মৌলিক গদ্য

“আসতে যেতে ঝলকিয়া যায় রে যৌবন…।”
প্রায় বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে যৌবন ক্ষণস্থায়ী। হাতে গোনা গুটিকয় পারে যৌবন ধরে রাখতে। তাঁরা অমর হয়ে যান। যৌবন যায় প্রৌঢ়ত্ব আসে। প্রৌঢ় ফের বার্ধক্য আবাসে যান। তারপর আসে শৈশব।

আর দ্বিতীয় শৈশব শেষ হলে সেই টিলা খুঁজে পায় মানুষ। লাল মাটির না রাস্তার অপর প্রান্তে সে এক আশ্চর্য টিলা। চূড়ায় একাকী এক কৃষ্ণচূড়া গাছ লাল ফুলে আগুন জ্বালিয়ে জ্বলছে এক ঋতু জুড়ে। সেই অনির্বচনীয় দৃশ্য সবাই দেখতে পায় না। পায় সেই মহাজন যে দ্বিতীয় শৈশবের নরম রাস্তায় পা ফেলে হেঁটে গেছে সেই টিলার দিকে যার অবতলে কখনো কোনো যাযাবরের পায়ের ছোঁয়া লাগে নি। সম্পূর্ণ অনাবিষ্কৃত সেই আগামী অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে তাকিয়ে থাকে সব কদর্যতা, সব আবিলতা, সব প্রবঞ্চনার ওপরে আঁকা সোনালী সূর্যের আলোয় ফলিত আকাশগঙ্গার দিকে।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

14 thoughts on “মৌলিক গদ্য

  1. একজন লেখক তার নিজস্ব গদ্যে সব সময় সত্য উচ্চারণটাই করে। শুভেচ্ছা কবি। 

  2. সব প্রবঞ্চনার ওপরে আঁকা সোনালী সূর্যের আলোয় ফলিত আকাশগঙ্গার দিকে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  3. জীবন যৌবন নিয়ে আপনার মনোভাব এবং লেখা চির সত্য। সতি যৌবন ক্ষণস্থায়ী। আবার কারো কারো চিরস্থায়ীও। যিনি যৌবনকে সাধন করতে পেরেছেন, তিনিই মহা সাধক, মহাজ্ঞানী। 

    শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।                  

  4. * অপরাহ্ণের পথে ছুটে চলে জীবন-যৌবন….!!!

    প্রিয় কবি দা, শুভ কামনা সবসময়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  5. রোমান্টিক মানুষ অনন্তকাল ১৮ কিংবা ২১। কারো মনে প্রেম নেই তো সে বৃদ্ধ; সবসময়ই বৃদ্ধ- তার বয়স যতো কমই হোক না কেন। 

    1. সম্পূর্ণ অনাবিষ্কৃত সেই আগামী অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে তাকিয়ে থাকে সব কদর্যতা, সব আবিলতা, সব প্রবঞ্চনা। ভালোবাসা প্রিয় ডেজারট ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।