অন্ত্যশূন্য গ্রহণকাল
আজ একটা সময়ে তোমার গলা শোনার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল সোনামন
সেই সময়ে সন্ধ্যা নামছিল পাখির পালকে তিরতিরে কাঁপন জড়িয়ে
রাস্তার দু পাশের পা ছড়িয়ে গল্প করতে বসা গাছেরা নিছক কৌতূহলে
ঝুঁকে পড়ে দেখছিল আমার অর্বাচীন কার্যকলাপ কেমন হাঁটিহাঁটি পা পা করে এগোচ্ছে
পেরিয়ে চলে যাওয়া কিছু মানুষ, কাজ আর বাড়ির মধ্যে যাদের হাইফেন নেই একেবারেই
তাচ্ছিল্যের খালি প্যাকেট ছুঁড়ে দিচ্ছিল আমার ক্ষণিক অবস্থানের দিকে
যেভাবে তাদের ব্যক্তিগত বউয়ের দল সোনাদানার হিসেবনিকেশের ফাঁকে
কর্পোরেশনের ভ্যাটে ছুঁড়ে দেয় মাসিক রক্তমাখা প্যাড;
তুমি তো জানোই, বহুবার বলেছি এখানে সান্ধ্যখাঁচায় রাত্রি নামে না বহুদিন হয়ে গেল
দিনও লুকিয়ে থাকে তঞ্চকতার ফেরারী আসামির মতো মেঘের আড়ালে
বলেছি শোন সোনামন আমার অর্জুনের চোখ কেবলই তোমাকেই খোঁজে অমলতাসের পাতায়;
অথচ সারাদিন আমার চেয়ে থাকা ফিরে আসে ব্যুমেরাং হয়ে আমারই বন্ধ হয়ে যাওয়া দ্বিচক্র যানের দিকে;
আজও সারাদিন তোমার গলা মেরুবলয়ের ওপারে অশ্রুতই থেকে গেল সোনামন!
ইন্টারেস্টিং লিখা প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী। তুমি পারোও বটে !!
লিখার শিরোনাম দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। না জানি গম্ভীর কিছু হবে হয়তো।
রাশি বিরহে সোনামন’কে আমারও কিছু বলতে ইচ্ছে করেছে। যেন বলি …

“আজও সারাদিন তোমার গলা মেরুবলয়ের ওপারে অশ্রুতই থেকে গেল সোনামন!”