ফারজানা শারমিন মৌসুমী এর সকল পোস্ট

প্রণয় কারাবাস….

ttyu

অন্তহীন শাস্তি বুকে নিয়ে বাঁচার নাম হলো জীবন,
অন্যকে উজার করে ভালোবাসলে নিজের ভাগ্যে শূন্য থাকাই স্বাভাবিক,
অদৃশ্য সম্মোহনী মায়ায় স্মৃতি গুলো যেন পুড়ছে নিরন্তর,
এমন কোন লিখিত চুক্তি ছিলোনা,
ছিলোনা এমন কোন বিশাল সম্পত্তি আমার,
কিংবা অদৃশ্য মোহের বাঁধন রুপ রঙের বাহার,
তা স্বত্ত্বেও জানিনা কেন তার চোখের গভীরে প্রেমের বিম্ব চিরদিনই উজ্জ্বল,
মায়াময় এই প্রণয় কারাবাসে দেহখানি নিষ্প্রাণ তবুও মন অভিলাষী পাখি কিন্তু পালক বিহীন
উড়ে যেতে চাইলেও বন্দী চিরদিন,
একাকীত্ব যদিও দুর্বিসহ তবুও মানিয়ে নিয়েছি বটে,
সীমাবদ্ধতার অনন্য তাতেই সর্ব শিখরে এই প্রেম,
মৃত্যুর ব্যঞ্জনা নিয়ে ভালোবাসারা ফিরে আসে বারংবার,
পারিনা ওই দায়বদ্ধতার দেয়ালটাকে টপকে যেতে,
গোলাপ কাঁটার বেষ্টনী ভেদ করতে গিয়ে
ঝরালাম অনাহুত রক্ত কত,
অন্তহীন শাস্তি বুকে নিয়ে বাঁচার নাম হলো জীবন………

.
— ফারজানা শারমিন
২৮ – ১২ – ২০২২ইং

পদ্মা সেতু ও দখিনের দুয়ার…

inbou

পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয় বাস্তব,
এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন দৃষ্টির সীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে,
পদ্মার তীর থেকে দেখা যাচ্ছে পিলারের দীর্ঘ সারি,
তার উপর একে একে বসানো হচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো সব মিলিয়ে প্রায় চার কিলোমিটার দৃশ্যমান।
পদ্মা সেতু শুধু রড, সিমেন্ট ও পাথরের সেতু নয়,
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৭ কোটি মানুষের আবেগ,
চ্যালেঞ্জকে জয় করার অদম্য স্পৃহা এবং আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি,
পদ্মার আকাশে দেখা দেয় কালো মেঘের ঘনঘটা,
সব বাঁধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ,
এতেই কেটে যায় কালো মেঘ,
দিগন্ত আলোকিত করে হেসে উঠে সূর্য,
সেতু নির্মাণের কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বপ্নের বীজ বোনা আর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে ধরা দিয়েছে।
প্রমত্তা পদ্মায় অবিস্মরণীয় স্বপ্ন জয়ের গল্প।
শত বাঁধা বিপত্তি, দেশী বিদেশি চক্রান্ত, উপহাস, গুজব, প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সত্যি হয়েছে কোটি মানুষের স্বপ্ন।
পদ্মাসেতু আজ আর কল্পনা নয়, প্রচণ্ড বাস্তব।
আর এই মহাযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, সততা ও কঠোর সংকল্পের কারণে।
বীর বাঙ্গালি ৭১-এ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে,
কেউ তা হেঁট করতে পারবে না।
সেতু যদি থাকে মনের সঙ্গে বাঁধা দূরত্ব সেথা হয় না কোন বাধা
কত শত যে স্বপ্ন বুনেছি পদ্মায় উড়বো পাখির মতোন,
অবশেষে সে স্বপ্ন হয়েছে পূরণ,
পদ্মা সেতুর আজ উদ্বোধন উন্মুক্ত হলো দখিনের দুয়ার………….

