এই পর্যন্ত
একটা চীৎকার ক্রমশ গলা ভেদ করে ঘূর্ণির বেগে ছোবল হেনে গেল বাতাসে। কচ্ছপের খোলের মতো শক্ত হয়ে আটকে থাকা কান্নাটাও উঠেছে দুলে। এইখানে আজকাল আর বৃষ্টি ঝরে না। মধু মাঝির যুবক ছেলের শরীরেও এখন আঠা বসেছে জব্বর। থেকে থেকেই ওখানে মাছিগুলো পা আটকে থমকে পড়ে। মহল্লার কিছু কচি মেয়ের পায়েও অমন আঠা দেখেছিলাম। যেখানেই যাও, পিঁপড়ের সারি পড়ে ঝাঁপিয়ে। একটা আস্ত আধুলির দর কত যে বেড়েছে! ও দিয়ে গয়না গড়েও শান্তি কই! ডাকাতের কাছে এক পয়সা আর গহনার ফারাক কি খুব বেশী? রাত বিরেতে যে মেয়ের ঘরে ডাকাত পড়ে, লোভীর মতো সে কি দেয় না উজাড় করে সব!
সাত কাহনে কাজ কি? ধর্মে সয় না ওসব। বরং বলি কসাইটুলীতে দেখা সেই পাঁঠাটির কথা, যার জবাই করা চোখে উন্মত্ত কসাই আরো কয়েক পোঁচ চাকু চালিয়েছিল। সত্যিকারের কষ্টের ঘ্রান সেদিন সেই ছোরায় পেয়েছিলাম। এখনো কসাইয়েরা সে কথা বলে গন্ধ শুঁকে শুঁকে বাতাসে চীৎকার খোঁজে; নিজেদের না পাঁঠার তা কে জানে!
অসাধারণ আর অনবদ্য শব্দ শিল্পের কারুকাজ। প্রণাম দিদি ভাই।
দারুণ রচনা
কসাইয়েরা পুরোপুরি নির্দয়
অদ্ভুত একটি জীবনের পরিচয়।
গদ্য কথার যৌক্তিকতা মুগ্ধ করলো বোন।
" বরং বলি কসাইটুলীতে দেখা সেই পাঁঠাটির কথা, যার জবাই করা চোখে উন্মত্ত কসাই আরো কয়েক পোঁচ চাকু চালিয়েছিল। সত্যিকারের কষ্টের ঘ্রান সেদিন সেই ছোরায় পেয়েছিলাম। এখনো কসাইয়েরা সে কথা বলে গন্ধ শুঁকে শুঁকে বাতাসে চীৎকার খোঁজে; নিজেদের না পাঁঠার তা কে জানে"!
আসলেই তো, "নিজেদের না পাঁঠার তা কে জানে"?
অসাধারণ জীবন পর্যবেক্ষণ!
* বিষয়টি পুরোটাই আমার রূপকাশ্রিত মনে হচ্ছে। রচনায় অনেক গভীর ভাব লুকিয়ে আছে…
শুভ কামনা নিরন্তর।
বেশ কষ্টদায়ক এক জীবনের প্রতিচ্ছবি আপনার কলমের তুলিতে সুনিপুঁণ হাতে এঁকেছেন!!!
বাহ ! খুব সুন্দর লেখা। নান্দনিক