ছল

নৈসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশের স্মরণে আমার একটি কবিতা। প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।

ধান, কাউন, চিনার শস্যঘ্রাণ
বাতাসে ভাসিলে, আমিও চলে যাবো
এক মেঠো দুপুর ভেজা
গাঁয়ের ফসলী প্রান্তরে।
চারিদিকে শুনশান সুপারীর বন
আলতো বাতাসে কেঁপে কেঁপে
ভীরু কিশোরীর মতোন,
আকাশের বুকে আলপনা
এঁকে যাবে সবুজ মাঠের ‘পরে
দাঁড়ানো আমার দু’চোখে।

ফিঙে এক দোল খাবে
মনের সুখে , কৃষাণীর
বড় আদরের গাভীন
পিঠ বাহনে চড়ে।
কালো কইতর গুলি
উড়ে যাবে পাখনায়
সাদা সাদা শান্তির
ছবি পুষে।

কিন্তু, তোমারে নেবো
নাকো সাথে আমার।
কেন তাহা বলো?
দূরের বিভ্রম স্বপ্নে
আমারেই জানো তুমি,
কাছে গেলে নৈকট্যের
বিষাদের কাছে হার মানো।

11 thoughts on “ছল

  1. দূরের বিভ্রম স্বপ্নে আমারেই জানো তুমি,
    কাছে গেলে নৈকট্যের বিষাদের কাছে হার মানো। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. প্রয়াণ দিবসে প্রিয় কবির প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। আপনার জন্য শুভকামনা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  3. "দূরের বিভ্রম স্বপ্নে
    আমারেই জানো তুমি,
    কাছে গেলে নৈকট্যের
    বিষাদের কাছে হার মানো।"— খুব ভালো লেগেছে !

  4. নৈসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশের স্মরণে আমারও শ্রদ্ধাঞ্জলি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  5. এক বুক ভালোবাসা কবি বোন রোখশানা রফিক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  6.  প্রিয় কবির প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। আপনার জন্য শুভকামনা।

  7. আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে

    স্বপ্ন নয়, কোনো এক বোধ কাজ করে!

    স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,

    হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!

  8. আমারেই জানো তুমি,
    কাছে গেলে নৈকট্যের
    বিষাদের কাছে হার মানো।

     

    * রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণদিবসে কবির প্রতি ভালোবাসা…. https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  9. জীবনানন্দ রূপসী বাংলার সৌন্দর্যের বিমুগ্ধ রূপকার। পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে তিনি মোটেই আগ্রহী নন। বাংলার প্রতি অগাধ ভালবাসার সূত্র ধরে তিনি অনায়াসেই বলতে পারেন:

    বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
    খুঁজিতে যাই না আরঃ অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
    চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
    ভোরের দোয়েল পাখি– চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ
    জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থেরা ক’রে আছে চুপ;
    ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
    মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
    এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ দেখেছিলো;

    কবি তাঁর স্বদেশভূমির অস্তিত্ব দেখতে চেয়েছেন পৃথিবীর মানচিত্রে। অনাগত স্বদেশভূমির উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন:
    তুমি কেন দূরে-বহু দূরে- ঢের দূরে- আরো দূরে নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ
    তুমি কেন কোনোদিন পৃথিবীর ভিড়ে এসে বলনাকো একটি ও কথা

    কবির মহাপ্রয়ান দিবসে কবিকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

    সুন্দর উপস্থাপনা। কাব্যিকতায় মুগ্ধ হলাম।প্রিয়কবি।
    প্রিয়কবিকে শুভ দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা জানাই।
    জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।