অপরিষ্কার পানির বোতলে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি
ব্যক্তিগত এবং একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল ব্যবহার করা একটি স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত। তবে এই পানির বোতল সময় মতো পরিষ্কার করা না হলে সেই বোতলের পানি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ইত্যাদি জীবাণু আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে।
নিউ জার্সির উইলিয়াম পিটারসন ইউনিভার্সিটির এক মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেন, “এই জীবাণুগুলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বোতলের পানিকে সংক্রমিত করতে পারে, বিশেষ করে যখন বোতলের মুখ খুলে ফেলে রাখা হয়।” তাই স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের অবলম্বনে জানানো হল এই পানির বোতলে কীভাবে জীবাণু ছড়ায় এবং কতদিন পর পর বোতল পরিষ্কার করা উচিত।
জীবাণু সংক্রমণের প্রক্রিয়া: বোতলে মুখ লাগিয়ে পানি পান করলে মুখের লালা থেকে ব্যাকটেরিয়া পানিতে মিশে যায়। মুখে কোনো খাদ্যকণা থাকলে সেটাও বোতলের পানিতে মিশে যেতে পারে যা পরিষ্কার করা না হলে পরে সৃষ্টি করবে জীবাণু। এই কারণেই পানির বোতল একাধিক মানুষের মাঝে ভাগিভাগি করতে নিষেধ করা হয়। পরিবারের সবার জন্য পৃথক পানির বোতল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর অসুস্থ অবস্থায় নিজের পানির বোতল অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার আগে আরও বেশি সাবধান থাকা উচিত।
পানির বোতল কোথায় রাখবেন সে বিষয়েও সাবধান হওয়া জরুরি। আর্দ্র পরিবেশ জীবাণুর বংশবিস্তারের গতি বাড়ায়, বিশেষ করে বোতলটি যদি স্বচ্ছ হয়। জীবাণু সংক্রমিত বোতল ব্যবহারের ঝুঁকি: একজন অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসার কারণে যেসব রোগ সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে তার সবগুলোই ছড়াতে পারে পানির বোতলের মাধ্যমে। এমন নয় যে যত জীবাণুর সংস্পর্শে আসবেন তার সবগুলোই রোগের কারণ হবে। তবে নতুন জীবাণুর সংস্পর্শে আসা রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।
পানির বোতল পরিষ্কার: ব্যক্তিগত পানির বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। দিন শেষ ঘরে ফিরে পানির বোতল খালি করে তা বাসন পরিষ্কার করার সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করাকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সাবান ধুয়ে ফেলার জন্য কয়েকবার পানি ভরে বোতলটি ঝাঁকিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
বোতলের পুরানো পানিতে নতুন করে পানি মেশানো উচিত নয়। পুরানো পানি ফেলে দিয়ে নতুন করে পানি নিতে হবে।
ঠিক কথা
সবার সতর্ক থাকা দরকার
অপরিষ্কার পানির বোতলের পানি পান করলে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তেই হবে।
পানিবাহিত রেগ ভয়াবহ। আমাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সচেতন হতে হবে।
আলসেমীর কারণে তো পরিস্কার করাই হয় না
ধন্যবাদ আপি মূল্যবান পোস্টের জন্য
খুব দারুন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পানির বোতল অনেক সময় নিয়ম মেনে প্লাসিত ম্যাটেরিয়াল দিয়েও বানানো হয় না ।
শুভ কামনা রইল!
ধন্যবাদ প্রিয় দিদি ভাই। পরামর্শটি আমাদের সবার মনে রাখা দরকার।
ভালো পরামর্শ বোন সুরাইয়া নাজনীন।
জানার পোস্ট। মাথায় নেয়ার পোস্ট।