মাত্র আঠারো বছর বয়সে জার্মানির ব্যেভেরিয়ার রাজ সিংহাসনের দায়িত্ব পেয়ে দ্বিতীয় লুডউইগের মন ভালো ছিলো না। রাজ কাজে নয় তার মন পড়ে থাকতো অন্য কাজে। রাজার ভালো লাগতো অপেরা দেখতে, গান শুনতে। নিজের কল্পনার দুনিয়ায় মগ্ন রাজা ব্যেভেরিয়ান আল্পসের সৌন্দর্যে মুগ্ধ। রাজার খেয়াল হলো সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আকাশে একটা প্রাসাদ গড়তে হবে।
ব্যেভেরিয়ার রাজ সিংহাসনের দায়িত্ব পেয়ে দ্বিতীয় লুডউইগের হঠাৎ খেয়াল হলো প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আকাশে একটা প্রাসাদ গড়তে হবে। এই কাজে রাজাকে উৎসাহ দিল অপেরা পরিচালক তার বন্ধু রিচার্ড ওয়াগনার। নক্সা পছন্দ হলো রাজার। শুরু হলো প্রাসাদ তৈরির কাজ। প্রাসাদ তৈরি করতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারে টান পড়ল। রাজ্যের পাহারার জন্য দুর্গ নয়, প্রাচীর নয় শুধুই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এতো খরচ? রাজাকে বলা হলো পাগল। দেনায় ডুবতে থাকল রাজা দ্বিতীয় লুডউইগ। প্রকৃতি পাগল এই রাজা বাস্তবের দুনিয়া থেকে বহু দূরে এক স্বপ্নের দুনিয়ায়, এক ফ্যান্টাসির দুনিয়ায় বাস করে। রাজার ঘরের দেয়ালের ছবিও সেই ফ্যান্টাসির কথা বলে। পৃথিবীতে বোধহয় আশ্চর্য ইতিহাস, আশ্চর্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে অদ্ভুত চিন্তার মানুষদের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি। আমরা সাধারণ মানুষ তাদের পাগল বলে হেলা করি আবার সেই পাগলের সৃষ্টি দেখতেই ছুটে যাই।
এদিকে যখন প্রাসাদের কাজ শেষের দিকে ততদিন ঋণে ডুবে আছে পাগল রাজা। তেমনি সময়ে লেকের জলে রাজার রহস্যময় মৃত্যু হলো। রাজ্যের গুণিজনরা বলল এটা আত্মহত্যা। ঋণে ডুবে থাকা রাজার হয়তো নিজে মধুর স্বপ্নের জগতের বাইরের কঠিন বাস্তব জগতে বাঁচার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় বলে মনে হয়েছিল।
রাজা মারা যাওয়ার মাত্র চারদিন পরেই এই প্রাসাদের দরজা জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেই দিন থেকে আজো প্রতিদিন পাগল রাজার পাগলামির নিদর্শন দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রাসাদের দরজায় ভিড় করে। গরমের সময় প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার মানুষ এই ক্যাসল দেখতে আসে।
সাদা পাথরের ক্যাসলটি সত্যিই যেন স্বপ্নের ক্যাসল, রূপকথার ক্যাসল। এমনকি এই ক্যাসল ওয়াল্ট ডিজনিকে প্রেরণা দিয়েছে। এর আদলেই তৈরি হয়েছে ডিজনিল্যান্ডের রূপকথার প্রাসাদ। প্রাসাদের নিচে বিশাল খাদ আর দুই পাহাড়কে জুড়েছে লোহার ঝুলন্ত সেতু। আর এই সেতু থেকেই নিচওয়ানস্টিন ক্যাসলের দৃশ্য সবচেয়ে ভালো দেখা যায়।
ভাল বিষয় শেয়ার করেছেন। আমরা জানি; কিন্তু কতটা জানি … সেটা জানি না।
সাদা পাথরের ক্যাসলটি সত্যিই যেন স্বপ্নের ক্যাসল, রূপকথার ক্যাসল। এমনকি এই ক্যাসল ওয়াল্ট ডিজনিকে প্রেরণা দিয়েছে। এর আদলেই তৈরি হয়েছে ডিজনিল্যান্ডের রূপকথার প্রাসাদ।
___ আজকে সত্যতা পেলাম। ফ্রান্স ডিজনিল্যান্ড ঘুরবার সময় প্রশ্নটি মাথায় এসেছিলো। উত্তর পাইনি। পাগলা রাজার প্রাসাদ থেকে এই আইডিয়া পেয়েছেন মি. ওয়াল্ট ডিজনি জেনে মনকে অন্তত শান্তনা দিতে পারলাম।
সাদা পাথরের ক্যাসলটি সত্যিই যেন স্বপ্নের ক্যাসল, রূপকথার ক্যাসল।
শুভেচ্ছা জানবেন।
বিশদ জানা হলো।
* শুভ কামনা সবসময়…
ইতিহাস জানতে আমি বরাবরই আগ্রহী
বেশ ভালো লাগলো
শুভকামনা রইলো