এইতো আসছি, বল্লেই
সরকার তার সেরা গাড়ী হাজির করে দোরগোড়ায়,
এই তো, রেডি স্টেডি…মুখ থেকে
খসাতে না খসাতেই এক্সপ্রেসওয়ে
তুড়ুক লাফে সেজেগুজে গতজন্মের
পিনভাঙা গ্রামোফোন হয়ে একটানা
বলে যায় গো…গো…গো…
আমিও যাই, আগে পেছনে দৌড়ায়
আমার এসকর্ট অ্যাসফল্টের সাদা বর্ডার।
নেচেগেয়ে হেসেকুদে জার্নির একানব্বই শতাংশ
জমজমাট বাঁধিয়ে দিতে দিতেই এগোয়
দুপাশের মরশুমি চাষ গোবাথান অশোকের
আমলের সম্রাটবৃক্ষ সতেজ সটান
আর কিছু অক্রবক্র পিনফোটা মানুষ।
এলাম বললেই একাডেমি সেজে ওঠে
রঙিন বেলুন আর লালকার্পেটে,
হিহি হেসে দ্বিতীয় হুগলী সেতু
দুলতেই থাকে… দুলতেই থাকে…
বাস ট্রাম ট্যাক্সির লেজমাথাশূন্য স্রোত
থেমে গিয়ে বিউগল বাজায়,
লেফট রাইট মার্চ করে পেল্লাই গেট খুলে
গার্ড অব অনার দেয় ফোর্ট উইলিয়াম।
পেছনে ঝগরুটে বসের মত
টিকটিক লেগে থাকা ঘড়িও অবাক গ্রাম্য চোখে
দেখে মাখে মাঝ সমুদ্রের কবিতা।
তারপর, যেই বলি, চলি টা টা…, চলি এবারের মত –
অমনি ট্রেন বন্ধ, বাস বন্ধ, ট্যাক্সি অটো সব ভ্যানিশ,
রাত্রি তখন এপার ওপার।
4 thoughts on “আসা যাওয়া”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
"চলি এবারের মত –
অমনি ট্রেন বন্ধ, বাস বন্ধ, ট্যাক্সি অটো সব ভ্যানিশ, রাত্রি তখন এপার ওপার।"
আপনার লিখায় যেটা লক্ষ্য করি সেটা হচ্ছে গতি এবং প্রকৃতি। সাথে ভেরিয়েশন।
অক্ষর বর্ণ ও শব্দ সবই কমনীয় ।
আমার প্রিয় কবি শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদার কবিতা বলে কথা। এক কথায় অসাধারণ। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
অসাধারণ কবি দা