একটা অস্তিত্বের গান

24336

আমি নিরবে নিরুদ্দেশে
গোপন হয়ে যাব।
দেখা এই অস্তিত্ব থাকবে না আর।

লোকালয়ের ল্যাম্পপোস্টের বাতি
জ্বলে যদি থাকে সারারাত
আমার এই হাত দুটো
কর্মের ফাঁক গলে, লেখবেনা আর;

তারপর, শোরগোলের পথ ধরে
আলোয় হেসে খেলে জাগবেনা আর।

বন্ধুদের আড্ডায়
হবেনাতো যাওয়া আসা
মিথ্যে এই মায়াজালে বাঁধা।

অস্তিত্বের কলরবে
মুছে যাবে ছায়াটা
স্পর্শের মতো কিছু থাকবেনা আর।

বিবেকের মসনদ
উড়ে যাবে শূন্যতায়
থাকবেনা ভালোবেসে ডাকার।

মায়ের ওই চোখ দুটো
ছানি পরে ঢেকে যাবে
কষ্টের ব্যাঘ্রতায় কান্না।

হেসে খেলে দিন যাবে
অবহেলা রাখে যে
ভুলে যাবে ঠিক একদিন।

বিশ্বাসের দরজাটা
ভেঙে দিয়ে চলে যায়
বিবেকের ডালপালা চতুরতায় ভরিয়ে…

আবার নতুন করে
সর্বশান্ত হবে কেও
মিথ্যে ওই মায়াবি চোখের জাদুতে।

ছলনাতে ভরা মন
নতুন মানুষ ধরে
পুরাতন গল্প সে, আবার বলা হবে।

একই রকম আঁধারে
হেরে যাবে মানুষেরা;
মুছে যাবে জীবনের স্বপ্ন।

শুধু, থেকে যাবে ব্যাথাগুলো
গোপন হৃদয় জুড়ে
কোনোদিন শেষ হবে পথ।

বিচারের দায়ভার
প্রকৃতির নিরবতায়
ভেঙে যাবে অন্যায়ের শক্তি।

মুক্তি কী পাবে তারা
ডুবে থাকা গল্পে
অন্যের ক্ষতি করে নীরবে।

ঠিক ঠিক
সেই দিন, প্রকৃতির
হিসাব হবে

নিবারণের জায়গা টা
ভাষা থেকে উঠে যাবে
দূর হতে দেখবে সে মজলুম।

অন্ধকার পথে চলে
তৈরী যেই মঞ্জিল
মুছে যাবে প্রকৃতির আঘাতে।

বিশ্বাসে বাঁধতে চাওয়া
অবিশ্বাসী মানুষগুলো
হারাবে তার বিশ্বাসের স্থান।

আগামীর মানুষেরা দেখবে তা দাঁড়িয়ে
খুঁজে পাওয়া যাবে না
হাত দুটো বাড়ানোর
দেখা হবে দূর হতে দাঁড়িয়ে।

1 thought on “একটা অস্তিত্বের গান

  1. তারপরও সব মিলিয়ে আমাদের ভালো থাকতে হবে প্রিয় কবি শামীম বখতিয়ার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।