ফেরারী
আমি আর কোথাও নেই রে পলাশ
তবু এত খুঁজিস কেন আমায় বলতো?
পৌষ রাত্রির হাটবারে আগে খুব দেখতিস আমায়
সেইদিন থেকে এই আজকের দিন পর্যন্ত
আমি কিনতু কোথাওই ছিলাম না।
গরম আটা-চিনি টেনে টেনে শন পাপড়ি বানাতো মালতি
তার হাতের ফোস্কায় আমি ছিলাম
আমি ছিলাম গ্রামে-গঞ্জে আবার এই শহরেও
বিশাল সব দালান কোঠায় বন্দি থেকে থেকে
নিজের অস্তিত্ব ভুলতে বসেছি—আমাকে আর পাবি কোথায়?
প্রতি রাতে দেখি তোকে
হাতের বিড়ি থেকে সুখ টান নিতে নিতে তুই কবর খুঁড়িস
ভাবছিস পেয়ে যাবি এত সহজেই
আমি তো খুন করে এসেছি মা, ভাই আর তোকে—মালতিকেও
আবার চোখের জলে প্রতি দিন তোরাও মৃত্যুদন্ড দিয়েছিস আমায়।
এভাবে বন বাদাড় মাড়িয়ে খোঁজাখুঁজি বন্ধ কর
দেখতেই পাচ্ছিস চিঠির খাম ফেরত যায় বরাবরের মত
হীরের দুলের বিনিময়ে এই শহর আমায় কিনে নিয়েছিল
সিনেপ্লেক্সের বক্সে বসে তোদের জীবন দেখে কেঁদে ফেলি
ফিরতে আর পারি না, নিজেকে নিলামে তুললে কেউ ফিরতে পারেনা রে।
ঠিক ধরেছিস, ডানদিকের ঐ কবরটাতেই আমার বাস
যত ফুল এনেছিস রেখে যা এইখানেই
কোন অবসরে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুবাস নেব
ভুলে যাওয়া সেই স্কুল ঘরের স্মৃতিতে জুড়ে নেব তোকেও
মনে মনে ভাববো আমি তো আসলে কোথাও ছিলামই না।
লিখাটি পড়তে গিয়ে মনে হলো … কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম।
অসাধারণ এই লেখায় মুগ্ধতা ছাড়া আর থাকে কি!! নমষ্কার দিদিভাই।
আমি তো খুন করে এসেছি মা, ভাই আর তোকে—মালতিকেও
আবার চোখের জলে প্রতি দিন তোরাও মৃত্যুদন্ড দিয়েছিস আমায়।——চমৎকার তুবা আপু ——-অনেক ভাল লাগল
খুব ভাল।