🔴অস্থিতিশীল জীবন আর পতনশীল মনের জন্য একজন সাইক্রেটিস জরুরি তবে আমাদের চিন্তা কি বলে আমাদের চৈতন্য বোধ হলো এমন একটি সত্তা যে বিষয়টা একবার ভাবতে থাকে, তা আর সহজে দমানো যায় না। তাহলে কি আমাদের চেতনাবোধের সাথে কি আমরা কোনভাবেই পেরে উঠতে পারছিনা?
আমাদের কোন কিছু তুচ্ছ করে দেখতে নেই ছোট ছোট ভুলগুলো যখন ছোট করে দেখা হয় তখন ধীরে ধীরে এই ছোট ভুলগুলো বড় বড় ভুলের জন্ম দিতে থাকে কিন্তু এই ছোট ছোট ভুলগুলোর জন্য যদি বড় বড় রিএক্ট করেন কেউ, তবে তার জন্য আমি চিন্তিত।
চিন্তিত এই কারণে যে আমাদের যে বিষয়টা নিয়ে যতটুক ভাবার দরকার ততটুকুই ভাবতে হবে। তার বেশি কিছু করতে গেলেই বিপত্তি এবং বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এ বিষয়টা মাথায় না রেখে যদি আমরা চলাচল করি তাহলে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করবে এবং সমস্যায় জর্জরিত হবে ঘনীভূত হবে সময়ের সেই পথ চলা।
ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে বড় বড় এই রিএক্ট একেবারে তুচ্ছ করে দেখার কোন সুযোগ নেই, যুক্তিকতা নেই বা কারণ নেই ছোট ভুলগুলোর জন্য এই রিয়েক্ট খুবই বিপদজনক আপনি এতক্ষণ যতটা ভাবছেন তার চেয়েও বেশি পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেই ব্যক্তিসত্তাকে।
আমাদের চেষ্টা আমাদের সাধনা আর আমাদের জ্ঞান। মাঝেমধ্যে এমন সব উৎকণ্ঠার তালবেতাল রহস্যের জন্ম দেয় যা প্রত্যাশা করার মতো নয়। এই উন্মাদনা মানুষের জীবনের নতুন একটি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়।
জীবনের পাহারাদার হলো মানুষের মন মানুষের বিবেক মানুষের বধিসত্ত্বা আমাদের দেখভালের জন্য নিজের ভেতরে তৈরী হওয়া কামনা যা সম্পদের আধিক্যের চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।
যুগে যুগে মানুষের স্বভাবের জন্য মানুষ নিজেই নিজের ভুলের কারণে পতনের দিকে চলে গিয়েছে এবং সে আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এ সবার থেকে মানুষকে অবশ্যই অতিসত্বর খুব দ্রুততার সহিত বেরিয়ে আসতে হবে।
*এই স্বভাবটি ও মানুষের গারো অন্ধকার দিক; কোন মিথ্যাচার ছাড়াই অন্য আরেকজনের জীবনে মতের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব আর প্রভাব খাটানো মানে একজনের জীবনে বিশদভাবে হস্তক্ষেপ করা।
যে বিষয় টা একটি মানুষের অন্ধকার দিক এই একই ব্যাপারটা যদি বিপরীত দিক থেকে হস্তক্ষেপকারীর জীবনে ঘটে তবে তিনি নিশ্চয়ই ব্যাপারটা বরদাস্ত করবে না।
একজন মানুষকে বিশ্বাস দিয়ে যদি খুঁজতে যান তবে অবশ্যই সেই মানুষটা তার প্রতি আপনার বিশ্বাসের আস্থার অমর্যাদা করবে না।
কিন্তু যখন কারো জীবনে আরেকজন মানুষ আস্থা রাখার বা তৈরি করার বদলে বারবার কোন ঠুনকো ব্যাপার নিয়ে গালমন্দ বিষোদগার করবে ভিত্তিহীনভাবে দোষারোপ করবে তখন বলতেই হবে তার ভেতরে আস্থাহীনতার অভাব।
