পর পর দুইবার বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে মুক্তা, যার রুপ যৌবনে চোখে ছানী পড়ে যেতো সাধারণের। একটু রোদ্দুরে গেলে মুখ মন্ডলের চামড়া ফেটে যেন রক্ত বের হবে, কতো যুবক যে রাস্তার পাশের গর্তে পরে হাত পা ভেঙেছে তার হিসেব নেই।
তবুও সময় বয়ে চলে নিজস্ব গতিতে, সময়ের কাছে সবাই পরাজিত, কেউ বুঝে কেউ বুঝেও বুঝে না সময়ের মূল্য। একদিন এই মুক্তার রুপ যৌবন ও থাকবে না, থাকবে না নিজেকে বয়ে বেড়ানোর শক্তি। কতোজনাই এলো আর গেলো কেউ ধরে রাখতে পারেনি, পারবেও না। আজকের বিদ্যা বালান, স্বরা ভাস্কর, মাধুরী আর সেদিনের শ্রীদেবী। সবাই একদিন পরিত্যক্ত ডাস্টবিন হয়ে পরে রবে, অনেকেই হিনো টাটা গাড়ির মতো পরিত্যক্ত ডিপোতে পরে থাকবে, এটাই বাস্তবতা।
গ্রামের কতজনার মুখে দাদা দাদীর কতো কথা শুনেছি এবং শুনি, তাদেরও রুপ যৌবনে গ্রামে হানাহানি হতো। পাশের বাড়ির হেলাল ভাইয়ের বউ মানে ভাবীকে তো নিজ চোখে দ্যাখা, আজ সবাই শান্ত। কোনো কিছুর বাহাদুরি নেই। আগের মতো মুখে এখন আর তাদের রুচিও নেই, চোখেও ঝাপসা দেখে, তিনবার ডাকলে কোনো রকম একবার সাড়া দেয়।
এটাই সত্য, এটাই চিরন্তন, অন্তিম মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তা কোন দায় নেয় না, যত বড় পালোয়ানই হইনা ক্যানো কিংবা যত সুন্দরীই হই না ক্যানো সামান্য একটা উছিলা দিয়ে যেকোন সময় ওপারে পাঠায়ে দিবে। কেউ খুঁজে পাবে না কুদ্দুসের মেয়ের রুপ যৌবন। ভালো কর্ম ছাড়া কেউ মনে রাখবে না, ভালো কর্ম মৃত্যুর পরেও বাঁচিয়ে রাখে যুগযুগান্তর। এসো বাঁচতে হলে ভালো কিছু করি, সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি, তাঁর দেখানো পথে চলি। কখন যে শেষ কামড় দ্যায় কেউ জানি না।
খুব ভাল রচনা
জেনে ভালো লাগলো ভাই।
বাঁচতে হলে ভালো কিছু করি __ সতত এই আপ্তবাক্য সর্বদা মনে রাখি।
ধন্যবাদ মি. রুদ্র আমিন।
ঠিক তাই বেঁচে থাকতে হলে ভালো কর্মের কোনো বিকল্প নেই।
সুবচন উঠে এসেছে লেখাটিতে। অভিনন্দন কবি দা।
মন্তব্যে ভালো লাগা। বেলীর ভালোবাসা।
উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে।
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
সুন্দর।
ধন্যবাদ।
সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছেন
কিন্তু মানুষ একবার বুঝে
তাও আবার ভুলে যায়-
তবুও বুঝুক একবার হলেও