দেয়ালের বুক ডুবে আছে,
কিলবিল কালো জলে ছেয়ে আছে চোখ,
মানুষের ক্ষতগুলি জলে ভিজে ফেঁপে আছে, সকরুণ মুখ।
উজানের ঢলে ঢেউ মৃত্যুর সতর্ক পিয়াস,
ডুবে গেছে জোছনার মৃদঙ্গ শরীর, প্রিয় সে নিবাস।
জোনাকির পাখা ছুঁয়ে ভেসে গেছে পরাভূত সাধ,
কেউ নেই, কিছু নেই, শুধু অবসাদ।
জলে ভাসা তরুনীর দেহে কাঁদে ভ্রুণের ছায়া,
বড় সুখে ভিটেপটে এঁকেছিল মেদুর মায়া।
মাদুরের বেতে আজ জীবনের অসহায় দ্রুতিগুলো কাঁদে,
কিলবিল কালো জলে নাগিনীর বিষশ্বাস, কেঁপে ওঠে চৌকাঠ কাতর নিনাদে।
দেবকুঁড়ি সকালটি পুড়ে যায় ক্ষিধের জ্বালায়,
সাঁজোয়ার সম্পদে ভাগিদার কতজনা, কে বা তার হিসেবটা চায়।
আত্নার ভেতরে বাজে অপয়া সে বাঁশিটির নিদারন দুখ,
জল যেন কলকল রক্তের করতল, বোধহীন মানুষের নির্বাক মুখ।
ঘরত্যাগী প্রাণীদের প্রখর পংক্তিগুলো
উষ্ণতা খুঁজে চলে ডেরার ভেতর,
ভাসমান শোকগাথা বুকে গেঁথে
জলচোখে জলে ভাসে তরুনীর প্রিয় সেই নর।
তার বুকে জলক্ষত জড়ো হয় অসহ্য অবাধ,
কেউ নেই, কিছু নেই, শুধুই অবসাদ।
দারুণ এবং ম্যাচিউরড একটি কবিতা। বারবার করে পড়া যায়। অভিনন্দন আপা। শুভদিন।
কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। কবিতার পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আত্নার ভেতরে বাজে অপয়া সে বাঁশিটির নিদারন দুখ,
জল যেন কলকল রক্তের করতল, বোধহীন মানুষের নির্বাক মুখ।
* অপূর্ব শব্দচয়ন।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম কবি।
আপনার চমৎকার অনুভূতি কবিতার পাশে পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভালো থাকুন সবসময় ।
দুটো কবিতা পড়লাম আপনার। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে ভীষণ ভাল লেগেছে। আপনি তো দারুণ লেখেন দিদি ভাই!! অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম।
এত চমৎকার করে বললেন ভাই, আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
পুরো কবিতাটাই অসাধারণ!
শুভেচ্ছা জানবেন কবি রুকশানা হক

শুভেচ্ছা আপনাকেও। শুভকামনা নিরন্তর