জলছোঁয়া দিগন্তজুড়ে ফুটে ছিল পুষ্পিত ভোর,
গভীর সমুদ্রের বিশালতা কিছু অদেখা অস্পষ্ট অনুভূতি নিয়ে,
জলরাশির স্বচ্ছতা শুভ্র ফেনিল আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শামুক ও ঝিনুকের মধ্যবর্তিনী আমি,
জানিনা এই বিশাল সমুদ্রের বুকে নিজেকে সমর্পণ জরুরী ছিলো কিনা,
অথৈ জলের মাঝে কেবলই শূন্যতা
নশ্বরতার বুকফাটা নিঃশব্দ আত্মচিৎকার,
জানিনা আর কত আলোকবর্ষ পার হয়ে গেলে তাঁকে পাবো নিজের করে,
সমুদ্রের ঢেউ গুলো এসে ফিসফিসিয়ে কানে কানে বলে
এসো বিসর্জন দিয়ে যাও নোনা জলে
তোমার যত ব্যথা যত কষ্ট আমি সব শুষে নেব
ঢেউয়ের তরঙ্গে ভাসিয়ে দিও কষ্টের অশ্রুজল টলমল,
কেউ যদি এসে বুক পকেটে করে আমার নিঃশ্বাসটুকু নিয়ে যেতো
তখন তাঁর হৃদপিন্ড অনুভব করতে পারতো
ঐ বুক পকেটে রাখা নি:শ্বাস গুলো প্রতিনিয়ত তাঁকেই স্মরণ করছে…
.
— ফারজানা শারমিন
০৩ – ০৩ – ২০২১ ইং
প্রচ্ছদের ছবি আপনার এই লিখাটিকেও করেছে পূর্ণ। অভিনন্দন প্রিয় কবি মৌসুমী।
অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানবেন…………………..