প্রচন্ড ভৈচালে ছিঁড়ে গেছে পৃথিবীর যাবতীয় স্নায়ু
নিঃশেষিত কাঁটাবিদ্ধ কন্ঠনালী থেকে ঝরা রক্তের পরমায়ু
চূর্ণ বিচূর্ণ বাতাসের পাঁজর,
ক্ষুধার্ত জঠরে শায়িত স্মৃতির বিদীর্ণ আঁকর,
উদ্ভ্রান্ত যন্ত্রণায় সশব্দে আতঙ্ক ছড়ায় রাত্রির ভয়াবহ অন্ধকার
শিশু-সম্ভ্রম গিলে খাওয়া শ্বাপদের চোখে আজ পুলকিত বজ্রের অঙ্গার।
এখানে মানুষ নেই, এখানে কেবলই বিধ্বস্ত কঙ্কাল,
গলিত নক্ষত্রের বীভৎস চিৎকার গুনে
জীবনের চৌকাঠে লাফায় স্খলিত কীটের জঞ্জাল।
ধ্বসনামা এ গ্রহের ধমনিতে আজ নিদারুন হাহাকার
ছিন্নভিন্ন ভৈচালে কেঁপে ওঠে পৃথিবীটা বারবার।
এ পৃথিবী নারীর নয়,
এ সূর্য শিশুর নয়,
এখানে বারোয়ারী পোশাকে নৃত্যরত বজ্র প্রলয় ,
হায়েনার পাল জলাতঙ্ক ক্রোধে ছিঁড়ে খায় চাঁদের প্রণয়।
বারবার পদানত গ্রহ ফ্যাকাশে রক্ত স্বল্পতায়,
জন্ম নেয় অযুত কুটিল ভ্রুণ পাপিষ্ঠ বন্যতায়
অপদস্ত জরায়ুর দেখি কীটদষ্ট তরল বিন্যাস,
মগজে মগজে ঘুরে নারকীয় বিবস্ত্র বিষশ্বাস।
এ গ্রহ নারীর নয়
এ চাঁদ ও নদী শিশুর নয়,
এখানে ধারালো অস্ত্র নাচে যুবকের ধূসরিত মাটির শরীরে
নির্লিপ্ত নপুংসক ! কক্ষচ্যুত স্পন্দন খসে পড়ে মৃত্যুর গভীরে।
এখানে মুহূর্তেই বিধবা হয় দারুণ ধিক্কারে নারী
ছত্রভঙ্গ প্রত্যয় আর ক্ষয়িষ্ণু সততা গিলে মানুষরূপী সব ঘৃণ্য পথচারী।।
রক্তে ভাসে নগরী ও পথ,
ভৈচালে ছিঁড়ে যায় গ্রহ, ছিঁড়ে যায় তার প্রতিটি পরত
নারকী কীটের পাল শিশুর বুকটা কাটে মধ্যযুগীয় তালে
জীর্ণ বাক্যে লিখি তুমুল চিৎকার প্রচন্ড এ ভৈচালে।।
ভৈচাল (ভূমিকম্প)। অসাধারণ মানের কবিতা উপহার দিয়েছেন আপা।
আমি কৃতজ্ঞ ভাই। কবিতার পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
এ পৃথিবী নারীর নয়,
এ সূর্য শিশুর নয়,
এখানে বারোয়ারী পোশাকে নৃত্যরত বজ্র প্রলয় ,
হায়েনার পাল জলাতঙ্ক ক্রোধে ছিঁড়ে খায় চাঁদের প্রণয়।
এ পৃথিবী হোক শিশুদের বাসযোগ্যভূমি।
এ পৃথিবীতে নারীরা পায় যেন যথাযোগ্য মর্যাদা।
তবেই পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্ত আর মনোরম।
সুন্দর লিখেছেন প্রিয়কবি। অসাধারণ কাব্যিকতায় মুগ্ধ হলাম। বিষয়বস্তু সুন্দর।
প্রিয় কবিকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
সাথে থাকবেন। জয়গুরু!
দাদা আপনার চমৎকার অনুভূতি আমার কবিতাকে অন্য মাত্রা দিলো ।ভালো থাকুন সবসময়।
এ পৃথিবী নারীর নয়,
এ সূর্য শিশুর নয়,
এখানে বারোয়ারী পোশাকে নৃত্যরত বজ্র প্রলয় ,
হায়েনার পাল জলাতঙ্ক ক্রোধে ছিঁড়ে খায় চাঁদের প্রণয়।
অসাধারণ লিখেছেন
মন্তব্যেে উৎসাহিত হলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।
প্রিয় কবি, কবিতায় ভাষার উন্নতি বিকাশ স্পষ্ট, আপনার কবিতা পড়ে বুঝলাম,আপনি অনেক গুণী লেখক। কবিতার প্রতিটি শব্দে শব্দে লাইনে লাইনে ছিলো একজন দক্ষ কবির মস্তিস্কের ভাবনা, যে ভাবনার ধারে কাছে পৌঁছানো অন্য লেখকের জন্য কঠিনতর কঠিন। প্রিয় লেখিকার কবিতায় অশেষ ভাললাগা রেখে গেলো এই ছোট বালক।
আপনার অসাধারণ মন্তব্যটি আমার জন্য বিশাল পাওয়া। কবিতা শুধু পাঠের জন্য নয়, তা যে বিশ্লেষণেরও দাবী রাখে তা আপনার মন্তব্য থেকে আরো স্পষ্ট হলো । ভালো থাকুন আপনি ।শুভকামনা নিরন্তর ।
অসাধারণ অগ্নিগিরি কবিতা। বাংলার কবিরাও গর্জে উঠুক
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা সতত।
দারুণ সুন্দর উপহার দিলেন কবি।
অনেক ভালোবাসা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন ।
কবিতার শব্দ নৈপূন্যে মুগ্ধ হলাম কবি রুকশানা হক।
আপনার মন্তব্যেে বরাবরই মুগ্ধ হই, শুভকামনা নিরন্তর।
এখানে ধারালো অস্ত্র নাচে যুবকের ধূসরিত মাটির শরীরে
নির্লিপ্ত নপুংসক ! কক্ষচ্যুত স্পন্দন খসে পড়ে মৃত্যুর গভীরে।
একটা মৃত্যুকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখার মতো যখন হয়, মানবিক বোধগুলোর কি আর বাকি থাকে দাদা। শুভেচ্ছা আপনাকে ।
অসম্ভব শাব্দিক কল্পনা প্রিয় কবি দিদি ভাই। মুগ্ধতা জানালাম।
দিদিভাই তোমার মন্তব্য পেলে কবিতার পূর্ণতা আসে সন্দেহ নেই । ভালো থেকো।
চাই প্রতিবাদ। কবিতার নরম গরম শব্দে এখন আর কাজ হয় না। আধিকারিকরা চালাক। কৌশলটা বুঝে গেছে।
ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের সাথে হারিয়ে যাওয়া মানবিক বোধ গুলো জাগিয়ে তুলতে হবে ভাই। শুভেচ্ছা আপনাকে।
কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে আপা।
অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালবাসা অবিরাম ।
খুব ভালো লিখেছেন আপা। শুভেচ্ছা।
আপনাকেও শুভেচ্ছা আপা। সুন্দর থাকুন।