চিরকুট: ০৯ তারিখ: ০৯ বৈশাখ ১৪২৬ বাংলা।
প্রিয় চিঠিওয়ালী অবেলা,
পত্তরের শুরুতে দ্বিপ্রহরে প্রাক্কালে শহরের রাস্তার পাশে মাথা নুইয়ে ঝুলে থাকা লাল টকটকে আনকোরা ডালিম ফুলের সৌন্দর্যবর্ধন মুগ্ধ শুভেচ্ছা। কর্মব্যস্ততার ক্লান্তির ছাপ মুছে মেঘনা নদীর কুল কুল প্রতিধ্বনি শুনতে শুনতে তোমায় লিখছি।
কেমন আছো অবেলা?
আল্লাহর অনুগ্রহতে আমি খুব ভালো আছি।
দিন কাল কেমন কাটছে তোমার?
আমার দিন কাল ভীষণ কর্মব্যস্ততায় কাটছে।
জানো তো এই শহরে একটা চাকরী পেয়ে গেছি। ইচ্ছে করছে স্বীয় গলায় তোমাকে অঞ্জন দত্তের সেই বিখ্যাত গানটা গেয়ে শোনাই।
চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা।
মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছোনা।
স্বপ্ন চোখে তোমার আমার নীলরাঙা সংসার এ মিথ্যা শহরের বেড়াজালে। অনুরাগের ঘোর নিমগ্নতা এসে ভীড় জমাক তোমার শহরে। আমাকে তোমার অদৃশ্য যাদুটোনার মায়াজালে বেধেঁ ফেলা যেন বিধাতারই লীলা। মন ঘুড়ির সুতো দিয়ে তোমার আকাশে ঘুড়ি উড়াতে চেয়েছিলাম,কিন্তু তা আমি পারিনি। তোমার দেওয়া উপাধিতে ভূষিত হৃদয়ে, এক সমুদ্রজল সাইক্লোন আঘাত হানে মাঝরাতে।
চিঠিতে শব্দের এই পেরেক মারা গাথুনিতে তোমার বক্ষপানে নামতে চাই শ্রাবনের গাঁ ঝুমঝুম এক পশলা বৃষ্টি হয়ে। সে বৃষ্টিতে তুমি না ভেজো তোমার হৃদয়টা ভিজিয়ে নিও আমার পক্ষে। কপটনিদ্রা কাটিয়ে আবার জাগ্রত হয়েছি নতুন ভোরের দীপ্তকিরনে হাসবো বলে। তোমার তপ্ত বিরাগের সবুজ সমতল ভূমি জুড়ে আমার ভাল লাগা। তুমি আমার স্বপ্ন শহরের লাল টুকটুকে মেঘবউ।
তোমার অবুঝ মনের প্রশ্নগুলো ছিঁড়ে খায় আমার বুকের পাঁজর।
ত্রিতাপ দ্রিমদ্রিম করে আমি অনুভূতিহীন হই।
জলবর্ষী কোন শ্রাবন দিনে অশ্রু বিসর্জন করবো,যেন তুমি অনুভব করতে পারো আমি কাঁদছি। “উন্মীলিত চোখের আলোয় মরিচীকা বিভ্রমের উদ্দীপনে আমাকে গ্রাস করেছে তোমার সর্বনাশা অধর।”কলমের চোয়ালে থেমে যায় আমার শব্দকাব্যের স্পন্দন। কাব্যরসের প্রতিশব্দের কোলজুড়ে অনুরাগ বিছিয়ে আমার কাব্যিক হয়ে ওঠা তোমার অবদান নেহাত কম নয়।
শুকনো ফুলগুলো ঝরছে পথের চারপাশে,কখনো ইচ্ছে করে ফুলগুলোতে হাত ছোঁয়ায়। বিলাসিতার নীল সমুদ্রে ডুব দিতে যেওনা, নিঃশব্দে অনল শয্যায় গ্রাস হয়ে যাবে। নির্বিচারে তোমার আনিত অভিযোগগুলো তুলে রেখো আদালতে। অপরাধীর কাঠগড়ায় সেদিন যে ধারার রায়ে অামাকে শাস্তি দেয়া হবে,আমি সমরে স্বাগতম জানিয়ে মেনে নিবো রাঙাবতি। আলোর মশাল হাতে নিয়ে আমি লং মার্চ করবো তোমার ঠিকানায়।