এমনকি তিনি অন্য মানুষের সাথে যে কাজগুলো করেন সে কাজগুলো তার কাছের মানুষগুলোর উপর যখন এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে পরিবেশন করেন বা অপপ্রয়োগ করেন তখন আপনি ধারণা করবেন যে তার মস্তিষ্ক গত সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এটার মূলে রয়েছে বিষণ্ণতা ক্রোধ রাগ ক্ষোভ এই সমস্ত জটিল সমস্যাগুলো প্রতি সারাক্ষণ লেগে থাকার কারণে বারবার তার মনে উদ্ভূত সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে বাধ্য করছে। সে ব্যক্তিটি তার মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে এবং তার মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে যে অদ্ভুত পরিস্থিতির জন্ম হচ্ছে সেটাকে কোনভাবে দুর্ঘটনা বলা যাবে না।
এ সমস্যাটা কি মনোবিজ্ঞানের ভাষায় কিভাবে সম্বোধন করে সেটা আমি জানি না তবে আমার ধারণা এই সমস্যাটার কারণে যে প্রজাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটা কে অবশ্যই মনোগত জটিল ব্যাধিগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি রোগের সাথে আখ্যায়িত করা যায়।
এটি ঘটতে পারে উক্ত ব্যক্তিটির মানসিকতা বা মানসিক ডিজাস্টার এর জন্য অথবা সে মানুষটার ভেতরে কিছু ঘটনা আছে যা অন্য কারোর সঙ্গে প্রকাশ করেনি একই সাথে সে মানুষটা অতীতের সেই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে অন্য আরেকটি মানুষের সান্নিধ্যে আসার মাধ্যমে।
এ ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে একজন মানুষের মনের ভেতরে পাহাড়-সমুদ্র তুল্য অনেক অনেক স্ট্রেস থেকে আমি ব্যাপারটিকে দোষের কিছু বলবো না। এগুলো সে তার মনের ইচ্ছাতে করছে না তবে যেকোনো একটি পরিস্থিতি তৈরীর মাধ্যমে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
এমনকি কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি তার পরেও সে তার সন্দেহবশত মনে কোন কারন ছাড়াই এমনটি করছে অথবা অতীতের এমন কিছু জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যে কারণে এই সমস্ত উদ্ভূত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
এমনও হতে পারে সেই মানুষটি বিগত সময়ে এমন কোন ভয়ঙ্কর পথ ও বিপদ সংকুল ঘটনার সাক্ষী অথবা সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে এটা তার ভেতরে এমন দ্বৈতনীতি তৈরি করার কারণ হতে পারে।
আর এমন কোন ঘটনার বাস্তব সাক্ষী বা উদাহরণ হয়ে থাকে তাহলে তার জীবনের ওপর বিশ্লেষণ করে এটি বোঝা যায় যে সেই মানুষটা একজন ভুক্তভোগী তবে একই ক্ষেত্রে যদি বলা যায় যে মানুষটি আরেকজন মানুষের জীবনে নতুন করে পথ চলা শুরু করেছে সে মানুষটার ফ্রেন্ডলি আলোচনার জন্য তাকে নজরে নজর বন্দি করে রেখে কটুক্তি করে।
তবে সে মানুষটাকে বুঝে ওঠার আগেই নানাভাবে অপদস্থ করা হলো এটি নেহায়েত একজন আরেকজনের প্রতি কাম্য নয়। তার পরেও এই বিষয়টি যখন ঘটতে থাকে তখন দুজনের ভিতরে মতামতের বা চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় বলে ধারণা করা হয়।
সেই সাথে একজন আরেকজনের প্রতি বিশদভাবে এমন আচরণগত সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি হয় বলে প্রতীয়মান হয়। এই সমস্যার একটাই সমাধান সেটা হল দুজন দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া এই বোঝাপড়ার বিষয়টি যদি আপোষ না হয় শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যাটি চরমে পৌঁছে তবে তখন আর বোঝাপড়ার ব্যাপারটি থাকেনা।
