
শেখ হাসিনা মানেই এই বাংলাদেশ। আজকের এই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানেই জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা দ্বিতীয়বার পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে আমরা খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, খুঁজে পাই বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মণিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরশাসকের কবল থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর। পরম একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যান বাংলার মানুষের জন্য।
বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন যথার্থই বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার দুটি গুণকে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিই। একটি তাঁর সাহস, প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার দৃঢ় মনোবল ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃঢ়তা। অন্যটি গণমানুষের প্রতি ভালোবাসা। গ্রামেগঞ্জে ঘুরে টের পেয়েছি হতদরিদ্র মানুষরা তাঁকে ভালোবাসে তাঁর কাছেই তাদের প্রত্যাশা। মনে করে, তাদের যা কিছু চাওয়ার জায়গা এক জায়গাতেই। তিনি বোঝেন জনগণের সুখ-দুঃখ, বোঝে তাদের নাড়ির টান। তাঁর হাজার রকমের কর্মের প্রয়াস জাতি হিসেবে আমাদের মাথা উঁচু করে দেয়। সারা পৃথিবীর মানুষ একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী মানেই শেখ হাসিনাকেই জানেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাজটাই বড়। দেশের সকল জনের কাজ, জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে কাজ। আমজনতা নিশ্চিত করে বলতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের, শেখ হাসিনার কাজ আমাদের কাজ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশের দিকে উন্নত দেশের নেতারা অবাক হয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি তো উন্নয়ন বিস্ময়কর জন্ম দিয়েছেন।
এই সাহসী নারী আলোকবর্তিকা হিসেবে সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছেন। সত্যিইতো শেখ হাসিনার জীবন কর্মবহুল ও বৈচিত্র্যে ভরপুর। এখন এটা শুধু একটি নামই নয়, এটা একটি প্রতিষ্ঠান। Work is worship যার জীবনের মূলমন্ত্র। কর্ম-জ্ঞান ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক অসাধারণ জীবন তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ralling point, cementing bond. জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের একটি রূপক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্যাটার্নেও সাদৃশ্য খুব বেশি। ত্যাগ, প্রজ্ঞা, ঐক্যচেষ্টা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, ভাবাদর্শেও যুগোপযোগী সমন্বয় ইত্যাদি সবকিছুর দিক দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পিতাপুত্রীর মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে।
কলকাতার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিলেন, “তোমাদের হাসিনা যেন দশভুজা। দশ হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে।” তার কথা সত্য। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম সফল ও আলোচিত নেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাফল্যের সাথে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তার অধ্যবসায়ী মনোভাব এবং পরিশ্রমী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ…
— ফারজানা শারমিন
১৮ – ১১ – ২০২০ ইং