ট্যাগ আর্কাইভঃ এলেবেলে

এলেবেলে-১১

সেদিন আপনার মুখে প্রশংসা শুনে আমার কি মনে হয়েছে জানেন !! ওটা আসলে আমার মুখোশ। আপনি মুখোশকেই আমি ভেবেছেন, ভাবছেন আপনি যাতে আমার প্রতি বিমুখ হোন তার চেষ্টা করছি।

সত্যি বলছি প্রায় সব মানুষেরই একটা মুখোশ থাকে। কেউ দেখায় বা কেউ দেখায় না। কেউ দেখতে পায় আবার কেউ পায় না। আবার অনেকে নিজেরাই জানেন না তিনি নিজে যে মুখোশ পরে আছেন। মুখোশ পরা মানুষকেই আমাদের ভালো লেগে যায়। অনেক সময় ভালোবেসেও ফেলি।

আর কেউ জানুক আর না জানুক আমি তো নিজে জানি আমি কি ?
“প্রতি মুহুর্তে আমরা ঠকছি, ঠকাচ্ছি। কেউ বা জেনে, কেউ বা না জেনেই।
আমিও মানুষ এবং অতি সাধারণ একজন মানুষ।”

এলেবেলে-১০

কিছু মানুষ আছেন যারা কথায় কথায় আমেরিকার আগ্রাসনের কথা বলেন। চীন, রাশিয়া যখন অন্য দেশকে নিজের দেশ বানিয়ে ফেলে বা অন্য দেশের সমুদ্র সীমাতে নদী ভরাটের মতো সমুদ্র ভরাট করে সামরিক স্থাপনা তৈরী করে তখন উনাদের কোন মন্তব্য শোনা যায় না।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সেই তথাকথিতরা আমেরিকা বা ইউরোপে সর্বশেষ গন্তব্য হিসাবে ই বেছে নেন। আমাদের অনেক বামপন্থী নেতাদের এখন আমেরিকা বা কানাডা থেকে পত্রিকায় কলাম লিখতে দেখা যায়।

“লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই লাগলে আমি নাই।”

এলেবেলে-৯

বাংলাদেশী এক ভদ্রমহিলা আমাকে Basil এর বীজ পাঠাতে বললেন আমি জোগাড় ও করলাম। উনি খুশিতে আটখানা হলেন। জানতে চাইলেন দাম কতো …
আমি দাম জানালাম …

খবর নেই …
আজ উনাকে বললাম দেখেন আমি আপনার সাথে ব্যবসা করতে চাইনি, ইচ্ছাও নেই। আমি বিনা খরচেই আপনার কাছে পাঠাতাম। আপনি একটা ম্যাসেজ তো দিতে পারতেন !!

উনি আমাকে হাইকোর্টের গল্প বললেন … আগামী বছর নাকি জাপান আসবেন।
আমি বললাম কি basil এর বীজ কিনতে নাকি ?
আমি উনাকে বললাম একটা কথা গোপনে বলে দেই basil হচ্ছে তুলসী পাতা।
উনি আবার আমাকে বললেন ওটা Holly basil.

কি করে বোঝাই সব ফুল তো আর পূজায় লাগে না।
ওমলেট এর গল্প মনে পড়ে যায়।

এলেবেলে-৭

দুই দিন আগে আমার এক বন্ধু আমার কাছে ৫ টি বইয়ের নাম জানতে চেয়েছিলেন “যে বই পড়ে আমার মনে হয়েছে অন্যেরও পড়া উচিত”।

আমি খুব ভাবনায় পড়ে গেলাম। আমি সব ধরনের বই পড়ি, পড়তে ভালোবাসি। পাঠ্য থেকে অপাঠ্য সব বই- ই। স্কুল জীবনে পাঠ্য বইয়ের ভিতরে লুকিয়ে অপাঠ্য বই পড়েছি। রোমেনা আফাজের “দস্যু বনহুর”। কাজী আনোয়ার হোসেন এর “মাসুদ রানা”। ইমদাদুল হক মিলন, মঈনুল আহসান সাবের, হাসনাত আব্দুল হাই, সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আবুল বাসার, বুদ্বদেব গুহ …। পড়েই চলেছি …।

