ক্ষুধা জানান দিয়েছিলাম চিৎকার করে কেঁদে

এই যে আমাদের এত এত আছে!
তবুও চাহিদার কি শেষ আছে?
কি হবে, এত এত দিয়ে?
কে ভাবে?

পৃথিবীতে এসেছিলাম ভুখা পেটে,
ক্ষুধা জানান দিয়েছিলাম চিৎকার করে কেঁদে
এখন পেটে ভাত তো আছে!
এটাই বা কম কিসে?
শোকর করি কি? ওপরওয়ালার কাছে;

যখন এসেছিলাম, উলঙ্গ ছিলাম
কাপড়ের কোনো বালাই ছিলো কি?
না কি বুঝতাম কাপড় কাকে বলে?
এখন গায়ে পরনের কাপড়টা তো আছে!
এটাই বা কম কিসে?
শোকর করি কি? ওপরওয়ালার কাছে;

যখন পৃথিবীতে এসেছিলাম বাসস্থানের চিন্তা ছিলো কি?
না কি বুঝতাম বাসস্থান কাকে বলে?
মায়ের বুক’কে মাথাগোঁজার আশ্রয় বানিয়েছিলাম,
এখন মাথার ওপর একটা ছাঁদ তো আছে!
এটাই বা কম কিসে?
শোকর করি কি? ওপরওয়ালার কাছে;

না
আদতে করি না,
এই যে এত এত আছে!
তবুও মন ভরে না;

চাই
চাই
আরও চাই,
পেটে জায়গা নাই
তবুও টেবিল ভরা খাবার না দেখলে মন ভরে না;
আলমিরাতে জায়গা ধরে না
তবুও কাপড় দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে;
মাথা গোঁজার জন্য একটি বাড়ি হলেই চলে
তবুও একটির পর একটি অট্টালিকার সাধ মনের ভেতরে;

এই যে
এত এত খাবার
এত এত কাপড়
এত এত সম্পত্তি,
কোথায় নিয়ে যাব?
কার তরে?

আচ্ছা!
মৃত্যুর পর কি ক্ষুধা লাগে?
তাহলে ফ্রিজ ভরা এত খাবার কে খাবে?

আমার আলমারি ভরা এত এত রংবেরঙের কাপড়!
কেন আমায় মাত্র তিন টুকরো সাদা কাপড় পড়িয়ে শুইয়ে দিবে?

কেনই বা আমায় শুইয়ে দিতে হবে সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে?
একটু কি জায়গা হবে না আমার, আমারই বানানো এত এত ঐ বিলাসবহুল বাড়িঘরে?

কে জবাব দেবে?

আচ্ছা!
বলতে পার, মৃত্যু কবে হবে?

ইশশ!
কি ভালোই না হতো, যাবার সময়টা আগে থেকে জানা থাকলে!

2 thoughts on “ক্ষুধা জানান দিয়েছিলাম চিৎকার করে কেঁদে

  1. বহুকাল পর যাযাবর জীবনের কবিতা শব্দনীড়ের পাতায় ভেসে উঠায় ভীষণ খুশি হলাম। মুগ্ধপাঠে অভিনন্দন শুভেচ্ছা প্রিয় কবিবরেষু। নিরাপদে থাকবেন এই প্রত্যাশা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।