সমাজমনস্ক সুকুমার রায় – বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয়
সুদূর চর্যাপদের আমলে বাংলায় সাহিত্য চর্চার প্রারম্ভিক অবস্থান। কাল বিবর্তনের সঙ্গেই ঘটেছে সাহিত্যের ক্রমবিবর্তন। ক্রমশই বাংলা সাহিত্য ধর্মপ্রাণতা ছেড়ে ঝুঁকেছে সমাজ মনস্কতার গভীর বিশ্লেষণে। একের পর এক শক্তিশালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষাকে, প্রেরণা দিয়েছেন বাঙালি জাতিকে। এঁদের অন্যতম হয়েও এক ভিন্নতর মর্যাদার উৎসমুখে অবস্থান করছেন সুকুমার রায়।
ব্রাহ্মসমাজের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বাধীনচেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে বিধুমুখী দেবী এবং বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বহুমুখী প্রতিভা কিশোর সাহিত্য সম্রাট উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর দ্বিতীয় সন্তান সুকুমারের জন্ম কলকাতায়। ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতাতেই স্কুল এবং কলেজে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে ডাবল অনার্স নিয়ে বিএসসি পাঠক্রম শেষ করে তিনি ১৯১১ সালে মুদ্রণ শিল্পে উচ্চতর শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে লন্ডন যাত্রা করেন। কৃতিত্বের সঙ্গে সে কাজ সমাধা করে ফিরে এসে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি।
বাবারই মতোই তাঁরও ছিল বহুমুখী প্রতিভা। সাহিত্য সৃষ্টিতে, চিত্রশিল্পের অভিনব ঘরানায়, মুদ্রণ শিল্পে, ব্রাহ্মসমাজ পুনর্গঠনে বা বিজ্ঞানে তাঁর গভীর অভিনিবেশ লক্ষ্য করার মত।
(চলবে)
সমাজমনস্ক সুকুমার রায়। নিশচয়ই তিনি বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয়। ___ পড়ে চলেছি প্রিয় কবি সৌমিত্র। চলুক। শুভ সকাল।
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
চলুক কবি সুকুমার রায় এর জীবন কাহিনী