সমরেশ মজুমদারের “বাঙ্গালীর নষ্টামী” বই এ কয়েকটি বইয়ের নাম উল্লেখ আছে, উনার মতে এই বই গুলোই বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লিখা। বঙ্কিমের কমলা কান্তের দপ্তর, রবীন্দ্রনাথের চতুরঙ্গ, শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত, তারাশঙ্করের হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, বিভূতিভূষণের আরণ্যক, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি, সমরেশ বসুর টানাপোড়েন, অদ্বৈত মল্লবর্মনের তিতাস একটি নদীর নাম, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পারাপার, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, প্রফুল্ল রায়ের কেয়াপাতার নৌকা, মুজতবা আলির দেশে বিদেশে, আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুনীল গাঙ্গুলির সেই সময়।

কোনো শিক্ষিত বাঙালির সঙ্গে আলাপ হলেই এই লিষ্টের একটি কপি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বলতাম, -দয়া করে এই কয়েকটা বই পড়ে ফেলুন, তামাম বাংলা সাহিত্য পড়তে হবে না, শুধু ওই কটি; না পড়লে আপনার সঙ্গে কথা বলতে আমার খুব লজ্জা করবে। কতটা কাজ হয়েছিল জানি না, তবে কেউ কেউ আমার মস্তিস্কের সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। যাঁদের তালিকা দিতাম তাঁরা কিন্তু আমাকে দেখলেই এড়িয়ে চলতেন।

– সমরেশ মজুমদারের “আকালচার” ( বাঙালির নষ্টামি)

সুতরাং আপনার সন্তানকে পড়তে বলুন। পাঠ্য থেকে অপাঠ্য সব। পাঠ্য – এর চেয়ে অপাঠ্যই কাজে লাগে বেশী, মনেও ধরে। পাঠ্য আর অপাঠ্য এটা কি ভাবে নির্ধারিত হয়। আমার পরিচিত কিছু মানুষ আছেন তাঁরা যখন অপাঠ্য বই পড়তে শুরু করেন তখন উনাদের কাছে সব লিখাই অসাধারন মনে হয়। উনাদের এই অনুভুতি খুব ভালো লাগে …

আবার এমন কাউকে দেখেছি যিনি পড়তে ভালোবাসেন না কারন তিনি মনে করেন “অনেক পড়ার সমস্যা হচ্ছে আমার আগে একথা কেউ লিখে ফেলেছে”। খুব মজার তাই না। অপাঠ্য বলে কোন বই আছে কিনা জানি না।

এলেবেলে-৬

আশির দশকে আমরা যখন কলেজে পড়ি তখন গ্রুপ থিয়েটারের জয় জয়কার। আমাদের শহরে একটা নাটকের গ্রুপ ছিলো “জোড়াতালি”। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় পথ নাটক দেখতে আমরা ভিড় করতাম শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শীতের কনকনে সন্ধ্যায় ঝালমুড়ি খেতে খেতে আমাদের নাটক দেখা হতো।

দলটি এখন আছে কিনা জানি না।
নাটক চলছে নাটক হচ্ছে …।
উৎসব করে যা হাতে তুলে দিয়েছেন তাতে “আঠা” দিয়ে ঢেকে দিবেন বলেছেন। যিনি ছবি দেখে অনুমোদন দিলেন তার কিছু হলো না যিনি এঁকেছেন তার নাকি চাকুরি চলে গেল। এই কারনেই ছাগল আম গাছে ঊঠে …

