আপনি কি কখনো জীবনের
ভালো-মন্দ সম্বন্ধে বিবেচনা করেছেন?
যদি আমাকে খুঁজে বের করতে বলা হয়,
আমি জানতাম, কি করবেন এবং করবেন না!
আপনি কি কখনও ব্যথায়
কাতরাতে কাতরাতে পাহাড়ে উঠেছেন?
যতবারই আমি সেখানে ওঠার চেষ্টা করেছি
জেগেছি জেগেছি তীর্যক শক্তি নিয়ে।
জীবনের সেই পথে কষ্ট ছিল যন্ত্রণা ছিল
তাই যতবার ওঠার চেষ্টা করেছি উঠেছি
জীবনের পথ সংকুচিত হয়েছে।
বারবার নিজেকে অস্তিত্বশীল জেনেও
অস্তিত্বহীন মনে হয়েছে।
এখানে আমারও কিছু ভুল ছিল,
আমার সাথে ও কিছু ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে।
আমার বিশ্বাস আর অজ্ঞ হওয়াটাও ভুল ছিল;
এটা আমাকে অসংখ্যবার কষ্ট দিয়েছে
আপনার সাথে কিছু ভুল ছিল
আপনার দ্বারা এটা স্বীকার নাও হতে পারে.
কিন্তু যদি কখনো বিবেক দিয়ে
বোঝাপড়া করতে বসেন অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব পাবেন
কোথায় এবং কিভাবে এটা ভুল হয়েছে
আপনি ভুল স্বীকার করতে বাধ্য নন।
কিন্তু এটা হবে আপনার জন্য অহংকার।
প্রতিটি মানুষের মনে রাখা উচিত যে
অহংকারের পথ সংকীর্ণ, এটি ধ্বংসাত্মক,
এটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
মানুষের জীবন ধ্বংস করার জন্য
অহংকারই যথেষ্ট।
হ্যাঁ, আপনার মনে হতে পারে
এটা আমার কাছে বেশ বাজে শোনাচ্ছে,
মনে হচ্ছে বিষয়টি আমার জন্য নয়।
আপনি যদি অহংকারী হন
তবে আপনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
নিজের অহংকার সম্পর্কে সচেতন না হলে
অন্যের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
জেনে নেয়া উচিত অন্যের অহংকার
সম্পর্কে বিতর্কিত হওয়া নির্বুদ্ধিতা।
আমরা নিজেরা বোঝাপড়া করা উচিত
এটি আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে থাকতে পারে
কারণ কেউ এটি চিনতে পারে না।
অহংকার জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
ও সৌন্দর্যের রেখাগুলোকে বদলে দেয়
বদলে দেয় জীবনের প্রেক্ষাপট।
তবে এত সহজে বিদ্রোহী হবেন না
বিদ্রোহের কিছু নিয়ম আছে,
নীতি আছে, পরিবেশগত অবস্থা আছে
হয়তো সবাই ভুলে যাবে;
আজ নিজেকে একটু বিদ্রোহী মনে হচ্ছে
হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে
জীবনের এই পথে চলতে, চলতে …
আজ বুঝি বড্ড ক্লান্ত, ঠিক সেই
শত বছরের বৃদ্ধের মতো বুদও অসহায়।
হয়তো সেজন্যই নিজেকে
একটু অনিয়ন্ত্রিত মনে হচ্ছে
আমরা আজ আবেগগতভাবে
‘অবিশ্বাস’ অনুভব করছি তা করতেই পারি
আমরা আমাদের মনের খেয়ালে
অনেক কিছুই দেখতে চাই
স্বীকার করছি আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।
সময়ের সেই সংকুচিত অন্ধকার
যখন আশেপাশের মানুষগুলোকে গিলে খাচ্ছে
তারপর একরকম আলোর রেখা
ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ জ্বলতে পারে না
আলোকিত করতে পারে না।
আর সৌন্দর্যের উপমা মেটাতে পারে না
অস্তিত্বের কোলাহল।
আপনি এটা জানেন
শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করে
এটা বাজে কথা ছাড়া আর কিছুই নয়;
আসলে আমরা হতাশ
এমনকি আমাদের লোভ লালসা
আশার নিরাশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে
যখন হিপোক্রেট হয় তখন আমরা
নিজেরাই বেপরোয়া হয়ে যাই,
আমরা নিজেরাই শয়তান হয়ে যাই।
তাই তো জীবনের পথ এতটা অমসৃণ ভঙ্গুর দুর্দশাগ্রস্ত।
হে বন্ধু, তুমি বুঝতে চাও না
শয়তান একটি রূপক শব্দ।
যা নিজের মধ্যেই বিদ্যমান
আপনার নিজের হৃদয়, আপনার নিজের অস্তিত্ব, আপনার নিজের কর্ম
এমনকি তার নিজের ইচ্ছাও এর জন্য দায়ী।
এবং সময়ের সারাংশ থেকে যখন আমরা
নিজেরাই শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে দিই।
তখন আমরা আমাদের অপরাধ
লুকিয়ে রাখি আর শয়তানের ঘাড়ে চেপে
আহা, শয়তানরা কত অসহায়।
আসলে মানুষের চেয়ে বড় শয়তান আর কে হতে পারে!
আর এটাই সুযোগ,
বরং নিজেকে বাঁচানোই ভালো
এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হতে পারে?
যার বিবেক অন্ধ, তাকে পরিবর্তন করা যায় না
অজ্ঞ মানুষ সময়ের সাথে পাল্লা দিতে পারেনা
সেক্ষেত্রে অজ্ঞ মানুষ
ভুল পথ বেছে নেয়ার জন্য যথেষ্ট।
যদি অন্তরে বিভক্তি থাকে
যদি হৃদয় অপবিত্র হয়, যে
অভ্যন্তরীণভাবে, তবে, সেই বিবেক
তখন সেই হৃদয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়
এটা রাখার দায়িত্ব একমাত্র তার।
হে মানুষ, তোমার কি দরকার?
আপনি নিজেও জানেন না।
না জানার দোহাই দিয়ে এই বুঝি?
শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করে।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন, হ্যাঁ।
যদি কেউ কাউকে অনুসরণ না করে
আর কেউ তাকে অনুসরণ করে না।
তার প্রতিক্রিয়া শুরু হয় যখন আমরা
এটি অন্যদের থেকে লুকানোর চেষ্টা করি।
এটাই জীবন;
যখন জীবন বাতিক পূর্ণ
বেপরোয়া, বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ
তবে জানুন সেই জীবন
অপরাধের বোঝা বয়ে বেড়াতে
মুহূর্তের মধ্যে ধূলি-ধূসর হয়, অস্তিত্বহীন হয়।
যার কোন অস্তিত্ব নেই এবং কোন চিহ্ন নেই।
সেই জীবন অপরাধের বোঝা বয়ে বেড়াতে
মুহূর্তের মধ্যে ধূলি-ধূসর হয়, অস্তিত্বহীন হয়।
যার কোন অস্তিত্ব নেই এবং কোন চিহ্ন নেই।
সুনিপুণ অনুভূতি