বাড়ির সবাই কাজে ব্যস্ত। ছোট বউয়ের খালি কোন কাজ নেই। এদিকে যায় সেদিকে যায়, কি করে ভেবে পায় না। আশে পাসের মানুষ ভাবে ঢঙী মাইয়ার ঢঙ দেখে আর বাঁচি না, ননদ শাশুড়ি খাইটা মরে, আর তিনি উলালে বেড়ান। কোন কাজ কাম না পেয়ে শেষ মেস ছোট বউ ভাঁড়ার ঘরে গিয়ে চাল আর ডাল বের করল। সেটা একসাথে মেশাল। এবার বসে বসে চাল ডাল আলাদা করতে লাগল। আশে পাসের মানুষ দেখল, বউটা কত কাজের।
সেই বউ এখন কোথায়?
বাংলাএকাডেমীতে।
ব্যাকরণ ভাষা তৈয়ার করে না। ভাষা ব্যকরণ তৈরি করে। ভাষার মধ্যে সহজাত যে শৃংখলা থাকে সেটার প্রাতিষ্ঠানিক বা লিখিত রূপ হল ব্যকরণ। তাই ব্যকরণ নিরপেক্ষ ও নৈর্ব্যত্তিক। কিন্তু ভাষার নিজস্ব গতি আছে। সে গতিপথ ভাষা নিজেই ঠিক করে নেয়। ব্যাকরণের কিংবা কোন একাডেমীর দেখানো পথে হাঁটা ভাষা পছন্দ করে না।
ভাষার উপর এ ধরনের আরোপিত বিষয় হল এক ধরনের ফ্যাসিবাদ। বিদেশী শব্দ উচ্চারণে দীর্ঘ ঈ দরকার হয় না এই ধরনের কথাবার্তা কূপমণ্ডূকতা প্রকাশ করে। সে কূপমণ্ডূকতা যখন আপনার আমার উপর চাপিয়ে দেখা হবে সেটা হল ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিপ্রকাশ।