শীতের পূর্বপ্রস্তুতি
ভোর হতেই হিম শীতল অনুভূতি। এ যেন শীতের আগমনী বার্তা। তাই শীত আসার আগেই আমাদের হতে হবে সতর্ক। শীতের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে যেসব বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আগের বছরে ব্যবহৃত শীতের পোশাক-আশাকের যত্ন, শীতের নতুন পোশাক-আশাক সংগ্রহ এবং শরীরের যত্ন।
পোশাকের পাশাপাশি শরীরের যত্ন নেয়া শীতের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময় শরীরের যত্ন নিতে একটু গাফিলতি করলেই হাত, পা এবং শরীরের যে কোনো অংশ ফেটে যাওয়াসহ ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য রোগবালাই বাসা বাঁধতে পারে। সেক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে সেগুলো হলো ভ্যাসলিন, লিপগার্ড, বডিলোশন, গ্লিসারিন বা মুখে মাখার ডে ক্রিম সঙ্গে রাখা যেতে পারে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের যত্ন নেয়ার সুযোগ থাকে।
শীতে মেয়েদের একটু বেশি যত্ন নিতে হয়, কেননা মেয়েরা ঘরে এবং বাইরে উভয়ক্ষেত্রে কাজ করে। এছাড়া ঘরে সন্তানের লালন-পালনের কারণে নিজের ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক মা-ই ভুলে যান। তাই এ সময়ে মেয়েদের একটু বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত। সদ্য নবজাতকের মায়েরা ছোট্ট শিশুটিকে সামলাতেই ব্যস্ত সময় পার করেন। তাই নিজের প্রতি খেয়াল করে ত্বকের যত্ন নেয়া তার সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ জন্য বাইরে না গিয়ে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় ত্বক চর্চার অনুষঙ্গগুলো আনিয়ে নিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন আর সদ্য নবজাতকটির যত্ন বেছে নিতে পারেন ভালো কোনো ব্র্যান্ডের বেবিলোশন, বেবিঅয়েল যা আপনার পারিবারিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।
মাথার চুল খুশকিমুক্ত রাখতে মাথায় ক্যাপ বা স্কার্প ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেদের মাথায় টুপি বা হ্যাট ব্যবহারই মানানসই। এক্ষেত্রে বাইরের ধুলাবালি পারতপক্ষে এড়িয়ে চলাই ভালো। ছেলেমেয়েরা গরম কাপড় ব্যবহারের পাশাপাশি গলায় মাফলার, হাত ও পায়ে মোজা ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় অনেক দোকানে গরম কাপড়ের পাশাপাশি ফ্যাশনেবল মাফলার, হাত ও পায়ের মোজাও পাওয়া যায়। সেখান থেকে নিজের পছন্দেরটি সংগ্রহ করতে পারেন।
সোয়েটার, শাল, জ্যাকেট আলমারি থেকে বের করে রোদে দিতে হবে। অনেক দিন ব্যবহার না করলে পোশাকে ভাপসা গন্ধ হয়, রোদে দিলে তা দূর হয়। লেপ, তোশক, কম্বল, চাদর ইত্যাদিও রোদে দিতে হবে। রোদ থেকে তোলার পর তা ঝেড়ে ঘরে রাখতে হবে আর ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসবের ওপর কাপড়ের কভার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। উল, ফ্লানেলের জিনিসও রোদে দেয়া উচিত। কারণ, তুলে রাখা কাপড়ে অনেক সময় ফাঙ্গাস পড়ে। এতে শরীরে রোগ-বালাইয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
সোফার কভার, পর্দা শীতের আগেই একবার ধুয়ে ফেলা উচিত। তা ছাড়া শীতকালে পর্দা বেশি নোংরা হয়, তাই প্রতিদিন পর্দা ঝাড়া উচিত। ঘরের মেঝেতে শতরঞ্জি বিছিয়ে নিতে হবে। সামর্থ্য থাকলে ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন। এতে শীত কম অনুভূত হয়। শীত আসার আগেই ওয়াটার হিটার, গিজার ঠিক আছে কিনা, সেগুলো দেখে নিতে হবে।
ইতোমধ্যে শীতের নতুন পোশাক বাজারে এসেছে এবং কম-বেশি কেনাবেচা শুরু হয়েছে। যারা এখনো শীতের নতুন পোশাক সংগ্রহ করেননি, পুরো শীত আসার আগেই তা খুব দ্রুত সংগ্রহ করা উচিত। কেননা শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শীতের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে যেসব বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আগের বছরে ব্যবহৃত শীতের পোশাক-আশাকের যত্ন, শীতের নতুন পোশাক-আশাক সংগ্রহ এবং শরীরের যত্ন। ___ বিষয়টি খুব করে মনে রাখলাম।
এ বছর ভারতের পশ্চিমবাংলা সহ সারা বাংলাদেশে কঠিন শৈত্য প্রবাহের খবর শুনতে পাচ্ছি। গতপড়তা কয়েক বছর শীত যেমন তেমন ভাবে পেরুলেও এবার আর সম্ভব হবে মনে করছি না। এবার রক্ষে নেই। শীতের প্রস্তুতি নিতেই হবে। ধন্যবাদ বোন।
ভ্যাসলিন, লিপগার্ড, বডিলোশন, গ্লিসারিন বা মুখে মাখার ডে ক্রিম খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। আমি কাছেই রাখি।
* প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি…
শুভরাত্রি।
শীত বিষয়ে আপনার দিকনির্দেশনা খুব সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি। তবে এবার আমার শীতের পোশাক কিনতে হবে না। গতবারে কেনা যা আছে তাতেই চলবে।
আপনে অজস্র ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি।