পর্ণমোচী পাতার সঙ্গে একদিন
ভেবেছিলাম, শ্যামবাজার পাঁচমাথায় সুভাষের ঘোড়ায় চেপে
তোমাকে চুমু খাবো।
ভেবেছিলাম, ভর্তি সংসদের গম্ভীর সময়ে দু আঙুল জিভের তলায়
সিটি মারব।
ভেবেছিলাম, অরণ্যের কাছে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে
দেব এক থালা ভাত।
কুসুমাস্তীর্ণ স্বপ্ন কেটে যায় খল সময়ের অনুভূতিহীন
খঞ্জর আঘাতে।
অরন্যের অন্ধকারের গন্ধ মাখা শুঁড়িপথ চমকে শোনে
আগন্তুক পায়ের গোঙানি।
দুহাতের তালুতে আলতো ছোঁয়ার আদরে ধরি তোমার
লাউডগা শরীর।
একটা মাত্রই বর্ণময় দিন সম্বল আমার তোষাখানায়
ব্যাঙের আধুলি।
সূর্যের লাল থেকে লাল লক্ষ্মণরেখায় যত হাসি কান্না রাগ
সুক্ষ্ম অভিমান।
তারপর ফের সেই একশো আশি ডেসিবেলের শব্দনগরীতে
একাকী দাঁড়িয়ে।
একাকিত্ব শব্দ মাত্র নয়, পর্ণমোচী, জলদ সরোদের তারে
টুং টাং অনুভব।
হাজার আগাছার ভিড়েও আকাশচুমু খাওয়া একাকী যুবক
সাড়ে চারশোর বাওবাব।
ঝুম সকাল থেকে তোমাতে জড়ানো নিষাদরাত পেরলেই বাকী জীবন
আবার একাকী আমি।
কখনো কোন ব্যাকরণ মানা তোষামোদকারী মন রাখা কথা
বলতে পারিনি।
সারাদিন শুধু এঁকেই গিয়েছি তোমার ঠোঁটে রোদ্দুর আর চোখের তারায়
পাহাড়ি ঝোরার অবিরাম ধারাজল।
আজ নতজানু, পর্ণমোচী, আমার যা কিছু নাবালক খেলা আর অনুরাগ
ক্ষমা করে দিও।
অদ্ভুত এক শাব্দিক সমারোহে অনুভবের মায়াজাল। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়কবি সৌমিত্র।