বিদ্ধ বজ্রপাতের দিনগুলো ৩
লাস্ট ডাউন লোকাল চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোনটা এসেছিল। সবুজ থেকে আচমকাই লাল হয়ে যাওয়া সিগন্যালের একলা তার তখনও ঝনঝনিয়ে কাঁপছে, তার সুখসেকেন্ড টুপ করে ডুবে গেছে সাইকো সূর্যের হাত ধরে। ভিড় পাতলা হয়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্মে কুন্ডলী পাকানো কুকুর, বিড়ির আধপোড়া টুকরো, চাওলার ঝিম স্বপ্নযাত্রা আর বাঁধানো ইউক্যালিপটাসের অন্ধকার হয়ে আসা ক্রমিক তলায় বিধূরিত টিন চুমুর ঝড়। তখনই ফোনটা এসেছিল চলন্ত ট্রেনের কমপার্টমেন্টের ক্লান্ত ভয় মাখানো একরাশ স্বর বয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে।
হঠাৎ কি ম্যাজিকে লাজুক মফস্বলি প্ল্যাটফর্ম মধ্য আফ্রিকার জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরি হয়ে গেল! তার জ্বালামুখ বেয়ে গড়িয়ে নামতে লাগলো রাশি রাশি আগুন বমি করা লাভাস্রোত! পুড়তে শুরু করলো এক এক করে যত্নে, প্রেমে, আনুগত্যে গড়ে তোলা বসত গুলো। চারদিকে উড়তে থাকলো কালো পাঁশুটে ছাই – ছাই – শুধুই নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া ছাই। চড়চড় শব্দ করে সন্ধ্যেটা পুড়ে যেতেই ঝুপ করে ফাঁকা অনুরাগ সময়ের জবরদখল নিলো হিংসুটে রাত্রি। আকাশে তখনো আগুন উৎসবের শেষ প্রহরে শিকারী মাসাই ড্রাম বাজিয়ে চলেছে – দ্রিম দ্রিম দ্রিম … টিন চুমুগুলো আগুন এড়িয়ে কিভাবে যেন মাটির সাততলা অন্দরমহলে সেঁধিয়ে ইউক্যালিপটাসের আগামী অঙ্কুর হয়ে যেতে থাকলো। শেষ বসতবাড়ির একতলার ভাড়াটিয়াদের বাচ্চাটা তখনো পড়েই চলেছে, টুইংকল টুইংকল লিটল স্টার…।
অনন্য এবং অনবদ্য গদ্য। অনেক ম্যাচিউরড এবং অনেকটাই বক্তব্যধর্মী।
শুভেচ্ছা প্রিয় সৌমিত্র। শুভ সন্ধ্যা।
শুভেচ্ছা প্রিয় আজাদ ভাই। ভালো থেকো। ভালোবাসা।
একই সময়টা একেক জনের কাছে একেক চেহারা নিয়ে আসে।
ঠিক বলেছেন আসিফ আহমেদ ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
পড়লাম আর সময়টা অনুধাবন করলাম।
চমৎকার লিখেছেন শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ভালোবাসা পথিক ভাই।
* শুভ কামনা সবসময়, সুপ্রিয়….
ভালোবাসা কবি দিলওয়ার হুসাইন ভাই।
এমন লিখা কেবল আপনিই লিখতে পারেন কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
শুভেচ্ছা প্রিয় সুমন আহমেদ ভাই। ভালোবাসা।
অসাধারণ সৌমিত্র ভাই।
ধন্যবাদ সাঈদ ভাই।
অভিনন্দন কবি দা।
শুভেচ্ছা কবি বোন সাজিয়া আফরিন।
অভিনন্দন সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ধন্যবাদ কবি বোন শাকিলা তুবা।
সৌমিত্র আপনার বিদ্ধ বজ্রপাতের দিনগুলো ৩ এর কথা অনেক ভালো লেগেছে। বেশ সুন্দর করে লিখেছেন,শব্দের ব্যবহার ছিলো দারুন।
ভালোবাসা নিন মেঘ প্রিয় বালক ভাই।