দেনা-পাওনার ঘাট
– যাযাবর জীবন
সাধ ও সাধ্যের ফারাক অনেক
ফারাক চাওয়া ও পাওয়ার মাঝে
দেয়ার কি কোন সীমা আছে?
জল ঢেলে মরুভূমির তৃষ্ণা মিটিয়েছিল কে কবে?
তবুও সাধ্য অনুযায়ী সাধের সমন্বয় করে যাই
দিনরাত এক করে
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
গতর খেঁটে ও মাথা বেঁচে
মানুষ ও অমানুষ হয়ে
শুধু প্রিয় মুখগুলোর ঠোঁটে হাসি দেখব বলে;
পেটে আর কতটুকু ধরে? চোখের ক্ষুধা মিটেছিল কার কবে?
একসময় পাহাড়-প্রমাণ চাহিদার চাপে ডুবে যাব অন্ধকার অথৈ তলে
খুব প্রিয় মুখগুলোর গোমরা মুখে, জানি সেদিনও আক্ষেপ রবে
শালার বাপটা,
অসভ্য ভাইটা,
দায়িত্বজ্ঞানহীন ছেলেটা
টেঁসে গেল,
কিছুই না করে
কিছুই না দিয়ে;
স্বার্থ ছাড়া কেই বা দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলে?
দেনা পাওনার জীবন ঘাটে।
আপনার লিখার বাস্তবতা এবং বোধনের যে এই গভীরতা …
আমার পরিচিত অনেক কবিজনের মধ্যেই আমি তার অভাব অনুভব করি।