছে মান্দাসে। অসংখ্য অবজ্ঞার পরে,পড়ে থাকে নির্ভার আলো, আলগোছে মন ভুলে, থেমে যাই নির্জন এক দ্বীপে।
আমি অতি সাধারণ মেয়ে। লোকালয় থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখি, রাত জাগা তারাদের সাথে চলে নিজেকে চেনার পালা।মাঝে মাঝে কার্ণিশে দাঁড়িয়ে, হাওয়ায় মাপি মুক্তির দৈর্ঘ্য,আলতো করে ছড়িয়ে দিয়ে হাত, কিন্তু ডানাজোড়া যে ছিঁড়েই গেছে কবে।
অত্যন্ত সাধারণ আমি। পৃথিবীর বুক থেক জলছবি জমা হতে থাকে। অভিমান হাত রাখে হাতে, নিশ্চুপ মন আরোও চুপচাপ হয়। ছাদ ঘেরা পাঁচিলের আগাছায়, জমে চলে আজন্ম অনুভূতি, রাত কেড়ে রাত্রি নেমে আসে, হিম হিম কুয়াশায় ভিজে যায় যত ইচ্ছে কুসুম।
আমি অতি সাধারণ মেয়ে। কিছুতেই আমি অসাধারণ হতে পারিনা।
(‘প্রেমিকের নাম আগুন ‘কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া)
এই সাধারণের মাঝেও আপনি অসাধারণ প্রিয় শব্দ যোদ্ধা রিয়া রিয়া। সহস্র শুভেচ্ছা।
আপনাকেয়ো শুভেচ্ছা প্রিয় বন্ধু। ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগল কাব্যিক লেখায়। অন্যরকম ছন্দ আছে প্রতি লাইনে। ভালো থাকুন।
খুব সুন্দর কাব্যিক লেখা
আমি অতি সাধারন মেয়ে। কিছুতেই আমি অসাধারন হতে পারিনা।
সাধারণ মেয়েরাই অনেক সময় অসাধারণ হয়ে উঠে।
খুব সুন্দর লেখেছিলেন আগে পড়িনি কেনো বুঝতে পারলাম কবি রিয়া দিদি
সব সময় ভাল থাকবেন