শাহি জর্দার রেসিপি
শাহি জর্দার নাম শুনলেই জিভে জল চলে। বেশিরভাগ সময় শাহী জর্দা আমরা বাইরে থেকে কিনে খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি ঘরেই বানাতে পারেন সুস্বাদু এই শাহী জর্দা। আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন শাহি জর্দা-
উপকরণ
পোলাও চাল ২৫০ গ্রাম, চিনি ২৫০ গ্রাম, ঘি এক কাপ, মোরব্বা টুকরো করে কাটা আধা কাপ, কাজুবাদাম কুচি এক টেবিল চামচ, দুধের সর এক কাপ, গুটি মিষ্টি ১০/১৫টি, জর্দার রং আধা চা চামচ কেওড়ার জল আধা চা চামচ।
তৈরি প্রণালি
একটি পাত্রে আধা কেজি পানিতে জর্দার রং দিয়ে চুলায় চাপিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে এলে এতে চাল চাপিয়ে সেদ্ধ করুন। পুরো সেদ্ধ করবেন না । এবার একটি ঝাঁজরিতে সেদ্ধ ভাত ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্র চুলায় চাপিয়ে এতে ঘি দিয়ে হালকা গরম করুন। এবার চিনি দিয়ে নাড়তে হবে।
চিনি গলে আঠালো হয়ে এলে এতে সেদ্ধ করা পোলাও চালের ভাত দিয়ে এর মধ্যে বাদাম ও মোরব্বা কুচি দিতে হবে। এভাবে চুলায় ১০/১৫ মিনিট পর্যন্ত নেড়ে রান্না করতে হবে। চিনির পানি শুকিয়ে এলে রান্না শেষ হবে। এর ওপর গুটি মিষ্টি ও দুধের সর ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শাহি জর্দা।
গুটি মিষ্টি আপনি চাইলে বাসায় নিজেই তৈরি করতে পারেন।
বানাতে যা যা লাগবে
ময়দা/আটা তিন টেবিল চামচ, তেল এক চা চামচ, গুঁড়া দুধ এক কাপ, ডিম একটি, চিনি এক চা চামচ, চিনির সিরা, ভাজার জন্য তেল।
গুটি মিষ্টি বানানোর প্রণালি
প্রথমে ময়দা আর গুঁড়া দুধ একসঙ্গে মেশান। তার পর এতে একে একে তেল, ডিম, চিনি দিয়ে ভালোমতো ময়ান করুন। এভাবে তৈরি করুন। এবার ছোট ছোট গোল্লা করে মিষ্টি শেপ করে একটা প্লেটে রাখুন। চুলায় পাত্র চাপিয়ে এতে তেল দিয়ে গরম করুন ভাজার জন্য।
মানে রাখবেন, মিষ্টি অবশ্যই অল্প আঁচে ভাজবেন, না হলে কাঁচা থেকে যাবে। ভেতরে মিষ্টি ভাজাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা পুড়ে যাবে না, আবার সবটাই ভাজা হয়ে যাবে। অন্য একটা হাঁড়িতে এক কাপ চিনি আর দুই কাপ পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। এখন ভাজা মিষ্টিগুলো তার মধ্যে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর মিষ্টিগুলো উঠিয়ে অন্য একটা বাটিতে রাখুন।
দারুণ তো !! ট্রাই করে দেখা যেতে পারে দিদি ভাই।
ওহোহো। রেডিমেড রান্নার মতো ঘরোয়া খানায় এই স্বাদ যুক্ত হলে মন্দ কি। আছি।
রেসিপি দিয়ে দিলাম মুরুব্বীনির হাতে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
শাহি জর্দার রেসিপি কপি করে নিলাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রেসিপি পড়লে মাথা ঘুরায়। প্লেটে পেলে বেশী খুশি হই।
বেশ। মনে রেখে দিলাম।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো বোন।
ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি। আজ এক বিয়ের দাওয়াতেে খেলাম। সত্যিই অসাধারণ স্বাদ।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
খুব ই মজার
মনের মতো পোস্ট। ডাইরেক্ট প্রিয়তে। যদিও রান্না কিভাবে করবো সেটার কিছুই জানি না তবে ট্রাই অবশ্যই করতে হবে। বহুদিন ভূড়িভোজ হয় না
এরকম দুয়েকটা রেসিপির পোস্টের দাবী জানিয়ে গেলাম
আমার তো এখনি খেতে ইচ্ছে করছে।