— ফারজানা শারমিন
২৫ – ০৬ – ২০২১ ইং

মধ্যবর্তিনী

1516023

জলছোঁয়া দিগন্তজুড়ে ফুটে ছিল পুষ্পিত ভোর,
গভীর সমুদ্রের বিশালতা কিছু অদেখা অস্পষ্ট অনুভূতি নিয়ে,
জলরাশির স্বচ্ছতা শুভ্র ফেনিল আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শামুক ও ঝিনুকের মধ্যবর্তিনী আমি,
জানিনা এই বিশাল সমুদ্রের বুকে নিজেকে সমর্পণ জরুরী ছিলো কিনা,
অথৈ জলের মাঝে কেবলই শূন্যতা
নশ্বরতার বুকফাটা নিঃশব্দ আত্মচিৎকার,
জানিনা আর কত আলোকবর্ষ পার হয়ে গেলে তাঁকে পাবো নিজের করে,
সমুদ্রের ঢেউ গুলো এসে ফিসফিসিয়ে কানে কানে বলে
এসো বিসর্জন দিয়ে যাও নোনা জলে
তোমার যত ব্যথা যত কষ্ট আমি সব শুষে নেব
ঢেউয়ের তরঙ্গে ভাসিয়ে দিও কষ্টের অশ্রুজল টলমল,
কেউ যদি এসে বুক পকেটে করে আমার নিঃশ্বাসটুকু নিয়ে যেতো
তখন তাঁর হৃদপিন্ড অনুভব করতে পারতো
ঐ বুক পকেটে রাখা নি:শ্বাস গুলো প্রতিনিয়ত তাঁকেই স্মরণ করছে…

.
— ফারজানা শারমিন
০৩ – ০৩ – ২০২১ ইং

জীবনের জলছবি….

A3798

জীবনের জলছবি….

নীরবতা ভেঙে আবার শহর জেগে উঠছে,
যেন সিক্ত কাপড়ে ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে উঠছে অজানা
কোনো এক রমণী,
নতুন দিনের সূচনা, দেহের গন্ধ এখন আনকোরা যেন তুলসী চন্দনের অনুভূতি,
সবকিছু এখানেই শেষ নয় এর থেকেও এগিয়ে আছে অনেক গন্তব্য,
তবে ইচ্ছার গন্তব্য কোথায় আমি জানি না,
সহস্রাব্দিক আলো বইছে চারদিকে সময় পেলে দেখে নিও প্রণয় কুন্ড শাশ্বত দহন,
শতাব্দীর জরাজীর্ণ স্থাপত্যের বাইরে
শূন্য নদীর চরে জেগে উঠেছে জীবনের জলছবি………….

— ফারজানা শারমিন
০৯ – ০৯ – ২০২১ ইং

অনুভব…

received_4295437847161894

অনুভব………….

রাত নেমেছে
অগনিত দীর্ঘশ্বাসে ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় কাঁপে হৃদয়ের কার্নিশে,
রঙিন বুদবুদের মাঝে গোপন কথারা অজান্তে যায় হারিয়ে,
শূন্যের ভিতরে কত ঢেউ আছে জানি না,
স্যাটেলাইটের চোখে দূর থেকেই দেখেছি নীল কাঁচের জীবন,
শঙ্খহীন ঝিনুক ছড়িয়ে আছে,
গভীর নীরবতার সৈকতে কিছু নিষ্পাপ স্বপ্ন,
এই নীরব সংলাপের মাঝে আছে জলতরঙ্গ ও ইশান মেঘের প্রতিধ্বনি,
নোনা জলে ভেসে যায় সম্রাটের শিরস্ত্রাণ,
অনেক কিছুই অস্পৃশ্য থেকে যায় কিছু স্মৃতি রয়ে যায় নির্জন রেলওয়ে স্টেশনে,
স্পর্শ করতে পারিনা সকালের প্রথম কিরণটা,
শুরু হয় নিশান্তের ঝমঝম বৃষ্টি,
মাঝখানের দ্বীপ ডুবে গেছে ইতিমধ্যেই এখন ঢেউ আর ঢেউ,
সমস্ত সীমারেখা পেড়িয়ে উন্মত্ত বাতাস অগনিত দীর্ঘশ্বাস,
তুমি ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্ক্ষায় ঘিরে আছে অন্ধকার,
জ্বলজ্বল করছে স্বপ্নের অভিবাদন,
দুটি প্রজাপতি যেন সুখ কুড়াতে ব্যস্ত
একটি গভীর অনুভব চিরকালের জন্য জোয়ার ভাটার ঢেউ ভিজিয়ে দেয় উভয়ের পরিসমাপ্তি……..

