বিনুনী বাঁধা মন
নির্জন একাকিত্বে বানভাসা মেয়েগো! পালক কুড়োও
কুড়িয়ে নাও আগুনের ফুলকি,
উদ্দাম নৃত্যে দূর বেলাভূমিকে করো ধূসর,
ধুলোয় ঢেকে যাক শহরের পর শহর,
গোধূলি লগ্নে কুয়াশা তুমি হেঁটে যাও মাঠের আল বেয়ে।
ফেনা ওঠা বাতাসে দুলে দুলে যাও—
তোমায় রুখতে পারে কোন বীণবাদক?
ও মেয়ে, তোমার ঢেউ খেলানো শরীরের মাদকতা
ঢেকে দিক বৃদ্ধতর সমাজের চোখ।
লাবণ্য ঝরা সন্ধ্যায় চোখ রাখো বিনুনী বাঁধা মনে
যে মন তোমাতে বাঁধা পড়েছে শতাব্দী আগে।
যোগীর ভাঙ্গো মৌনতা, ভোগীকে করো ধ্যানী।
হালকা পায়ে নেচে যাও ছাগশিশুদের সাথে;
তোমার ছোঁয়ায় গান গেয়ে উঠুক বনের নীরবতা।
তির্যক সেই হাসিটি হাসো,
ছুঁড়ে দাও দৃষ্টির বাণ,
সেখানে মিলন ঘটে যাক তোমার, তার সাথে
যে নৈরাজ্যে নীল ভ্রমরের বাস।
“যোগীর ভাঙ্গো মৌনতা, ভোগীকে করো ধ্যানী।”
অসাধারণ এই লাইনটা আমার মনে এমন ভাবে গেঁথে আছে সহসা ভুলবে না। সুন্দর।
“যোগীর ভাঙ্গো মৌনতা, ভোগীকে করো ধ্যানী।”
ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখবার মতো পঙতি।
শুভেচ্ছা, কবি!