বাংলাদেশে কয়টা লোক অজ মানে ছাগল এই কথাটা জানে, এই আমিই তো জানতাম না (আমার লেখা পড়া ক্লাশ ফাইভ)। পরিবর্তন দরকার এখন থেকে ছাগলের মাংসের দোকানের সামনে লিখা থাকবে “এখানে অজের মাংস পাওয়া যায়”। অজ কে অজগর না ভাবলেই হয়। কি মজা তাই না।

পাগলে কিনা বলে,
অজ কিনা খায় …
সহজ সরল ভাষাতে বর্ণশিক্ষা হবে এটা হবে মুল লক্ষ্য। প্রচলিত শব্দ দিয়ে বর্ণপরিচয় হবে এটাই স্বাভাবিক। যারা এসব বই লিখেছেন, সম্পাদনা করেছেন উনাদের শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা আছে কিনা জানতে ইচ্ছা করছে।

…”জোড়াতালি” দিয়েই চলছে। আর কতদিন …।

এলেবেলে-৫

আমাদের গ্রামে কারো বাড়িতে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে ঠিক হলে বিয়ের অনুষ্ঠান কি ভাবে হবে, কতো জন লোক খাবে ? খাওয়ার কি কি আইটেম হবে ? সেসব নিয়ে গ্রামের মুরুব্বীদের মতামত নিতে হয় আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে “পানচ্ছল্লা”। এটার অনেক রকম ব্যাখা আছে। যেমন পান খেয়ে খেয়ে চ্ছলা (পরামর্শ)।

সত্যি কথা বলতে এর কোন গুরুত্বই নেই। তারপরও মুরুব্বীদের ডাকতে হবে উনাদের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে উনারা বিয়ে অনুষ্ঠান বয়কটও করতে পারেন। উনাদের পরামর্শ কোন কাজেই আসে না, আবার উনাদের পরামর্শ মতো অনুষ্ঠানও করে না কেউ।

এরকম অনেকে আমার কাছে মাঝে মাঝে পরামর্শ চান (আমি নিজেকে তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবি)। আমি পরামর্শও দেই! যদিও জানি তা কথার কথা। পরামর্শ দেওয়ার মতো কোন যোগ্যতাই আমার নেই কখনো ছিলোও না। বুঝতে পারি সিদ্ধান্তটা অনেক আগেই নেওয়া হয়ে গেছে।

বোকা সাজার মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ আছে …

এলেবেলে-৪

ট্রাম্প এর বিজয়ে অনেক মুনির মতবাদ শুনলাম দেখলাম পড়লাম। ট্রাম্প যে জিতবে তা অনেকের কাছেই অকল্পনীয় ছিলো। আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রাম্প এর পরিকল্পনা সবাইকে জানান দিতে পেড়েছে। হিলারীর প্রেসিডেন্ট হলে কি হবে তার কোন পরিকল্পনা কেউ জানেন কি ?

একটা সময় ছিলো যে সময় আমেরিকার জনগন ভাবতো “নেতার জীবন জাতির সম্পদ”। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আর সে কারনেই ট্রাম্প এর নারী কেলেঙ্কারির বিষয়কে সামনে তুলেও কোন লাভ হয় নি। আমি এই নারী কেলেঙ্কারির ব্যাপার টা অন্য ভাবে দেখেছি। তা হচ্ছে মিঃ ক্লিন্টনের নারী কেলেঙ্কারিকে ছাপিয়ে যাবার জন্যই তা করা হয়েছে। আমি নিজেও ধোঁয়া তুলসী পাতা নই এমনকি আপনিও এরকম কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হতে পারেন। আমি নিজে মনে করি ট্রাম্প আমেরিকার জনগনের মনে দাগ কাটাতে পেরেছেন।

হিলারীর পরাজয়ের জন্য আমি ওবামাকেও দায়ী মনে করি। যে পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন তা একবার ভেবে দেখুন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে একজন জাতীয়তাবাদী। তিনি যে ইমিগ্রেন্ট, অর্থনীতি এমনকি সামরিক বিষয়ে যে সব কথা বলছেন যে যাই বলুক আমেরিকা যুক্তরাষ্টের ব্যাপক মানুষকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। মেক্সিকো সীমান্তে আমেরিকার সাধারণ মানুষের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়মিত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। Donald Trump কেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তার জবাব ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহনের পর তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই আছে। দেখা যাক কি বলেছেন তিনি …

Politicians prospered – but the jobs left, and the factories closed.
……
We will no longer accept politicians who are all talk and no action – constantly complaining but never doing anything about it.

