গুপ্তাঙ্গ

মহামান্য আদালত
আমার গোপন অঙ্গ বলে কিছু নেই
সকলি প্রকাশ্য এবং প্রকাশ্য দিবালোকে
যখন হাগি, মুতি- বেড়া, ঘাস, বাঁশ
গাড়ু, জল সবাই দেখে পষ্ট করে
তো – গোপনাঙ্গ আর রইল কই?

আজ জেলার আমায় কাপড় পরিয়ে দিল
বলল – মাস্টারমশাই,
এভাবে নাঙ্গা হয়ে যেতে নেই আদালতে।
বিশ্বাস করুন এই বৃদ্ধ বয়েসে নিস্তেজ অঙ্গ
আর সফেদ কাশফুল কেশমালা
মনে হয় একটা বাড়তি কিছু বয়ে চলছি !

উকিলবাবুর স্ত্রী আমায় চেয়েছিলেন ঠিক
কিন্তু নিরুপায় মাস্টার টুইশনি ছেড়ে
বেচে গেলাম বলে যা ভেবেছিলেম
তা মোটেও সত্যি ছিলনা, সত্যি ছিল
স্ত্রীলোকটি আমায় ডিলডো পরিয়ে
স্বেচ্ছাশ্রম করে আনন্দ লুটেছে
যেমনটি দীপালি করেছিল কৈশোরে
বলেছিল ‘কি কালো কেশ তোর স্বর্ণাঙ্গে’
আমি দুহাতে মুখ ঢেকেছিলাম লাজে।
কবিতা ভাল লাগে বলে ভক্তকূল হয় উচাটন
আমায় বরং আমৃত্যু হাজতে রেখে দিন।

2 thoughts on “গুপ্তাঙ্গ

  1. রাজবন্দির জবানবন্দি নাকি কোন অপরাধির জবানবন্দি এ প্রশ্ন পাঠককুলকে আন্দোলিত করবে নিশ্চিত এ কবিতা পড়ে । শুভেচ্ছা কবি !

  2. ব্যতিক্রমী লিখা উপহার দিয়েছেন মি. শাহ আজিজ। ধন্যবাদ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।