— ফারজানা শারমিন
২৫ – ০৭ – ২০২১ ইং

এক বৈশাখে …

047_n

অপেক্ষার সরণী বেয়ে প্রতিটি ভালোবাসার মাঝে জড়িয়ে থাকে দূরত্বের,
অদেখা অস্পর্শী কিংবা কখনো অনিয়ন্ত্রিত মনের দহন,
তবু ভালোবাসি, সকল নিয়মের শৃঙ্খল ভেঙে
অতৃপ্ত জ্বালা অসীম শূন্যতায়,
এক বৈশাখে চলে এসো সাথে নিয়ে একবুক প্রেম
ছড়িয়ে দিও চন্দ্রমল্লিকার ভালোবাসার উত্তাল শিহরণ,
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে দিও তোমার উষ্ণ অনুভবের একরাশ উন্মাদনা,
তোলপাড় সুখে ভাসিয়ে দিও
অপলক চেয়ে থাকা দু’চোখে পড়িয়ে দিও মায়াবতী অথৈ কাজল,
ছুঁয়ে দিও গাঢ় গভীর চুম্বনে
উন্মত্ত বক্ষজুড়ে ছড়িয়ে দিও মন্ত্রমুগ্ধ প্রেমের নিখাদ ভালোবাসা,
তুমি ভেঙে দিও শতবর্ষের দূরত্বের প্রাচীর,
ঘুচিয়ে দিয়ে সমস্ত ব্যবধান অবাধ উন্মাদনায় অবারিত ভালোবাসায়
উন্মুক্ত আলিঙ্গনে শুঁষে নিও জীবনের সমস্ত দহনদাগ, জীর্ণ-শীর্ণ দুঃসহ যত ক্ষত,
এক বৈশাখে চলে এসো সাথে নিয়ে একবুক প্রেম…..

অদেখা প্রেম ( গদ্য কবিতা )

F642

হে সুপ্রিয় কবি,
. হ্যাঁ বলো
. আজ বিশ্ব কবিতা দিবস। আপনার কবিতা শোনাবেন নাহ ?
. অবশ্যই শোনাবো।

কি কবিতা শুনবে বলো, কোনটা তোমার প্রিয় ?
. আপনার লিখা সব কবিতাই আমার প্রিয়।
হ্যাঁ আপনি পাশে থাকলে, পৃথিবীর আর কোন সুখ চাইনা। কিন্তু আপনি মাঝে মাঝে হারিয়ে যান কেন ?
.
আর হারাবো না,
সাথে পাবে,
যখন মন চাইবে,
. ইশ্
. খুব খু্ব কাছে,
একেবারে নিঃশ্বাসেরও কাছে।
. আমার বুক কাঁপছে কবি, ধমনীতে শ্বাস উঠানামা করছে,
. ঠিক নিঃশ্বাসেরও কাছে এসো ছুঁয়ে দেই তোমার লাল টুকটুকে ঠোঁট, ছুঁয়ে দেই তোমার ধমনীর শিরা উপশিরা গুলো।

কিন্তু আপনি আর হারিয়ে যাবেন না তো ? আমি আপনাকে হারিয়ে যেতে দিবোনা। বেঁধে রাখবো আমার শাড়ীর আঁচলে।
. আমাদের কবিতায় শুধুই আমরা দুজন।
. হ্যাঁ , সব সময় আছি, থাকবো চিরকাল অনন্তহীন।
. অন্তহীন শুভ কামনা ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা।
. আমার সব কবিতাই আপনাকে নিয়ে লিখা।
. খেয়াল করে দেখো আমারও তাই। তোমার সাথে পরিচয় না হলে হয়তো কবি হয়ে ওঠা যেতো না।

সত্যি তাই ?
. হ্যাঁ ঠিক তাই।
. কবিতা গুলো পড়ো দেখলেই বুঝবে।
. পড়ি, আপনার সব কবিতা পড়ি, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় অন্য কাউকে নিয়ে লিখেছেন হয়তো
. এভাবে না ভাবলেই হলো।
. ঠিক আছে আর ভাববোনা।
. কোনটা তোমাকে নিয়ে সেটাও বুঝবে।
. আচ্ছা এখন মন দিয়ে পরবো
. আমাদের ভালোবাসা পবিত্র শুভ্র ভালোবাসা যা সবাই বাসতে পারে না।
. হ্যাঁ এটা সত্যি যে, আপনাকে কখনো দেখিনি শুধু আপনার হৃদয়টা অনুভব করেছি, তবুও এতোটা ভালোবাসি।
. হয়তো জীবনে কখনো দেখাই হবে না, তাতে কি মনের চোখে সর্বক্ষণ দৃশ্যমান আছো তুমি সেটা কম কি ?
. এটা ঠিকই বলেছেন।