প্রচলিত রাজনীতিবিদদের প্রতি অনীহা-ই হচ্ছে ট্রাম্পের জয়ের মুল কারন। আমেরিকার মাত্র ৩৪%লোক মিডিয়াকে বিশ্বাস করেন ১৯৭৬ এ যা ছিলো ৭৩%।
নির্বাচনের আগে কোন জরিপেই ট্রাম্প হিলারীর তুলনায় এগিয়ে ছিলেন না। অর্থাৎ যে সব মিডিয়া এসব জরিপ চালিয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না।
আমেরিকার সংবিধান আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে “প্রেসিডেনসিয়াল আদেশ” প্রদান করার ক্ষমতা দিয়েছে। অবশ্য সে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কিছু নিয়মও বেঁধে দিয়েছে।

১। জনগনকে বাধ্য বা পালন করার কোন নির্দেশ দিতে পারেন না। সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
২। সংবিধানের পরিপন্থী কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না। (এই কারনেই ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের উপর প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়ে গেছে)।

৩। অর্থ ব্যয় হইবে এমন কোন নির্দেশ প্রদান করা যাবে না। (মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরীর ব্যয় ভার মেক্সিকোকে বহন করতে হবে, নির্বাচনী বক্তৃতায় ট্রাম্প বারবার এই কথা বলেছেন কারন এর সাথে অর্থ ব্যয়ের সম্পর্ক আছে)।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তার পুর্বসুরীর তুলনায় বেশী আদেশ প্রদান করেছেন? সংবাদ দেখে এমন মনে হলেও আসলে পরিসংখ্যান ভিন্ন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর বারাক ওবামা ২০ দিনে ২৯ টি প্রেসিডেন্টশিয়াল আদেশ দিয়েছেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ টি। এই হলো পরিসংখ্যান। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কি করবেন তার প্রতিশ্রুতি তিনি বারবার করেছেন নির্বাচনী বক্তৃতায়। সুতরাং নির্বাচিত হবার পর প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়িত্বও তাঁর উপর বর্তায়।

এলেবেলে-৩

গতরাতে তুষার পাত হলো তাই সকাল ছয়টার আগে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের তুষার পরিষ্কার করার আগে ভাবলাম ফেসবুকটা একবার দেখে নিই। প্রথমেই চোখ পড়লো এক আমেরিকা প্রবাসী বাঙালী ভদ্রলোকের পোষ্ট। দুটো ধর্মের নাম নিয়ে বুদ্ধিজীবী টাইপের পোষ্ট দিলেন এগুলো নাকি ধর্ম নয়। সকালেই মেজাজ খারাপ হলো।

আমি নিজে যে ধার্মিক তা নয় …
বরং উলটো। ধর্ম বিশ্বাস করলেও তার কতটুকুই বা আমরা পালন করি। তাই বলে অন্যের ধর্মকে হেয় করার অধিকার আমার নেই, নিজের ধর্মের তো নয়ই (আমি বলি ওটা পৈতৃক সম্পত্তি )।

আমদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন নিজে ধর্ম এর নিয়ম কানুন পালন করুন আর নাই করুন অন্যে পালন করছে কিনা তা নিয়ে চিন্তার অবকাশ নেই। আবার অন্যের ধর্ম হলে তো কথাই নেই তাকে কি ভাবে ছোট বা বিতর্কিত করা যায় তার নিরন্তর চেষ্টা। হাজার হাজার বছর ধরে যে বিশ্বাস মানুষ লালন এবং পালন করে আসছে তা সহজে ছোট করা যাবে না। আপন মহীমাতেই তা মহীয়ান হবে। একে বাঁচাতে কাউকে হত্যা করার দরকারও নেই। তা নিজেই নিজেকে বাঁচাতে পারবে । আর যদি না পারে কালের অতল গহব্বরে হারিয়ে যাবে ।

