ইদানিং খুব ভয় হয় আমার
কারণে – অকারণে
জুতো – সেলফোন – মানিব্যাগ হারানোর মতো ভয়
আজকাল বড্ড ভুলে যাচ্ছি গাণিতিক সূত্র
মানচিত্র ধরে আগাতে গেলে নানা প্রশ্নে জেরবার হই
হারিয়ে ফেলার তেত্রিশ বছরের এই জীবন
কতো কিছুই তো হারালাম
শৈশব হারালাম – বাবার কোল হারালাম
হারিয়ে ফেললাম কৈশোর
যৌবনও হারিয়ে ফেলার পথে
সাহসের অভাব কি? না!
এখনও প্রতি পদক্ষেপে আগুন জ্বলে
অপরাধের নৈশ বিদ্যালয়ে নিচ্ছি পাঠ
কাকভেজা সন্ধ্যায় নোট করি জীবনখাতা
অগোছালো চুল – না কাটা দাড়ি
জীবনের কোথাও ছেদ পড়েনি এতোটুকু
দাঁড়ি – কমা – সেমিকোলন কিছুই না
তবুও দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে অন্ধকার মাপি
অন্তিম ক্ষণ – একফালি আকাশে চাঁদ
হারিয়ে ফেলা এইসব নৈঃশব্দ স্বাক্ষী আমার
রাতের অগ্নিভস্মে পুড়ছে যাপনের সুখ
বাড়ছে বিশ্বাসঘাতক দুরারোগ্য অসুখ
ফিরে যাই বারবার —
আমার দুরন্ত শৈশব- কৈশোর
নতজানু বিশ্বাসে ভাসিয়ে দেই বেহুলা ভেলা
জীবন জড়িয়ে আছে চৈতালি হাওয়া
টুকরো টুকরো আলো – প্রকৃতি-প্রত্যয়
অগ্নি আখরে আঁকি রামধনু ঢেউ
পরিযায়ী পাখির মতো নিঝুম ভোর
কাঠ-ঠোকরার কান্না শুনেছ কী কেউ
তবুও বিশ্বাস বাড়ে
বোকা বাক্সে চেয়ে থাকা জীবন
রেডউড ফরেস্ট – ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে হামিংবার্ড
মুখোশে ঢেকে রাখা অসুস্থ দিন
কবি জানে রমণীর স্নানে বাড়ে ভালোবাসা
না আমি – না তুমি সবাই ভাসছি হাওয়ায়
আঙুলে আঙুলে বাড়ছে স্পর্শস্বাদ
জ্যোতিষশাস্ত্র আমরা সবাই মানি না
নিষিদ্ধ দিনের অভিষেকে বেদনা বাড়ে
জন্মদোষ কারো নেই – তখন পবিত্র সবাই
আহ্ শৈশব – আহা কৈশোর – ওহো্ যৌবন
মহত্ত্ব দেখালেই কী মেলে সব?
তোমার শয্যাসুখ তো নয় পৌরাণিক সত্তা
এসো অপ্রিয় সব নাম এখন মুখে নিবো
কালো মৃত্তিকায় করি সোনালি আশের চাষ
কে ডাকে এমন অশনি’র ডাক
যারা লিখেছিল এইসব অবৈধ সঙ্গমসঙ্গীত তাদের
বেলেল্লাপনায় রক্তমুখী সুখ হতে বঞ্চিত দম্পতি
শ্রীঘরে এবার অন্ধকার নেমে আসুক
নির্বাচনী ক্যানভাসে ভেসে উঠুক যৌবনসন্ধ্যার গান।