আমার দেখা পবিত্রতম সুন্দর একজোড়া চোখের অধিকারী তুমি, তোমার দুচোখে অপূর্ব এক মায়া, তোমার মনও অনুরূপ পবিত্র হতে বাধ্য বিধায় এত ভালো লাগে।
. দেখা হবে, অবশ্যই। প্রিয় মানুষটারে নিজের চোখে দেখবো না এটা কেমন করে হয়, নিজের হাতে ছুঁয়ে দিবো তার লোমেশ বুক, নিঃশ্বাসেরও খুব কাছে এসে ছুঁয়ে দিবো কামনারত ঠোঁট।
. এমন চোখ পৃথিবীর কোথাও কারো আছে জানা নেই। তোমার মোকামে আমি যাবো গো বৈষ্ণবী গান বাঁধা ভোরে
আমাকে বাজিও তুমি শরীরী সেতারে।

আহ্ কবি, আপনাকে ভালোবেসে আজ আমি প্রণয়িনী।
. নিরন্তর শুভকামনা ভালোবাসা। অনেক অনেক ভালো থেকো প্রিয় সুপ্রিয়।
. আজ বিশ্ব কবিতা দিবসে আপনাকে প্রণাম কবি। শত সহস্র সালাম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা হে প্রানের কবি হৃদয়ের বাদশাহ প্রেম আমার। আপনিও ভালো থাকুন।

.
—- ফারজানা শারমিন
অদেখা প্রেম ( গদ্য কবিতা )
২১ – ০৩ – ২০১৯ ইং

তোমার হৃদস্পন্দনে…

53

তোমার হৃদস্পন্দনে……

রহস্যময় সেই রাতের নির্জনে
কিছু জ্যোৎস্নার কণা কিছু শবনমী অনুভব
কয়েক ফোঁটা বিদেশী গন্ধ,
কিছু সুগভীর অন্তরঙ্গের মধুরতা,
অসীম এক জীবনের উপলব্ধি অস্তিত্ব তোমায় নিয়ে,
তুমি যে পঞ্চপল্লবের অজস্র স্পন্দনে প্রতিনিয়ত আত্মসুখে ভেসে থাকো মনের সব পাতা জুড়ে
তুমি যে মিশে আছো আমার রক্তরসের প্রতিটি অনুতে অনুতে,
জড়িয়ে আছো শিরায় শিরায় ধমনীর রাজপথে,
সারাদিনমান আমার ভালোবাসায় অনাবৃত মাদকতায় ভিজিয়ে,
হৃদয়ের প্রতিটি সোহাগী স্মৃতির টলটলে আবেশ
রাশি রাশি সুবাতাস হয়ে বহন করে তোমার আমার
বেহিসেবি ভালোবাসার স্মারকচিহ্ন,
ঐ সমুদ্রের গর্জনে কান পেতে শুনে দেখো
আমার সেই ডাক ,
যা সাদা শুভ্র ফেনিল ঢেউয়ে আছড়ে পড়ছে তীরে,
নিজেকে নিজের ভিতর নিমজ্জিত
করছি সেই অতল যাত্রায়
সেই যাত্রায় শুধু তোমাকেই খুঁজেছি,
ধুকপুক হৃদয়ে নিঃসংকোচে বলে যাই আমি তোমাতেই জুড়ে আছি
মিশে আছি তোমার হৃদস্পন্দনে……………..

— ফারজানা শারমিন
১৪ – ০২ – ২০২১ ইং

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি…

CE327842-F824-4E49-A40B-878A27E60DD4

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি………….

