বিষণ্নগীত
‘অ মাসী, বোষ্টুমীরা জানি ক্যান বৈষ্ণব?’
গায়ে লাগা সন্ধ্যার আঁচল টানতে টানতে মাসী
স্বল্পজ্ঞানে ঊপনিষদ থেকে কিছু ভ্রষ্ট উচ্চারণ উগরে দিতে থাকে,
‘তারপর ত্রিমূর্তির পূজা লইয়া ধরনীতে বিষ্ণু আইলেন
আর কইলেন, ঈশ্বর ঐ একজনাই……।‘
আমার কেমন শীত শীত লাগে
নিজের মনটাও সেই কবে এক গীতে বাঁধা পড়েছে
উদাস, উদাস রসভাষ্য, মহাকাব্য
ডাল-চালের ভিক্ষাণ্ণে ঝুলি বেঁধে
পাড়ি দিচ্ছি শৈশব থেকে চলে আসা এক জমানা।
আকাশ কোনো যোগশাস্ত্র মানে না
নিয়ম করে প্রতি সন্ধ্যায় ঠিকই জ্বলে ওঠে সাঁঝবাতি
মাসী বলে, ‘আ ম’লো জ্বালা—ঐ ছেঁড়ি দৌড়াইয়া যা
সন্ধ্যারে গোয়ালে বাইন্ধ্যা শবরীগুলা মাচাং এ তুইল্যা থো
কাইল পূজায় পেসাদ দিমুনে।‘
গুরুবিহীন আত্মা কোন জগতে যাবে কে জানে
মন যে সেই থেকে একতারা হাতে পথে পথে ঘোরে
মনের পূজাই আজো সমাপ্ত হলো না
ভবে তবে কেমন করে করি যাপন, রাত্রিবাস!
এই শহরের অলিগলি, ঝিলবিল হয়ে উঠছে বৈষ্ণব অমনিবাস।
অসাধারণ একটি কবিতা কবি শাকিলা তুবা।
ধন্যবাদ কবি সুমন আহমেদ।
'মনের পূজাই আজো সমাপ্ত হলো না
ভবে তবে কেমন করে করি যাপন, রাত্রিবাস!
এই শহরের অলিগলি, ঝিলবিল হয়ে উঠছে বৈষ্ণব অমনিবাস।'
অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আজাদ ভাই।
অভূতপূর্ব কবিতা কবিবোন শাকিলা তুবা।
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
হৃদয় থেকে মুগ্ধতা রাখলাম প্রিয় কবি দি।
ধন্যবাদ কবি রিয়া রিয়া।
অসাধারণ কবিতা পড়লাম।
ধন্যবাদ সাজিয়া আফরিন।
কবিতাটা পড়তে গিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। অসাধারণ হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।