ধীরে ধীরে রাত্রির শ্বাস গাঢ় হয়ে আসছে। মাথার ওপরে পৃথিবীর ছাদ রঙ বদলে যাচ্ছে একটানা, হালকা ছায়া থেকে গভীর, আরও গভীর, আরও গভীরতর। কুমারী হাওয়ায় শরীরের প্রত্যেক খাঁজে লেখা হয়ে যাচ্ছে অলৌকিক কবিতা। নেপথ্যে প্রগাঢ় নিবেশে মান্না ভাসছে – “ক ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে…”।
হাতে গোনা দিন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। কখন যে বৈশাখী উদ্বেলিত মেঘের দল শান্ত হৈমন্তিক রোমান্স পেরিয়ে পৌষের নীল শীতআদরের দরজায় ডেকে যায়, কখন যে সময় ফুরিয়ে যায় কেউই তার হিসেব রাখতে পারে না।
শেষ বাস্তুসাপও মাটির ত্রিশ হাত নীচে আশ্রয় নিয়েছে কুণ্ডলী পাকিয়ে। তার খসখসে আপাত প্রেমবোধশূন্য ত্বক আস্তে আস্তে মোটা হয়ে পরম প্রেমে জড়িয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখবে আসন্ন অন্ধকার শীতের কামড় থেকে। পৃথিবীর শেষ বাস্তুসাপের দু চোখের মাঝখানে বয়ে যায় ছোটনাগপুর মালভূমির স্বচ্ছ একলা ঝোরা।
মাটির ওপরে হেমন্ত কুয়াশার দিকে এক মুঠো তাচ্ছিল্য ছুঁড়ে দিয়ে হেঁটে যায় আজন্ম বালক, যার মস্তিষ্কে আজও পর্যন্ত কোনো ক্ষমতা দখলের গল্প কড়া নাড়েনি। প্রাচীন সিন্ধুর ছলছল ঢেউ তাকে ডেকে বলে, “এ দিল তুম বিন কাঁহি লাগতা নেহি, হাম ক্যায়া করেঁ…”।
“এ দিল তুম বিন কাঁহি লাগতা নেহি, হাম ক্যায়া করেঁ…”।

চমৎকার আপনার লেখনী l ভালো থাকবেন ,