এলেবেলে-২

নিজের রান্নার উপর অরূচি আসাতে মাঝে মাঝে নয় প্রায়ই জাপানী খাবার খাই।
এই গল্প একজনের সাথে করার পর তিনি আমাকে বললেন
“তুমি খেতে পার জাপানী খাবার ? ওরা তো সিদ্ধ খাবার খায়।”

আমি বললাম “খেতে পারি মানে গত ২০ বছর ধরে খাচ্ছি। ওরা সিদ্ধ খাবার যেমন খায়। তেমন কাঁচা খাবারও খায়। যেমন কাঁচা মাছ। শুনে তিনি বললেন “ওমা কাঁচা মাছ খায় !!”
আমি বললাম ‘আমিও খাই। প্রথম খেতে পারতাম না এখন পারি। সব কিছুই অভ্যাস। আপনিও পারবেন। তবে আমার কথা শুনে আবার কাঁচা মাছ খাওয়া শুরু করবেন না যেন। মরে যাবার সম্ভাবনা আছে।

দেখা না দেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। চোখ আর কানের মধ্যে নাকি ছয় মাসের দূরুত্ব ! জাপানিরা সিদ্ধ খাবার খায়, বাঙ্গালীরা কাঁচা খায় …!

মেক্সিকোর একটা খাবার আছে যার নাম হচ্ছে …

paeria

এর উচ্চারন পাইয়েরিয়া। খুব সুস্বাদ।
এর নাম শুনে আপনার ডায়েরিয়ার কথা মনে হতে পারে।

এলেবেলে-১

নব্বইয়ের দশকে কিশোরগঞ্জে কর্মকালীন সময়ে আমার এক সহকারীর নাম ছিলো মাহতাব। বউকে খুব ভয় পেতো, বউয়ের নির্দেশ ছিলো সন্ধ্যা সাতটার পর ঘরের বাহিরে থাকা চলবে না। কিন্তু মাহতাব যদি আমার সাথে রাত দশটা পর্যন্তও থাকে বউ কিছু বলবে না। মাঝে মাঝে আমাকে এনিয়ে তাঁর বউয়ের কাছে সাক্ষী দিতে হতো (সব সময় যে আমার সাথে থাকতো তা নয় )।

যেখানে ছিলাম তার পাশের উপজেলায় শীতের রাত গুলোতে মাস ব্যাপী “আনন্দমেলা” হতো। বৃহস্পতি বার অফিস শেষ হলেই মাহতাব আমাকে নিয়ে মেলায় যেতো আসলে তার উদ্দেশ্য ছিলো হাউজি খেলা। আমি সহ গেলে তার বউয়ের কাছে সাত খুন মাফ। আমারও কিছু করার ছিলো না, যেতাম অন্তত সময় কাটানো তো যেতো।

হাউজি খেলাটা খুব মজার। লটারি করে এক একটা সংখ্যা বলা হতো তারপর নিজের কাছে থাকা শীটে তা মিলিয়ে নেওয়া হতো। এই নম্বর বলার স্টাইল টা খুবই মজার।

সব মনে নেই কিছু কিছু মনে পড়ছে … একুশ সংখ্যাটিকে বলা হতো
“দিবস টি মহান”
“টুয়েন্টি ওয়ান”
———
জীবনের কোন অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়।
জুয়া এবং গেম কোনটাই আমার কোন দিন ভালো লাগেনি।
কিশোর বয়সে ইমদাদুল হক মিলনের লেখা খুব পড়েছি। একটা শব্দ শিখেছিলাম উনার লেখা থেকে “মজুমা”। এটি আসলে তিনটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।