২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
স্বাধীনতার পটভুমি,
তোমার জন্যে পেয়েছি আজ
স্বাধীন মাতৃভূমি,
২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি শহীদ মিনার
সকালের প্রভাত ফেরি
লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে,
শহীদদের দেখা স্বপ্ন একটি দেশ
প্রিয় মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ
একটি স্লোগান
বাংলা আমার মাতৃভাষা চির অম্লান,
২১শে ফেব্রুয়ারি আমার অহংকার
সন্তানহারা মায়ের চিৎকার
আজ আমি গর্বিত
আমি বাঙালি
বাংলা ভাষায় কথা বলি
হৃদয়ে ধারন করি
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি………….

— ফারজানা শারমিন

এক বিচ্ছেদের তীর

164_n

হে আমার প্রেম
আমাকে এমন এক বিচ্ছেদের তীর
বুকে ছুড়ে দিয়েছো যার আঘাতে আমি
কতোটা জর্জরিত,
তা ব্যক্ত করার ভাষা আমার নেই।

হৃদয় ঝলসানো কষ্ট নিয়ে
দুচোখে অশ্রু ধরে তুমিহীনা
এই বেচে থাকা আমার,
তুমিহীনা এ জীবন এক মরুভূমি
প্রতিটা রাত যেন আমাবস্যার অন্ধকার।

তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমি নিরুপায় –
এ হৃদয় তোমাকে ফিরে পেতে চায়
তোমার ভালোবাসার মাদকতায়,
জীবনের কাছে আর কিছু চাওয়ার নেই,
হে প্রেম আমার,
বিদায় ডাকছে ওই
তোমার পানে তবুও চেয়ে রই
দুচোখে অশ্রু ভরে
বলছি মিনতি করে
ভূলে যেও সব ব্যথা
যদি না হয় আর ফিরে দেখা
হয়তো দিন ফুরিয়ে এসেছে এ পৃথিবীতে আর
এ হৃদয় বলছে
অনর্থক তোমার জন্য এ প্রতিক্ষা আমার,
হে প্রভু কেন এই অসহ্য যন্ত্রণা
হে হৃদয় কেন এই নিরবতা ?

আমাকে নিঃশেষ করেছো তুমি
আমার সামনে যেন মৃত্যুর খঞ্জনী
এই নিরবতা
আমি শুনতে পাচ্ছি তার আগমন ধ্বনি…….

— ফারজানা শারমিন।

মৃত্যুদূত………….

23E0042

মৃত্যুদূত…………..

অমানিশা ঘোর অন্ধকার হেঁটে যাচ্ছে পূর্ণ বয়সী চাঁদ
উপেক্ষা করছে দৃশ্যমান আকাশের উদারতা
দ্রোহের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে শান্তির বারতা,
অদৃশ্য ঘাতক কেড়ে নিচ্ছে এক একটি তাজা প্রাণ
আলিঙ্গন করছে মৃত্যুদূতের কঠিন বাহুডোর,
সভ্যতার সাথে মৃত্যুদূতের যেন পুরোহিত সখ্যতা,
একাকী চিলের মত মধ্যদুপুরে বেদনার কান্না করছে
স্ট্রেচারে প্রিয়জনের লাশ,
চিৎকারে বাতাস ভারী হচ্ছে কবরের পর কবর, লাশের গাড়ী চারিপাশ,
কর্ণকুহর ভেদ করে চলেছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন,
বুকে আঘাত করছে রাতের বীভৎস চিত্র,
চিতার আগুনে জ্বলছে ভালোবাসা জ্বলছে প্রিয় সম্পর্ক,
সুপেয় চায়েরকাপে অদৃশ্য ঘাতকের জলকেলি উৎসব
চুমুকে চুমুকে চোখের কোনে জড়ো হয়েছে অশ্রুর এক মহাসমুদ্র,
বিশুদ্ধ রোদ্রের আর্দ্রতায় বাতাসে লেপ্টে থাকে লাশের ঘ্রাণ,
আজ মৃত্যু উপত্যকায় প্রদক্ষিণ করে প্রত্যাশার আর কোন ভোর হবেনা,
অনিন্দ্য ঝলমল আলোয় আনন্দধারায় প্রেমিকের জন্য হবেনা লেখা নব কবিতা,
চোখে পড়বেনা ভাষাহীন প্রেমের উল্লাশ,
কবির হৃদয় মর্মভেদী শুধুই স্বজন হারানোর বেদনায় শূণ্য হাহাকার……………..

