বন্ধ ঘরের কাব্য
দেখেছো কখনও শব্দের চোখে ফোঁটা ফোঁটা জল জমতে ?
এক ফোঁটা-দু ফোঁটা -তিন ফোঁটা,
টুপ টুপ করে ঝরে পড়তে চিবুক বেয়ে,
আঙুল ছুঁয়ে খাতার পাতায় মনের খাতায়?
কালবৈশাখী ঝড়ে যখন ধুলো ওড়ে,
তখন কেন চোখ, মুখ রুমালে ঢাকো?
সাহস করে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে দেখো একবার,
প্রশান্ত মহাসাগরের অজানা দ্বীপের গন্ধ এসে ভিড়বে আঙিনায়।
কখনো কখনো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখো।
দেখবে তোমার ছাদের কার্নিশে পায়রাদের বকম বকম
কতগল্প শোনাবে তারা তোমায় গত রাতের মেঘপরীদের।
তাদের ডানায় করে আনবে দেখো তোমার জন্য রাত শিশিরের জল।
বন্ধ ঘরে কখনো নিজের সাথে গল্প করে দেখো।
নিজের ভুল গুলোকে অকপটে স্বীকার করে দেখো।
ভালবাসার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ মেলে ধরে দেখো।
যেনো,যাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা যায়,
তার কাছেই বারংবার নতজানু হওয়া যায়।
দেখবে নতুন করে ভালোবাসাকে ভালোবেসে ফেলবে।
মনখারাপের দিনগুলোতে নিঃশব্দে কখনও বালিশে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছো ?
একা একা গভীর রাতে ছাদে হেঁটেছ কখন?
দেখবে কত তাড়াতাড়ি সব কিছু আলোকময় হয়ে ওঠে।
কত তাড়াতাড়ি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে নতুন করে।
মাঝে মাঝে গোধূলিবেলায় হেঁটে যেও যেকোন অজানা রাস্তা ধরে।
ছায়াদের সাথে নিয়ে আমিও হাঁটি তোমার সঙ্গে তোমার ছায়া হয়ে।
বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজেছো?
ভিজে দেখো একবার,
কিংবা ছেলেবেলার মতো করে
কাগজের নৌকো বানিয়ে
একটা একটা করে ভাসিয়ে দিও
সেই বৃষ্টির জমা জলে।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে কবিতার কান্না শুনেছ কখন?
আজ না হয় আমার এই মনটাকে
শরীর থেকে ব্যবচ্ছেদ করে দেখো
তুমি আর তুমিই থাকবে সেই ভাগাভাগিতে।
আর আমি? আমি তো আছি তোমার মন জুড়ে।
আজ তবে কবিতারই ব্যবচ্ছেদ করা হোক,
একেবারেই নিরপেক্ষ ব্যবচ্ছেদ।
"সাহস করে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে দেখো একবার,
প্রশান্ত মহাসাগরের অজানা দ্বীপের গন্ধ এসে ভিড়বে আঙিনায়।"
___ অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া রিয়া। লিখাটি বিশদ এবং সুন্দর নিঃসন্দেহে।
সুন্দর নিঃসন্দেহে শব্দদ্বয় আমাকে অনুপ্রাণিত করবে প্রিয় বন্ধু।
কিংবা ছেলেবেলার মতো করে
কাগজের নৌকো বানিয়ে
একটা একটা করে ভাসিয়ে দিও
সেই বৃষ্টির জমা জলে।
* সুপ্রিয় কবি দি, নস্টালজিক হলেম…

শুভরাত্রি।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা। আপনার শুভেচ্ছায় অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ।
সহজ নিটোল লেখা। পবিত্রতায় মন ভরে উঠলো। শুভেচ্ছা নিন প্রিয় ব্লগার বন্ধু।
ধন্যবাদ অর্ক দা। শুভেচ্ছা জানুন।
বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজেছো?
ভিজে দেখো একবার,
কিংবা ছেলেবেলার মতো করে
কাগজের নৌকো বানিয়ে
একটা একটা করে ভাসিয়ে দিও
সেই বৃষ্টির জমা জলে।
সুন্দর অনুভুতি যেন ফিরে যাই সেই সব শৈশবে।পুরোটা কবিতাই অসাধারন।
সহস্র ধন্যবাদ মমি দা।
একা একা গভীর রাতে ছাদে হেঁটেছ কখন?
দেখবে কত তাড়াতাড়ি সব কিছু আলোকময় হয়ে ওঠে।
কত তাড়াতাড়ি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে নতুন করে।
মাঝে মাঝে গোধূলিবেলায় হেঁটে যেও যেকোন অজানা রাস্তা ধরে।
ছায়াদের সাথে নিয়ে আমিও হাঁটি তোমার সঙ্গে তোমার ছায়া হয়ে।
কবিতার এই লাইনগুলো নিঃসন্দেহে চমৎকার। আমার পড়ার ভুল হতে পারে, প্রায় প্রতি লাইনের শেষে দাঁড়ি দেয়াতে পাঠ করার সময় বেশ থেমে থেমে যেতে হয়েছে। এটা কি এইরকমই রিদমে?
শুভেচ্ছান্তে দিদিভাই
প্রথাগত'র বাইরে সামান্য অপচেষ্টা করলাম কবি জাহিদ দা।