চর্কি আর হাউইগুলো শিস কেটে
উড়ে যাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত আনন্দে,
অতিরিক্ত নান আর চিলি চিকেন
ঢুকে যাচ্ছে ফ্রিজিডিয়ারের পেটে,
সুমন কে গলায় তুলে অয়্যারলেস
মাইক্রোফোন হাতে হাসির ফুলঝুরি
ছড়িয়ে স্টেজে উঠছে রূপঙ্কর, নচিকেতা,
ছেষট্টি মিটার তিন রঙা ফ্ল্যাগ
উপমহাদেশে একচ্ছত্র আধিপত্যের
তর্জনী উঁচিয়ে ওড়ার জন্যে তৈরী।
ডাস্টবিনের পাশে পাড়ার কেলো
আর ন্যাংটো নামহীন জড়াজড়ি-
মশাও আর রক্ত পায়না ওদের
কাঠি কাঠি হাত পায়ে।
ছেচল্লিশের ক্ষতবিক্ষত চেহারাগুলো
বিস্মরণের কোন ঢেউয়ে ডুবে টাইটানিক,
বর্ডার এখন দুই প্রতিবেশীর
উচ্ছিষ্ট ভাগের কুকুর কেলেঙ্কারি,
আলু পেঁয়াজের নিত্যমূল্য
এখন দেশদ্রোহীর এজেন্ডা।
শুরু হয়ে গেছে চক দে ইন্ডিয়া,
বাজচমকানো হাততালিতে উড়তে থাকে
ভাসমান সরের তৈরী ফানুস,
আজ শুধুই সুখের কথা হোক!
"শুরু হয়ে গেছে চক দে ইন্ডিয়া,
বাজচমকানো হাততালিতে উড়তে থাকে
ভাসমান সরের তৈরী ফানুস,
আজ শুধুই সুখের কথা হোক!"
দারুণ চিত্রকল্প; অসাধারণ ফিনিশিং!
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
খুশি হলাম প্রিয় ডেজারট ভাই। ধন্যবাদ।
চমৎকার শব্দ ভাবনা প্রিয় কবি সৌমিত্র।
অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
অসাধারণ লেখেছেন কবি দা
ভালোবাসা কবি আলমগীর লিটন ভাই।
শুরু হয়ে গেছে চক দে ইন্ডিয়া
ভালোবাসা কবি ইলহাম ভাই।
"ছেচল্লিশের ক্ষতবিক্ষত চেহারাগুলো
বিস্মরণের কোন ঢেউয়ে ডুবে টাইটানিক,
বর্ডার এখন দুই প্রতিবেশীর
উচ্ছিষ্ট ভাগের কুকুর কেলেঙ্কারি,
আলু পেঁয়াজের নিত্যমূল্য
এখন দেশদ্রোহীর এজেন্ডা।"
সুন্দর লেখার জন্য শুভকামনা রইল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ কবি ফেনা ভাই।
"ডাস্টবিনের পাশে পাড়ার কেলো
আর ন্যাংটো নামহীন জড়াজড়ি-
মশাও আর রক্ত পায়না ওদের
কাঠি কাঠি হাত পায়ে।"
আমার শরীরে রক্ত নাই দাদা। রক্তশূন্যতায় ভুগছি।
তারপরও সব মিলিয়ে ব্যালান্সিং থাকুন কবি নিতাই বাবু।
আপনার এই কবিতাটি আগে চোখে পড়েনি। আজকে পড়লাম কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
এই জন্য রিপিট করলাম সুমন ভাই। এমন অনেক পোস্টে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়নি। মন্তব্যের উত্তর দিতে না পারলে অস্বস্তি লাগে।
ছেচল্লিশের ক্ষতবিক্ষত চেহারাগুলো
বিস্মরণের কোন ঢেউয়ে ডুবে টাইটানিক,
======


ভালোবাসা কবি চারু মান্নান ভাই।
অভিনন্দন কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ধন্যবাদ কবি বোন সাজিয়া আফরিন।
রাষ্ট্রীয় শোষণ, বৈষম্য, মিথ্যাচারের স্বীকার তৃতীয়বিশ্বের সব দেশ এবং বিশ্বের ৯০% মানুষ। শোষকরা এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী। যাদের শ্রমে টিকে থাকে দেশ, তার অনাহারে। এই শোষণ নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয় সংবিধান, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়া।
অসাধারণ সৌমিত্র দা





ধন্যবাদ আসিফ আহমেদ ভাই।
তবে তাই হোক ভাই তবে তাই হোক
আজ শুধুই সুখের কথা হোক
সেই ভালো কবি যাযার ভাই।
অসাধারণ শব্দশৈলী প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী দা। ভালোবাসা নিবেন।
ভালোবাসা কবি আদেল পারভেজ ভাই।
কাশ্মীর ইস্যুতে আপনার ভাবনা নিয়ে লিখুন।
মনে হলো নির্দেশ দিলেন !!
আমরা অপেক্ষা করছি। ইত্যবসরে আপনার ভাবনা জানতে চাই।
যারা কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন বলে লাফাচ্ছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করি ঝারখন্ডে, ৩৬ গড়ে আদিবাসী অধিকৃত জমি অন্য কেউ কিনতে পারে না কেন? অরুনাচল প্রদেশে অন্য প্রদেশের লোক জমি কিনতে পারে না কেন? ৩৭০ ধারা বিলোপ আসলে ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই ধারা বিলোপ করে কি আপামর জনতার লাভ হলো কিছু? গরীব মানুষ গ্যাস কিনতে পারেন না, কেরোসিন তেল কষ্টেসৃষ্টে কিনে সংসারের কাজ চালান। এক লিটার কেরোসিন তেলের দাম এখন প্রায় চল্লিশ টাকা। ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে কি কেরোসিন তেলের দাম কমবে? কমবে কি পেট্রোল ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামের ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম?
বাংলা, হিন্দি সহ আঞ্চলিক মাধ্যমে পাশ করা কয়েক কোটি বেকার ছাত্রছাত্রীদের সামনে কাজের জগতের দরজার চাবি কি ৩৭০ ধারা? এই ধারা বিলোপের ফলে কি চীন আর পাকিস্তানের দখলে থাকা বিপুল পরিমাণ ভারতের জমি ফেরত আসবে? ভারতের মত উন্নয়নশীল দেশের কোনোও একটা জাগতিক সমস্যার সমাধান হবে কি এই ধারা বিলুপ্ত হলে যাতে এই বিশাল দেশের প্রত্যেক রাজ্যের নিম্নবিত্তের মানুষ উপকৃত হবে?
৩৭০ ধারা বিলোপ হলো, আমরা তাতাথৈথৈ করে নাচতে শুরু করলুম, কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলুম, অসভ্যতার সীমা ছাড়াতে শুরু করলো সোস্যাল নেটওয়ার্ক সমেত সব মাধ্যমে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলের অপদার্থতা ঢাকা দেবার জন্য এই মিথ্যা প্রচার ভাইরাল হলো।
যেসব জায়গায় আগামী দু বছরের মধ্যে নির্বাচন সেখানে আরও হিংস্রতা বাড়ালো রাষ্ট্র ক্ষমতাশালী দল। কিন্তু ভারত থাকলো সেই দরিদ্র আর দরিদ্রেতর অন্ধকার গলির মধ্যেই। আসলে এই ৩৭০ ধারা বিলোপ যে এক বৃহৎ কর্পোরেট ধোঁকা তা বোঝার ক্ষমতা আম জনতার কোনোদিনই হবে না।