তুমি অন্য কারুর কবিতা
একদিন মাঘের ভোরে তোমাকে ছুঁতে গিয়ে
উদোম শরীরে হিমেল হাওয়ার প্রচ্ছদ
এঁকে দিয়েছিলাম!
জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে যখন ভোর আসে আমার ঘরে,
শালিকের ঠোঁটে রংচটা আমাদের স্বপ্নটা পাট কড়ি
অনলে শীতের উম দেয় পৌরাণিক মঠে!
একদিন খুউব ভোরে তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসেছিলাম,
শ খানেক পৃষ্ঠা নষ্ট করেও লিখতে পারিনি একটিও কবিতা!
তোমার অভূদ্য মনের নির্জলা পাঠ আমি করতে পারিনি বলে আজো একটা কবিতাও লেখা হয়ে উঠলো না …!
আজো তোমাকে আমার বোধগম্য করতে পারলাম না!
তাই তো আমি অকবি, তুমি অন্য কোনো কবির কবিতা!
তুমি রোজই কারুর কবিতায় আসো নতুন সব রঙে,
শুধু আমিই আনতে পারি না তোমাকে কবিতায়!
একদিন খুব রাগ করে উঠে গিয়েছিলাম লেখার
টেবিল থেকে।
অনেক অভিমানে গুমরে কেঁদে ছিলাম নীলময়ী
নদীর চরে সারাটা দিন!
একদিন সারারাত জেগে ছিলাম তারাদের চেয়ে চেয়ে!
একদিন ফুলের বুকে ভোমর বসতে দেখে ভেবেছিলাম,
কবিতা আমাকে ধরা দিবে বসন্ত আসার আগেই —
মেঠো পথ গন্ধ বিহীন ফাল্গুনে চৈতির ঝাউবনে!
একদিন হঠাৎ করে খবর পেলাম তোমার হাত রক্তবর্ণ,
নতুন প্রচ্ছদে নতুন কারুর কবিতায় সেজেছে নিপুণ!
সেই দিন থেকে আমি কবিতা লিখেতে পারি,
সেই দিন থেকে কবিতাও আসে আমার কলমে,
সেই দিন থেকে আর কাঁদি না, কবিতা না হলে,
তবুও একটা দুঃখ আমার
এতদিনেও আমি তোমাকে নিয়ে একটি কবিতাও
লিখতে পারি নি!
২৯/১১/১৮
হতাশ হবার কিছু নেই প্রিয় কবি মি. সুজন হোসাইন। জীবনের প্রতিটি ন্যানো সেকেণ্ড একেকটি কবিতা। অথবা গদ্য। ভাবনা গুলোকে জমিয়ে রাখতে হবে নিজের জন্য অথবা পাঠকের জন্য। কেননা কবিতার প্রকাশ এককের নয়, সার্বজনীন।
কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয়,,,
কবিতা সুন্দর হয়েছে কবি সুজন ভাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয়
অনবদ্য কবিতা উপহার।
কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয়