আমার পৃথিবী
প্রকৃতিতে ফাগুনের জোয়ার এলেই,
আমার বেঁধে রাখা, লুকিয়ে রাখা প্রেম,
সমস্ত শিকল ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে চায়।
চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিতে চায় যত মন।
আর তখনই আমার সর্বক্ষণ কল্পনায় শান্ত থাকা
অনু পরমাণু গুলো খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসে।
দারুন বিদ্রোহে ঝড় তোলে, তছনছ করে দেয় সব।
আমার চোখে তখন পলাশের সমারোহ,
শরীরের উজান বেয়ে নামে লাভার স্রোত,
তুমুল বৃষ্টি আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
জেগে উঠি বৃষ্টি স্নাত হয়ে, বুকে তখন
ছলাৎ ছলাৎ, উথাল পাথাল ঢেউ।
তুফান তখন নিশ্বাস প্রশ্বাসে, শিরায় শিরায়।
গিরি গুহা উপচে পড়ছে ম্যাগমা প্রপাতে।
ধীর লয়ে বেজে চলেছে মোৎজার্ট, সোনাটা।
চারিদিকে থৈ থৈ ভিজে ভিজে পরাগ রেণু।
তারপর পৃথিবী ক্লান্ত হলে, রণক্লান্ত সময়ে,
ভেঙে যায় বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা,
অভিমানের যত বাঁধ, ভেসে যায় ফাগুন।
প্রচ্ছদ ছবি আর কবিতার নান্দনিকতায় মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া রিয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। এই লেখাটি অনেক পূর্বে একবার শব্দনীড়ে প্রকাশ করেছিলাম। আমি দুঃখিত যে, সে সময় বেশীর ভাগ মন্তব্য দাতার উত্তর আমি করতে পারিনি। প্রায়শ্চিত্য হিসেবে পুনরায় দিলাম।
ক্ষমা করুক সবাই। শুভেচ্ছা জানবেন।
সুন্দর উপস্থাপনা। কবিতা পাঠে হৃদয় ও মন আবেশিত হল। কবিতার ভাষা সহজ, সরল ও সাবলীল । শব্দ প্রয়োগ ও ভাষা ব্যবহার যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে কবিতায়। কবিতার গভীরে কবির ভাবনা অতি সুন্দরভাবে রূপায়িত হয়েছে। প্রিয়কবিকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থাকুন। সাথে থাকুন। জয়গুরু!
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই আপনাকেও কবি দা। ভালো থাকুন অনেক।
সুন্দর ভাবনা। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সাইয়িদ রফিকুল হক। আমার ব্লগে অনেককাল পর আপনাকে পেলাম। সুখি হলাম।
রিয়া রিয়া: আমার চোখে তখন পলাশের সমারোহ,
……………………
অভিমানের যত বাঁধ ,ভেসে যায় ফাগুন।
নান্দনিক উচ্চারণ কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছে শতভাগ।
এক রাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় কবি বন্ধু রিয়া দি'ভাই। শুভেচ্ছা নিন।
ধন্যবাদ কবি দি হাসনাহেনা রানু। ভালোবাসা নিন।
ভালো লিখেছেন কবি রিয়া চক্রবর্ত্তী।
ধন্যবাদ কবি শাকিলা তুবা দি।
অসাধারণ লিখেন আপনি।
ধন্যবাদ কবি মোঃ সাহারাজ হোসেন।
যেন প্রকৃতিকে পড়লাম এবং মনোজগতে তা কিভাবে আধিপত্য বিস্তার করে সেটা পড়লাম। প্রকৃতিকে গভীরভাবে অনুভব করতে না পারলে এমনভাবে লেখা যায়না।
কবি হিসেবে অনুভূতি প্রকাশে কবিতাটাতে আপনাকে প্রকৃতির মতোই উদার পেলাম। মিউজিকের “সোনাটা”র রুপ আমার জানা নাই; তবে কবিতা পড়ে ওটাকে কল্পনা করলাম!
মনকাড়া কবিতা দিদি!
ও জায়গাটা পাঠক কল্পনার জন্যই রেখে দিয়েছি মিড দা। আপাতত ধরে নিলেই হবে শব্দসম্ভার এর বিপরীত শব্দ শূন্যতা। ব্যাস।
জেগে উঠি বৃষ্টি স্নাত হয়ে, বুকে তখন
ছলাৎ ছলাৎ, উথাল পাথাল ঢেউ।
তুফান তখন নিশ্বাস প্রশ্বাসে, শিরায় শিরায়।
গিরি গুহা উপচে পড়ছে ম্যাগমা প্রপাতে।——-তাও আসে -না হলে যুগে যুগে অপেক্ষা করতে হত—-ভাল লাগর দিদি
অসংখ্য ধন্যবাদ কবি বাবু।
অসাধারণ কাব্য শৈলী………
ধন্যবাদ কবি দি।