অচেনা পৃথিবী
আজ আবার নির্ঘুম রাত। গানে গানে কেটে যাচ্ছে আর সাথে প্রিয় উপন্যাস। পৃথিবী চলেছে নিজের গতিতে। নদীকে পৌঁছে দিতে সাগরে। আজ তবে পৃথিবীর জরিমানা হোক। কেন সে সব নদীর হাত নিয়ে, সাগরের হাতে দেয়? কেন সব মন চুরি করে মেঘ হয়ে উড়ে যায় আকাশে? আর কেনই বা ঘাসেদের সব রঙ চুঁইয়ে চুঁইয়ে ঢেলে দেয় শিশিরে? তাই আজ পৃথিবীর জরিমানা হোক।
দূরে কোন রাতপাখির ডানার আওয়াজ। উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকটা রাতে এসে মগজে ঘুরপাক খায় ভুলে যাওয়া কষ্টেরা। চলতে চলতে চেনা হয় আরেকটা অচেনা পথ। পুরনো পৃথিবীকে ঘিরে নেয় নতুন এক গান।
পৃথিবীর যত সব আবদার, দাবি কেড়ে নেওয়া হোক। সব তারা কেন আকাশের চুলে সাজায়? আর সব কষ্ট ভুলে গিয়ে কোন ফাঁকে মন খুঁড়ে, ভালোলাগা পুঁতে যায়? ঘাসেদের ফুলে ফুলে আলগোছে রামধনু কেন রং ছেপে দেয়? তাই আজ পৃথিবীর যত সব আবদার কেড়ে নেওয়া হোক।
চারিদিকে জলপাই আলোর মিছিলে শীতের আমেজ। আর রয়েছে নরম তুলোর বলের মতো আদুরে ইন্তি-বিন্তি বেড়াল ছানা। কুচিকুচি চোখ তুলে নিমেষে আদরের আবদার। ঘোলাটে দৃশ্যে দিন শুধু বেড়ে যায়। বড্ডো বেশি ভিড় যেন চারিদিক, নিঃশ্বাসে ভরে যায় বাতাস, উত্তাপ।
তবে পৃথিবীর মজলিশ বেঁধে দেওয়া হোক। রোজ কেন ভোর হলে পাখিদের কাকলিতে বাঁশিসুর ঢালা চাই? আকাশের কোণ ধরে রোজ রোজ কেন সোনালি রঙে আঁচল ছড়ায়? হাওয়ার কানে কানে বৃষ্টির ডাক-কেন লিখে দেয়? তাই আজ পৃথিবীর মজলিশে বাঁধা দেওয়া হোক।
ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসে, আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি হারে। মনে হয় এই বুঝি ফাঁকি দিয়ে এগিয়েছে অনেকটা পথ, মূহুর্তে ভুল ভাঙে। আরবার ফিরে আসা একই বিন্দুতে, বৃত্তের কেন্দ্রে। ব্যাসার্ধ ছোট থেকে বড় হয় অথবা বড় থেকে ছোট। লুকিয়ে রাখে সবটুকুই। এই লুকানো একলা পৃথিবীকে বুঝে নিক আবরে সবরে, গল্পে, গল্পে। যদিও গ্রহণের শেষে সবটুকু ক্ষয়।
পৃথিবীর সব ভালো মুঠো মুঠো ছাই হয়ে যাক। কেন রোজ ভোর পাখিদের পালক চিনে হাওয়ায় ভেসে আসে? মাঝে মাঝে চিনচিনে ব্যাথা হয়ে কেন তারা জ্বালে রোজ সাঁঝ আকাশে? কেন জলপরী ডুব দেয় সাগরের ঢেউ ঘেঁষে? তাই আজ পৃথিবীর সব ভালো মুঠো মুঠো ছাই হয়ে যাক।
পৃথিবী ক্লান্ত হয়ে স্থির হয়ে থাক। কেন আকাশ ধুয়ে জল নামে পৃথিবীর চোখ। চোয়ালের কোনা ঘেঁষে বড় বেশি জেদ স্থির হয়। মগজের কোষে কোষে জন্ম নেয় মেঘ। জন্মান্তরের দোষে পুড়ে যায় শরীর। সন্ধ্যের নরম আলোয় চোখে পথে নামে সন্ন্যাসি গৈরিক আভা। পৃথিবী ক্লান্ত হয়।আজ তাই পৃথিবী পথ ভুলে যাক।
পৃথিবীর সব চলা তুলে এনেছেন অনেক যত্নে, অনেক গভীর থেকে, অনেক যাতনার আগুন জ্বেলে। কখন পৃথিবী জলে ভাসবে দিদিভাই?
ভালবাসা অবিরত।
অনেক ধন্যবাদ খালিদ দা। ০৬ ঘন্টা পর প্রথম মন্তব্য পেয়েছি কম কিসে।
এমনটাই তো পৃথিবীর নিয়ম । পাহাড়কে ছুঁইয়েছে মেঘ। সাগরকে ছুঁইয়ে যায় নদী।
শ্রদ্বেয় রিয়া দিদি, আপনার লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। আশা করি এমন আরও পরতে পাড়বো।
নিশ্চয়ই পড়তে পারবেন দাদা। ভালো থাকুন। প্রণাম।
দারুণ লিখেছেন। পড়লাম আর ভাবলাম, আসলেই তো তাই !
"আকাশের কোণ ধরে রোজ রোজ কেন সোনালি রঙে আঁচল ছড়ায়? হাওয়ার কানে কানে বৃষ্টির ডাক-কেন লিখে দেয়"?
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ মিড দা। আশা করবো ভাল আছেন।
আজ তবে পৃথিবীর জরিমানা হোক। কেন সে সব নদীর হাত নিয়ে, সাগরের হাতে দেয়? কেন সব মন চুরি করে মেঘ হয়ে উড়ে যায় আকাশে? আর কেনই বা ঘাসেদের সব রঙ চুঁইয়ে চুঁইয়ে ঢেলে দেয় শিশিরে?
* আপনার লেখা দেখলে বিমুগ্ধ পাঠক হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় দেখিনা।
শারদীয় শুভেচ্ছা সুপ্রিয় কবি দি……



ধন্যবাদ কবি দা।
'পৃথিবী ক্লান্ত হয়ে স্থির হয়ে থাক। কেন আকাশ ধুয়ে জল নামে পৃথিবীর চোখ।'
জীবনকে খুব কাছ থেকে না দেখা গেলে এমন করে লিখা প্রায় অসম্ভব।
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
এতো পদ্যের মতই মনে হলো।