তবে একদিন ঠিকি অশনি ঢলে ছিদ্র করবো তোমার মনের দোচালা। শহরের উত্তপ্ত পিচঢালা পথে আমি হেঁটেছি দূর থেকে বহুদূর, প্রতিটা কদমে তোমাকে মনে পড়ছিল। আমি আমার নগরীর প্রধান রক্ষী ফটক দুয়ার খুলে বসে আছি তোমার অপেক্ষায়। কবে আসবে তুমি রাঙাবতী? আমার চিঠিগুলো হোক এ ভালবাসার নীরব সাক্ষী। তোমার আমার মনের ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণাধীন।
আজ আর নয়,ব্যস্ততার দরুনে তোমাকে আর নিয়মিত চিঠি লেখা হবেনা। সময় পেলে মনের কথাগুলো ঠিক তোমার জন্য কলম দ্বারা বন্দি করবো ডায়রীতে।
ভালো থেকো প্রিয় রাঙাবতী অবেলা।
ইতি
তোমার নীল চিরকুটের অপেক্ষাপ্রহ
ছবি:-নেট থেকে সংগ্রহ।
চিরকুট ভালো লাগলো
জেনে খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় বড় আপু।
* মেঘ প্রিয় বালক এর জন্য শুভ কামনা……
ধন্যবাদ প্রিয়,ভালবাসা জানিবেন।
আজকের এই চিরকূট অসাধারণ মানের হয়েছে। আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য,সুন্দর মন্তব্য মানে আমার লিখায় আপনার ভালবাসা রেখে যাওয়া। ভালবাসা জানিবেন ব্লগ মোডারেটর।
আজ মুগ্ধতার ছায়ায় বিমুগ্ধ করেই ছাড়লেন মেঘ প্রিয় বালক ভাই। অনন্য হয়েছে।
শ্রাবন সন্ধ্যার ঝিরিঝিরি বৃষ্টির স্পর্শে ফোটা টগবগে লাল গোলাপের ঘ্রাণ ছড়ানো ভালবাসা জানিবেন। মন্তব্য ও পাঠের জন্য শুকরিয়া।
খুব গোছানো হয়েছে আজকের লেখাটি। শুভেচ্ছা সহ অভিনন্দন জানাই দাদা ভাই।
প্রিয় দিদি,আর কত অচেনা প্রাপকের ঠিকানায় চিরকুট লিখবো,বিলুপ্ত ডাকপিয়ন চিরকুুুুটের জবাব নিয়ে আসে না।
দাদা ভাইয়ের জন্য চিরকুটের প্রাপক দেখুুন।
চিরকুট পাঠে ছোট ভাইয়ের ভালবাসা জানিবাা।
“উন্মীলিত চোখের আলোয় মরিচীকা বিভ্রমের উদ্দীপনে আমাকে গ্রাস করেছে তোমার সর্বনাশা অধর।” কলমের চোয়ালে থেমে যায় আমার শব্দকাব্যের স্পন্দন। প্রতিশব্দের কোলজুড়ে অনুরাগ বিছিয়ে আমার কাব্যিক হয়ে ওঠা তোমার অবদান নেহাত কম নয়।
বাহ কী সুন্দর করেই না বলেছেন ভাইজান। এমন কিছু শব্দ পেলে বর্তে যেতাম।
ধন্যবাদ প্রিয়, দূরের মগডালে বসা থাকা কোকিলের সুমধুর কুহু কুহু ডাকের শুভেচ্ছা জানিবেন। শব্দ প্রয়োগে আপনি অনেক মারকুটে খেলোয়ার।
সুন্দর হয়েছে লেখাটি।
ধন্যবাদ জানিবেন, পাঠে ও মন্তব্যে প্রীত হলাম।
পত্রটি পড়ে মনে হলো আজকে একটু বেশী মযেোগ দিয়েছেন বালক ভাই।
শ্রাবন বৃষ্টির শুভেচ্ছা জানিবেন প্রিয়। মনযোগ দিয়ে লিখার চেষ্টা আর কি!
দারুণ লিখেছেন বালক ভাইজান।
ধন্যবাদ আবু সাঈদ আহমেদ,হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা জানিবেন।