মাঝেমধ্যে শাহেনশাহ হয়ে যাই। দু হাতে বিলিয়ে চলি সঞ্চিত নুড়ি পাথর। নিজের মনে নিজেকেই বলি ‘খুশহামদিল – খুশহামদিল’। রাত্রির মধ্যযাম হোক কিম্বা শীতের দুপুরের কৃপণ রোদ্দুর আমার মাথায় তখন ইউক্যালিপ্টাস পাতার তাজ, হাতে ময়ূর পালক।
সামনে নৃত্যরত বিদ্যুৎ মাটির পাত্রে মদিরা দেওয়ার আবছায়ায় গানের ফুলকি উড়িয়ে দেয়, ‘লাগ যা গলে…’। কখনো কি পুরোনো বিষন্নতার গান সত্য হয়ে যায় প্রত্যেক পায়ের জলছাপে। বাদশাহী মেজাজ গাঢ় হতে হতে সূর্যাস্তের শেষ রক্তহংস হয়ে যায়।
‘মুঝকো ইস রাত কো তানহাই মে আওয়াজ না দো…’। নদীর দু পাশের সবুজ ফসল প্রসবিনী ক্ষেত টাইম মেশিনের ফাঁকে পড়ে কখন যে ধূসর হয়ে যায় কেউ তার নিয়ত হিসাব রাখে না। তনহাই বেশি হয়ে গেলে মদিরা আক্রমণ করে মস্তিষ্কের কোষে।
নদীর পাশের পাখি আর হরিণেরা ফিরে যায় যে যার নিজের ঘরের বিশ্বস্ততায়। বাদশাহ ফিরে চলে নিজের ফেলে আসা কবরের শান্ত পাতাঝরা নীরবতায়। বেলা শেষের গান সুর তোলে আবহে।
মাঝে মাঝে ঝাপসা হয়ে যাই …
বাদশাহ ফিরে চলে নিজের ফেলে আসা কবরের শান্ত পাতাঝরা নীরবতায়।
বেলা শেষের গান সুর তোলে আবহে।
মাঝে মাঝে ঝাপসা হয়ে যাই …