ভালোবাসা, ভালো বাসা

325r

আমি চিরকাল গান পাগল মানুষ। কিশোরী বয়সে কোনও কোনও সুর চোখ ভেজাতো। তারপর নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, পলি পড়েছে। থমকে থেকেছে মন। অনেক ওঠা পড়ার পর পুরোনো আমি বদল হয়েও কোন এক ভোরে পুরোনো কোনো সুর আজও একই রকম ভিজিয়ে দেয় চোখ মন, তখন মনে হয় কোথাও কোনোখানে লুকিয়ে থেকে গেছে এক চিলতে আমার না বদলে যাওয়া আকাশ। চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে না-ফেরত আসা সময়। অন্য রকম হয়ে যায় দিন।

এইসব দিনের জন্য, সেই এক চিলতে না বদলে যাওয়া আমির জন্য বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। বেঁচে থাকাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে নতুন করে। বারেবারে ফিরে আসে ভালোবাসা এ শহরের আনাচ কানাচ ধরে, পাখির ডানায় ভর করে। অযত্নে বেড়ে ওঠা জংলা গাছেদের পাতায় পাতায় ফুলে ফুলে।

ভালোবেসো ভালোবাসা।

একটা বাড়ি ছিলো মনের অলিন্দে। সে বাড়িটার কোনো ছবি ছিলো না আজও নেই। শুধু অনেক ভালোবাসার খনি আঁকড়ে জড়িয়ে আছে সেই বাড়িটার সবখানে। উঠোন, ছাদ, বাগান, জানলায়, চিলেকোঠায়, সবখানে জমে আছে পরতে পরতে ভালোবাসা। ঠিক যেন রোদে শুকোতে দেওয়া মায়ের টক মিষ্টি আচারের মতো। সেই বাড়িটা যত্ন করে রেখে দিই মনের গোপন দেরাজে।

সেই বাড়িরটার বড্ড মন কেমন কেমন গন্ধ। দাদুর তৈরি মিঠে পানের মতোই মন কেমন গন্ধ। কোন কোন শীত শীত ভোরে ভালোবাসার টানে এ শহর উড়িয়ে আনে শীতের পরিযায়ী পাখি, ঘুম ভেঙে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে আনমনা মন।

ভালো থেকো ভালো বাসা।

2 thoughts on “ভালোবাসা, ভালো বাসা

  1. কোন কোন শীত শীত ভোরে ভালোবাসার টানে এ শহর উড়িয়ে আনে শীতের পরিযায়ী পাখি, ঘুম ভেঙে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে আনমনা মন।
    ভালো থেকো ভালো বাসা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।