ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির কথা বলা হলেও ভোটার কিন্তু ধর্মবিশ্বাসীরাই। সেই ভোটারদেরকে মই হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো।
.
মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা হয়। একই ধর্মনিরপেক্ষ সিস্টেমের অধীনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও ধর্মভিত্তিক দলগুলো খাঁটি মো’মেন বনে যায়, আর অন্যান্য দলগুলোকে বলা হয় কাফের।
.
তারা অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর মতই হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর করে তার নাম দেন জিহাদ, আর ভোটযুদ্ধের ব্যালট পেপারকে বলেন জান্নাতের টিকিট। অর্থাৎ যে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পরিত্যাগ করে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তা আর ব্যক্তিগত জীবনে থাকল না। রাষ্ট্র যখন ধর্মকে অবজ্ঞা করে দূরে সরিয়ে দিল, সেটাকে লুফে নিল ধর্মব্যবসায়ীরা। রাষ্ট্র যখন মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক খাতে কাজে লাগাল না, ধর্মব্যবসায়ীরা তখন সেটাকে নিজেদের স্বার্থোদ্ধারের মাধ্যম বানিয়ে নিল।
.
মানুষ ধর্মের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। মানুষের ঈমান এক বড় শক্তি। সেই মহাশক্তিটি উঠে গেল একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর হাতে। আজ পর্যন্ত ধর্মের নামে যত দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরেছে, সবকিছুর ঘুড়ির নাটাই হচ্ছে এই ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে ইত্তেজনার পারদ চড়ায়, ইসলাম গেল ইসলাম গেল জিগির তুলে মানুষকে উন্মাদনায় মাতায়, জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর করে, পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তবু রাষ্ট্র তাদেরকে তোয়াজ করে চলতে বাধ্য হয় কারণ ঐ ঈমান নামক মহাশক্তি তাদের হাতে।
.
তাহলে রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে পারল কি?
3 thoughts on “তাহলে রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে পারল কি?”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে পারেনি এটা সত্য।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় …………..
দেখলাম পড়লাম কিন্তু মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!