বোঝাপড়ার ব্যাপারটি যখন নিজেরদের দৈত্যনীতির কারণে বেরিয়ে যায় তখন একজন আরেকজন মানুষ থেকে টোটালি বিরক্ত হয়ে যায় ডিটাস হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত তাদের ভেতরে মতানৈক্য সৃষ্টি হবে এবং পরিশেষে বড় ধরনের মতাদ্বন্দ্বের কারণে তারা একজন আরেকজন থেকে অনেক দূরে চলে যায়।
আমার একটি প্রবাদ বাক্য আছে সেটি হল
“যে মানুষ একটি বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ধারণ করে সে মানুষ আর কিছু না হোক সে মানুষ কখনোই ওই বৃত্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না পরিশেষে সেই বৃত্তের ভিতর ঘুরপাক খায় তার বাইরে যেতে পারে না”
অতএব আমাদের কারো প্রতি বিষোদগার বা ভিন্ন মাত্রার কোন দায় চাপিয়ে দেয়ার পূর্বে যদি আমরা সেই মানুষ সম্পর্কে সঠিক চিন্তা সঠিক ধারণা তৈরী করতে না পারি তাহলে সেই ব্যর্থতা অন্য কারো নয় যে ভাবছে এই ব্যর্থতা একান্তই তার এই দায় একান্তই তার ব্যক্তিগত এবং তারই প্রাপ্তি।
অতীতের একজন মানুষের জীবনে যে ঘটনাই ঘটুক সেই অতীতের দায়ে বর্তমানে এসে অন্য আরেকজন মানুষের উপর কোন দায় চাপিয়ে দেয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এক ধরনের অন্যায় সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য না হলেও মানবসভ্যতার এই পরিমণ্ডলে এটি মানবতার জন্য বিশেষ বিশেষ বিশেষ এবং বিশেষ একটি অপরাধবলেই আমি মনে করি।
মানব জীবনের পরিব্যাপ্তির মাধ্যমে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে সে সভ্যতার দিক দিয়ে এটি অপরাধ মানবতার দিক থেকে অপরাধ সভ্যতার দিক থেকে অপরাধ বলে গণ্য হয়।
আমি বলব জীবনে আপনি যদি কারো প্রতি সত্যিকারে সমালোচনা করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই নিজের দিকে তাকাতে হবে। আপনার যেমন এক ব্যক্তি জীবনের স্বাধীনতা আছে ঠিক তেমনি অন্য আরেকজন মানুষের জীবনে ও তার নিজস্ব ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে এটি যখন লঙ্ঘিত হবে তখন একজন আরেকজনের প্রতি তৈরি হবে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।
*আপনি যাই বলেন এটি কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না এবং মঙ্গল জনক নয় নয়ও বটে। আমরা নিজেরা যেমনটি না সেটি বলতে গিয়ে অন্যকে যেভাবে কাঠ গড়ায় অপরাধীর আসনে বসাতে চাই সেটি যদি নিজের দিকে আঙ্গুল তুলে নিজের দিকে বিবেচনা করি তবেই আসল সত্য প্রকাশ পেত।
আপনি যখন নিজের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হবেন তখন আপনার অন্যের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হওয়া অত্যন্ত জরুরী তা যদি না হয় আপনি নিজেই আপনার কাঠ গড়ায় অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবেন। যে অপরাধের শাস্তি আপনি অন্যকে দিতে যাচ্ছেন সে অপরাধের শাস্তি আপনি নিজেই ভোগ করছেন। তবে আপনার কোন অধিকার নাই অন্যকে দোষারোপ করে একজনের শাস্তি আরেকজনকে দেয়া।