— ফারজানা শারমিন
১২ – ০১ – ২০২১ ইং

ফিরবো তোমায় নিয়ে…

2A354229-CB20-4408-81E0-6A04B0178714

ফিরবো তোমাকে নিয়ে……………..
.
কত দূর থেকে ভেসে আসে এক অচেনা বাঁশির সুর ব্যাকুল করে মন,
আকাশে নীল জোছনা,
মধ্যরাত ঘুমিয়ে ঘন ঝোঁপ মৃদু বাতাস,
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি,
সামনে নদী পানিতে তীব্র স্রোত,
দুজন এতোটা পথ এসেছি পেরিয়ে,
ফিরে যাবোনা তোমাকে সাথে না নিয়ে
একাকীত্ব যদিও দুর্বিসহ তবুও মানিয়ে নিয়েছি বটে,
যাবোনা ফিরে ফিরবো তোমাকে নিয়ে,
সীমাবদ্ধতার অনন্যতাতেই সর্ব শিখরে এই প্রেম,
তোমার শব্দব্যঞ্জনার প্রতিটা পঙক্তিতে,
কবিতার অনুপ্রেরণায় বাক্যের অলঙ্করণে নিজেকে খুঁজি,
কত গভীর আমাদের প্রেমের গুঞ্জন,
নতুন ব্যঞ্জনা নিয়ে ভালোবাসারা ফিরে আসে,
পারিনা ওই দায়বদ্ধতার দেয়ালটাকে টপকে যেতে,
গোলাপ কাঁটার বেষ্টনী ভেদ করতে গিয়ে
ঝরালামা অনাহুত রক্ত কত !
মেঘবৃষ্টির লুকোচুরিতে হর্ষ বিষাদ দুটোই থাকে যেমন আনন্দেও অশ্রূ ঝরে,
প্রবহমান অনুভূতি গুলো মানবীয় অনুভবে বেড়াবে ভেসে নিরবধি
ইথারে ইথারে আকস্মিক হৃদয় অনুভব এসে যাবে অদৃশ্যে খুব কাছাকাছি,
পরষ্পর সংলগ্নতার অপরিহার্যতায় ভেসে যাবে
অবিরল তরঙ্গায়িত অভিলাষে,
অস্ফূট রোদনধ্বনি কেবল বায়বীয় হৃদ সংলাপের
স্মৃতি রোমন্থন করে যাবে,
অন্ধকার রাতে ঝিঁঝির এক টুকরো আলো পথ দেখাবে,
মধ্য রাতের চাঁদের আলোয় তবে খুলে দিও সব দরজা জানালা
যেন চাদের আলোর কনায় ভেসে যায় অন্ধকারের সব গ্লানি,
বসন্তের উতলা হাওয়ায় যদি উচাটন হয় মন
তবে মনটাকে আর বেঁধে রেখোনা,
ভাসিয়ে দিও তা স্বপ্ন মাতাল হাওয়ায়,
দুজন এতোটা পথ এসেছি পেরিয়ে,
ফিরে যাবোনা তোমাকে সাথে না নিয়ে…………….

— ফারজানা শারমিন
১০ – ১২ – ২০২০ ইং

বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ( পর্ব : ২ )

CF838019-279E-4BC8-B0C3-F2B05D1AD33E

দেশরত্ন শেখ হাসিনা তিনি এখন শুধু একজন প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার একটি আদর্শের নাম, একটি চেতনার নাম, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের একটি অনুভূতির নাম। তিনি তাঁর সততা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও কঠিন পরিশ্রমে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সেখানে শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্রই শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বড় শক্তি তিনি মহান জাতির পিতার সন্তান। ছোট বেলা থেকেই দেখেছেন পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিব এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য কত সংগ্রাম, কত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের এই ভালোবাসা তিনি পিতার কাছ থেকেই পেয়েছেন।

শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি তৃতীয় বিশ্বের একজন মানবিক নেতা হিসেবে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র, আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা ভাবনা,তাঁকে করে তুলেছে এক অনন্য রাষ্ট্রনায়ক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে তিনি আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে শেখ হাসিনাই পারে, শেখ হাসিনাই পারবে।শেখ হাসিনা নির্লোভ, জনগণের কল্যাণ ছাড়া কোন চাওয়া পাওয়া নেই। জনগণের কল্যাণ প্রশ্নে কোন আপোস করেন না। কঠোর পরিশ্রম ও সময়োপযোগী সিন্ধান্তের কারণে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দল এবং পাকিস্তানের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন। সব থেকে বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর বেঁচে যাওয়া রক্তের উত্তরসুরী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাকে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত করে রেখেছিল ওই সময়ের জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় দেশের বাইরে। 

আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসুরী শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে সম্মেলনের মাধ্যমে। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্ত হোন। শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির বুকে চেপে বসা জগদ্দল পাথরের মত সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং মানুষের ভোট অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বার বার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখ থেকে বেঁচে ফেরা বহ্নিশিখা। তিনি তাঁর জীবন বাংলার মেহনতী দুখি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন। রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের কল্যাণই তার রাজনীতির দর্শন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও প্রতিচ্ছবি। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। আর তাই বার বার স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি তার উপর বুলেট ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই জনগণের বিপুল ভালোবাসা ও আশীর্বাদে তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা অপরিহার্য এবং একই সাথে এই কথাও সত্য যে সরকারের ধারাবাহিকতা ধাকলে উন্নয়ন বেশি হয়। এই দুটি কারণ যখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়কালে ঘটেছে তাই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পর এমন নজিরবিহীন উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে পারছে। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন জীবনভর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।

তার রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই পথের যাত্রী। পরম করুণাময় হয়তো তাকে বার বার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখ থেকে জীবিত ফিরিয়ে এনেছেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। বাংলার মানুষের ভালোবাসার প্রতিদানও প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এক বিস্ময় বিশ্ববাসীর কাছে। বর্তমানে বিদেশীরাও বাংলাদেশের সাফল্যের  উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে থাকেন। দেশে ও দেশের বাইরে ভিশনারী লিডার হিসেবে শেখ হাসিনার যে ঈর্ষণীয় সাফল্য তা এক কথায় অনন্য ও অসাধারণ।
যেকোন সংকট, দুর্যোগ এমন কি করোনামহামারির সময় জনগণ তাকিয়ে থাকে শেখ হাসিনার দিকে। জনগণ মনে করে তিনিই জাতির আলোকবর্তিকা……

— ফারজানা শারমিন
২৩ – ১১ – ২০২০ ইং

বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ( পর্ব : ১ )

D24E38BD-A839-4914-970B-5AF431763C86

শেখ হাসিনা মানেই এই বাংলাদেশ। আজকের এই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানেই জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা দ্বিতীয়বার পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে আমরা খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, খুঁজে পাই বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মণিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরশাসকের কবল থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর। পরম একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যান বাংলার মানুষের জন্য।
বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন যথার্থই বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার দুটি গুণকে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিই। একটি তাঁর সাহস, প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার দৃঢ় মনোবল ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃঢ়তা। অন্যটি গণমানুষের প্রতি ভালোবাসা। গ্রামেগঞ্জে ঘুরে টের পেয়েছি হতদরিদ্র মানুষরা তাঁকে ভালোবাসে তাঁর কাছেই তাদের প্রত্যাশা। মনে করে, তাদের যা কিছু চাওয়ার জায়গা এক জায়গাতেই। তিনি বোঝেন জনগণের সুখ-দুঃখ, বোঝে তাদের নাড়ির টান। তাঁর হাজার রকমের কর্মের প্রয়াস জাতি হিসেবে আমাদের মাথা উঁচু করে দেয়। সারা পৃথিবীর মানুষ একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী মানেই শেখ হাসিনাকেই জানেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাজটাই বড়। দেশের সকল জনের কাজ, জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে কাজ। আমজনতা নিশ্চিত করে বলতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের, শেখ হাসিনার কাজ আমাদের কাজ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশের দিকে উন্নত দেশের নেতারা অবাক হয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি তো উন্নয়ন বিস্ময়কর জন্ম দিয়েছেন।

