দৃষ্টির সিমানা যতদূর যায়
তত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত কোন ভোরের দ্যুতি …
কাল্পনিক ভোরগুলো প্রতিটি শিশির বিন্দুর মধ্যে আবৃত
তটস্থ রাত আর বিষন্ন সময় যখন
একটি কুপির আলোর স্বাক্ষী হয়ে থাকে
তখন ভোরের সবটুকু প্রাপ্তি হল
সে “ভোর” হওয়ার পর ক্লান্তি মুক্ত হল
এখন অপার ধান খেত, রাশি রাশি শিউলি ফুলের
মাটিতে বিছিয়ে পড়ে থেকে
সারা রাতের মিলন ক্লান্তির নেতিয়ে পড়া
আর কুলহীন নদীর জল
সবকিছু মিলেই আবার জীবনে বাঁচার আকুতি…!
এদিক থেকে কাকতাড়ুয়া ভিন্ন বলা যায়
একটি বাঁশের উপর দাঁড়িয়ে
কালো অবয়বে সে যেভাবে পক্ষীকুলের ভীতির কারণ হয়
তা তার জড় জীবনের স্বার্থকতাই বলা যায়
অসম প্রেম, তীব্র রোগ আর গতিবেগের ঘূর্ণিঝড়ের
পরের রাত্রিগুলোতেও যেভাবে কারো বাঁচার আকুতি দেখি
তা যেন একেকটি ভোরেরই রুপান্তর…
4 thoughts on “ক্লান্তি ও ভোরের কাব্য”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
জীবন ঘেঁষা কবিতার স্বরূপ এমনই। অভিনন্দন প্রিয় কবি।
নৈমিত্তিক আমাদের প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তির ডায়েরি।
অনবদ্য!!
মুগ্ধতার সাথে পাঠ করলাম।
শুভেচ্ছা রইলো সাঈদ ভাই
পরের রাত্রিগুলোতেও যেভাবে কারো বাঁচার আকুতি দেখি
তা যেন একেকটি ভোরেরই রুপান্তর…
* অনেক সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।