কিন্তু আপনি যদি নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হন, নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন, আর শেষ পর্যন্ত সেটা যদি অন্যের বিরক্তির কারণ হয় তবে সেটি জুলুম, অন্যায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটে মানুষের জীবনে ভুল মানুষের সঙ্গে চলে, ভুল চিন্তা করে, ভুল পথে পরিচালিত হয়ে শেষ পর্যন্ত ভুল কর্ম করে। পরবর্তীতে যা শেষ হয় বড় একটি ভাঙ্গনের সুর তুলে।
একটা মানুষের জীবনে যদি এমনটি বারবার ঘটে চলে তাহলে তার স্থিতু কোথায় হবে! আমি বলব কারো জীবনে যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে বড় বড় মনীষীদের জীবনী পড়তে দেয়া উচিত। কারণ সেই সমস্ত মনীষীরা যেভাবে তাদের জীবন নিয়ে গ্রন্থিত করে গেছেন সেগুলা পড়াশোনা মাধ্যমে যদি সে তার মনে গেঁথে নেন তবে অবশ্যই সেই সমস্ত সমস্যাগুলো একটা মীমাংসিত পথ বেরিয়ে আসবে।
এবং সেসব বিষয় গুলো তাকে জানতে হবে বুঝতে হবে এবং মহা মনীষীদের জীবনী বইয়ের মহাসমুদ্রের ডুবে থেকে কিছু জ্ঞান আহরণ করতে হবে ধৈর্য্য সহ্য শক্তি তাদের ভিতর উর্বর করতে হবে।
এবং সৎকর্ম করা ভালো ভালো আলোচনা করা যুক্তিবাদী কথাবার্তা বলা ঠান্ডা মস্তিষ্কে খন্ডন করা এবং উত্তর দেয়া অবশ্যই একটি ভাল দিক নির্ণয়ের কারন হবে।
শেষ পর্যন্ত এমনটি যদি না হয় আর তেমনি বিষোদগার পূর্ণ কথাবার্তা জারি থাকে তবে আমরা পরস্পর পরস্পরের জন্য অশান্তির কারণ হব। পরস্পর পরস্পরের জন্য ক্ষতির কারণ হব।
আর এমনটা হওয়া মানেই একজন আরেকজনের থেকে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা যেটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত বিষয় নয় এটা যে কোন মানুষের ক্ষেত্রেই কষ্টের কারণ হবে অতএব আমি চাইব এই সমস্ত বিষয় গুলো নিজেদের মধ্যেই সমাধান করে নেয়া যা পরবর্তীতে কোন ভাবেই জটিল পরিস্থিতির তৈরি না করতে পারে।
আমাদের বুঝতে হবে ”অসময়ের সুখ অপেক্ষা সুময়ের সেই দীর্ঘ জীবনের অবকাশ যাপন অত্যন্ত জরুরী”। এটি পূর্ণাঙ্গভাবে সাকসেস করতে চাইলে অবশ্যই একজন আরেকজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি সহনশীল হতে হবে।
একজন আরেকজনের প্রতি খাঁটি বিশ্বাসে বিশ্বাসী হতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি সদায় থাকতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি বোঝার মত জ্ঞান বা মানসিকতা রাখতে হবে তবে জীবন সুন্দর সুখী ও সাবলীল হবে। 16 অক্টোবর 2020.
অসাধারণ ,শুভকামনা সবসময়।
যে কোন মানসিক উন্মাদনা মানুষের জীবনের নতুন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়।
যুগে যুগে মানুষের স্বভাবের জন্য মানুষ নিজেই নিজের ভুলের কারণে পতনের দিকে চলে গিয়েছে এবং সে আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এ সবার থেকে মানুষকে অবশ্যই অতিসত্বর খুব দ্রুততার সহিত বেরিয়ে আসতে হবে।
অসাধরণ ভাবনা, জীবন নিয়ে নিখুঁত বিশ্লেষণ ।
শুভকামনা থাকলো ।
মনোজগত বা ভাবনা নিয়ে আপনার প্রত্যেকটি লেখা খুব মনযোগ দিয়ে পড়ে নিয়ে বুঝে নেবার চেস্টা করি। দারুণ পর্যবেক্ষণ। শুভেচ্ছা দাদা।