ট্যাগ আর্কাইভঃ বন্যা

আমি বড়লোক নই

লাবণ্য,
কেমন আছ। অনেক দিন লিখা হয় না। লিখার বিষয়ও নেই।

ব্যস্ত আছ তাই না। ব্যস্ত থাকা ভালো। আমিও খুব চেষ্টা করছি ব্যস্ত থাকতে, পারছি না। কাজ নেই তেমন। তাই হাতে অনেক অলস সময়।

আজ যে কারনে লিখতে বসা, অনেক দিন হয়ে গেল তুমি আমার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছিলে। ফেরত দেব দেব করে দেরি হয়ে গেল। আজ মনে হলো আর দেরি করা চলে না। তোমার কাছে পরিমাণটা অল্প হতে পারে, আমার কাছে অনেক। তা ছাড়া খরচ এর আয়োজনটা আমিই করতে বলেছিলাম। সে কারনে তার ভার বহন করাও আমারই দায়িত্ব। আমি তখনই ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম তুমি নিতে চাওনি।

ইদানিং মনে হলো “যে ঋণ শোধ করার ক্ষমতা যদি কারো থেকে থাকে, তা ঋণ হিসাবে রাখা ঠিক নয়”। বলতে পারো এতদিন পরে কেন সে বিষয়টা নিয়ে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কোনদিন না কোনদিন বলতেই হতো, তাছাড়া ইদানিং আমি …। তোমাকে বলেওছিলাম তোমার কাছে আমার কিছু ঋণ আছে একদিন শোধ করবো। হয়তো মনে নেই তোমার। আমার সব মনে থাকে সেটাই সমস্যা। ভালোমন্দ সবই। ভুলতে পারি না কোন কিছুই — চেষ্টা তো কম করছি না ভুলতে।

বলবে আমি বড়লোক হয়ে গেছি ? ঠিক তা নয় বড় আমি কখনোই হতে পারিনি, পারবোও না। তাই বলে নিজেকে ছোটলোকও ভাবিনা।

কথা দিচ্ছি এর পর যেদিন তুমি নিজ থেকে আয়োজন করবে সেদিন আমার কোন দ্বিধা থাকবে না। তুমি যদি আমার ঋণ পরিশোধ থেকে বঞ্চিত করো তো আমি নিজেই ছোট হয়ে রইবো নিজের কাছে, এমনকি তোমার কাছেও।

আশাকরি তুমি আমাকে ভুল বুঝবে না। মন খারাপ করো না, আমি আসলে এমনই। নিজেই নিজেকে বুঝতে পারি না।

ভালো থেকো শুধু নিজের জন্যে —
অমিত
০৯.০৩.২০১৭।
________________

(ভেবেছিলাম এই চিঠিটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবো না। সে কারনেই নিজের কাছেই রেখেছিলাম। তিন দিন আগে বন্যার কাছ থেকে যে জবাব এসেছে !! তারপর মনে হলো প্রকাশ করি… ০৬.০৪.২০১৭)