ঘোলাটে রাত্রি জুড়ে মলিন স্বপ্নগুলোর
স্পর্ধা বাড়ে নক্ষত্রের নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে,
স্মৃতির ভাঙা ষ্টেশনে শুকনো পাতার হাহাকারে।
ধীরে ধীরে ফিরে আসা আবার সেই হিমেল পবনের;
যার আলতো পরশে উদাস চোখের পাতায় ক্লান্তি নামে না।
নিরব আধারের মঞ্চে বিষণ্ণতার সুর বাঁজে,
সুখের সোনালী বীণায়।
হাজার তারার ভীড়ে কিছু তারা খুঁজে না পাওয়া;
ভাবনার ক্যানভাসের নদীটিতে হঠাৎ চর জেগে ওঠা,
হঠাৎ করে ভুলে যাওয়া কিছু চিরন্তন কথা।
অগ্রহায়ণের বেসুরো সঙ্গীতে হঠাৎ নিজেকে ফিরে পাওয়া।
অশান্ত মেঘের নিচে অস্বস্তির মাঝে কুয়াশা দেখা,
নীল নিসর্গে অম্লান কিছু ফেরারী গল্প অকস্মাৎ খুঁজে পাওয়া।
দেখা কিছু নষ্ট অভিলাষ।
কিছু ভুল করা ভুল যতন করে পরখ করা;
অতঃপর মুখ বুজে সহ্য করা- সে ভুলগুলোর হারিয়ে যাওয়া।
মিনতি ভরে দু’হাত জড়ো করে বালু নেয়া
স্মৃতি সৈকত থেকে আর দুরে তাকিয়ে দেখা-
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ; যার তীরে পৌছার স্বপ্ন প্রতিদিনি আসে।
তবুও নগ্ন পায়ে দৃষ্টি শূন্য চোখে প্রতিনিয়ত;
নীলিমায় গোধূলি হারায় যেখানে,
ঘরে ফেরা পাখির শেষ ডানা ঝাপটানো দেখা যায়।