মানুষের অসাধারণ কিছু গুণাবলির মধ্যে খাবার খাওয়া একটি গুন। খাবার খাওয়ার সময় মুখের অঙ্গ ভঙ্গিগুলো আমি খুব তীক্ষ্ণ ভাবে অবলোকন করি। কি যতন করে যে তার খাবারগুলো মানুষ চর্বন করে তা সত্যিই বিস্ময়কর। প্রথম যখন প্লেটে কেউ ভাত নেয় তখনই দেখবেন মুখের অবয়বটা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। তরকারি কয়েক প্রকারের থাকলে সবার আগে দেখে নেয় তার পছন্দের কোনটা। ওটা একটু পরে খাওয়া হবে। শুরু হয় চামিচ দিয়ে যেকোন এক ধরণের তরকারি নেওয়া থেকে। খাবার চর্বনের সময় ঠোঁটের ভাঁজের পরিবর্তন, গালে খাবার আটকে যাওয়ার পর জিহবা দিয়ে ভিতর থেকে এনে তা আবার চিবানো এবং কোন বাড়তি কিছু তরকারির সাথে যোগ করে খাওয়ার স্বাদ বাড়ানো যেন এক অসাধারণ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।
লেবু নেওয়ার সময় দেখবেন মুখের পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। যখন লেবু চিপে রস বের করে ভাতে মাখানোর সময় হয় তখন ঠোঁটের আকুতিই বলে দেবে এখানে টকের উপস্থিতি আছে বলেই তার ঠোঁটের ভাঁজটা এমন ! তারপর ঝাল বা কাঁচা মরিচ খাওয়ার সময় ঠোঁট একটু চোখা করে ভেতরের দিকে বাতাস টান দেওয়াও আলাদা প্রশান্তি আছে।
ডাল বা তরল কিছু দিয়ে খাবার যখন শেষ করার মুহূর্ত আসে তখন যেন আলাদা আনন্দ । পুরো প্লেট থেকে রস নিয়ে তা চেটে খাওয়া ! তারপর একটু পানি ও শান্তির ঢেকুর ! আমার মনে হয় মানুষ যতগুলো সময় একেবারে পবিত্র হয়ে ওঠে তারমধ্যে খাবার খাওয়ার সময়টা অন্যতম। এই অন্যতম পবিত্র হয়ে ওঠার সময়টিকে উদযাপন করুন এবং প্রতিটি খাবারই স্বাদ নিয়ে গ্রহন করুন দেখবেন মনের প্রশান্তিতে আলাদা কিছু যোগ হয়েছে।
অথবা যখন আপনার কোন খাবারই মন ভরাতে পারেনা তখন একজন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের খাওয়ার আকুতির কথা ভাবুন দেখবেন খাবার ভালো লাগছে এবং আপনি আর খাবার অপচয়ও করছেন না। শিক্ষার জায়গা অনেক এবং আনন্দেরও। আসুন প্রতিটি শিক্ষা নেই আনন্দের কাছাকাছি গিয়ে।
সচেতনতা বাড়াতে নিশ্চিত যে, আপনার অভিমত অবলোকনের বর্ণনা কাজে আসবে। শুভেচ্ছা জানবেন মি. সাঈদ চৌধুরী। ধন্যবাদ।
ক্ষিধে লাগলেই বোঝা যায় তুচ্ছ খাবার ও যে কত গুরুত্বপূর্ণ ।
ভালো লিখেছেন ।
শিক্ষার জায়গা অনেক এবং আনন্দেরও। আসুন প্রতিটি শিক্ষা নেই আনন্দের কাছাকাছি গিয়ে। সুন্দর আহ্বান।
কুৃঅভ্যাস গুলো বদলে ফেলতে হবে।
আহা! ক্ষিদে লেগে গেলো।