এই সাহসী নারী আলোকবর্তিকা হিসেবে সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছেন। সত্যিইতো শেখ হাসিনার জীবন কর্মবহুল ও বৈচিত্র্যে ভরপুর। এখন এটা শুধু একটি নামই নয়, এটা একটি প্রতিষ্ঠান। Work is worship যার জীবনের মূলমন্ত্র। কর্ম-জ্ঞান ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক অসাধারণ জীবন তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ralling point, cementing bond. জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের একটি রূপক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্যাটার্নেও সাদৃশ্য খুব বেশি। ত্যাগ, প্রজ্ঞা, ঐক্যচেষ্টা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, ভাবাদর্শেও যুগোপযোগী সমন্বয় ইত্যাদি সবকিছুর দিক দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পিতাপুত্রীর মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে।

কলকাতার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিলেন, “তোমাদের হাসিনা যেন দশভুজা। দশ হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে।” তার কথা সত্য। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম সফল ও আলোচিত নেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাফল্যের সাথে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তার অধ্যবসায়ী মনোভাব এবং পরিশ্রমী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ…

— ফারজানা শারমিন
১৮ – ১১ – ২০২০ ইং

সোনালী খঞ্জর তুমি…

E968D7

একদিন তুমিও তোমার মতো করে সুখি হবে,
আমিও আমার মতো,
কিছু বলা আর কিছু না বলা স্মৃতি জমা হয়ে রয়ে যাবে পুরোনো ডাইরির পাতায়,
কোন একদিন হয়ত সময়ের তাগিদে তোমাকে মনে পড়ে যাবে,
আমাদের বেলা অবেলায় কাটানো দিন গুলো,
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একাকী দ্বিধান্বিত মনে বসে
বিবেকের মুখোমুখি হিসেবের খাতা খুলে
স্বপ্নের বিষাদ ভুলে বিবেকের চোখে চোখ তুলে মনে হবে
তাহলে কেন এত কলাকৌশল ?
কেন স্বার্থের জন্য প্রতিদিন মানবীয় সত্তার জলাঞ্জলি ?
কেন দুঃখের আগুনে পুড়ে হৃদয় বারংবার ?
সোনালি খঞ্জর তুমি আসা যাওয়া দুদিকেই কাটো,
তোমার সান্নিধ্যে সুখ শিহরণ আবার তোমার সান্নিধ্যেই অন্তরে রক্তক্ষরণ,
তুমি কেন এতো নির্দয় ? কেন এতো পাষান ?
তুমি এলেই বেদনায় আমার বুক ভারী হয়
চোখ দুটো সমূদ্র হয়ে যায়
কেন তুমি আসো ?
কেন তুমি এসে রোজ ঝড়ের মত আমায় সব এলোমেলো করে দিয়ে যাও ?
আমি জানি না আমার কোন ভুলে
রোজ তুমি আমার আকাশ ভেঙেচুরে দাও,
কেনোই বা চোখের জলে ভাসাও
তুমি আর এসো না
এই আঁধারে আমায় কাঁদিয়ে তুমি আর হেসো না,
প্রেমিককে নিয়ে কবিতা লিখে এক জীবন কি কাটিয়ে দেওয়া যায় না ?
এক জীবন কি পাড় করে দেওয়া যায় না নিঃসঙ্গতা বুকে লালন করে ?
কি এমন ক্ষতি হয় নিঃস্ব হলে, কি এমন ক্ষতি হয় তুমিহীন একা বেঁচে থাকলে ?
আমার শাড়ির আঁচলে, কাঁচের চুড়িতে,
চোখের কাজলে, ঠোঁটের ম্লান হাসিতে,
আমার বৃষ্টির জলে ভেজা শরীর ছুঁয়ে তুমি থেকে যাবে চিরকাল,
তুমি থেকে যাবে আমার কবিতায়,
আমার তুমিহীন নিঃসঙ্গ যাপনে,
আমার গোটা জীবনজুড়ে থেকে যাবে তুমি,
এক জীবনে সবকিছু পেতে হয় না,
অনেককিছু পেতে নেই,
অনুভবেই থাকুক কিছু বুক পিঞ্জরের বাম পাশেই,
নিঃসঙ্গ বুকে একটা গোলাপ গাছ লাগিয়ে দিয়ে
শিশিরভেজা পায়ে প্রতিদিন হেঁটে যাই আগামীর সান্নিধ্যে
আর কুহেলিকার সঙ্গে নিত্য করি বসবাস………….

— ফারজানা শারমিন
০৯ – ১১ – ২০২০ ইং