তুই ঘর বানাস
দেয়াল তুলে তুলে
আমি দেয়াল ভাঙি
পৃথিবী দেখব বলে;
কিছু ফারাক তো আছেই আমাদের চিন্তা চেতনায়!
তোর জোড়া দেওয়ার
আমার ভাঙার;
তুই স্বপ্ন জোড়া দিয়ে দিয়ে ঘুমের দেশে
আমি রাত দেখব বলে নির্ঘুম চোখে
ঘুম বলতে তোর বিছানা
বিছানা বুঝতে চাদরের যতদূর তোর হাত যায়,
আমি বিছানা বুঝি সবুজের মাঝে শুয়ে থাকা
ধানের ক্ষেত
ঘাসের মাঠ
দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর,
সবুজ তোর কাছে শুধুমাত্র একটি রঙ;
ফারাক তো কিছু আছেই, তোর আর আমার
আমাদের চিন্তা চেতনার;
নীল বলতে তুই আকাশ বুঝিস
একটি মাত্র একক,
আকাশ বলতে আমি অসীম বুঝি
যার মাঝে মেঘের ভেলা
কখনো সাদা কখনো মন খারাপে কালো
যেন এই বুঝি কেঁদে দিলো
কখনো হালকা কখনো ভারী বাতাসে মেঘগুলো কেমন এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে চেয়ে দেখেছিস?
কিভাবে দেখবি বল? তুই তো আকাশ বলতেই নীল বুঝিস,
অথচ তোর নীল আকাশটাকে আমি ভোরের আলোয় ধুসর দেখি
আর এক এক সন্ধ্যায় এক এক রকম লাল,
আচ্ছা! বৃষ্টির ফাঁকে আকাশে সূর্যের উঁকি দেখেছিস?
বৃষ্টির ফোঁটায় রংধনু?
তুই তো শুধুই নীল আকাশ নিয়ে পড়ে আছিস, একটি মাত্র এককে,
আমি আকাশ দেখি ধুসর, নীল, লাল আর রংধনুর পরতে পরতে,
আচ্ছা! রংধনু পাহাড় দেখেছিস কখনো?
ফারাক বিস্তর তোর আর আমার
ফারাক রঙ চেনার
আর ফারাক আমাদের চিন্তা চেতনার;
রাত মানেই তোর চোখে ঘুম
রাত মানেই তোর কাছে কালো;
অথচ রাতকে আমি দেখি চাঁদে, দেখি তারার মেলায়
জোনাক দেখেছিস কখনো?
গাছে গাছে, ঘাসে ঘাসে! মাটিতে যেন সহস্র তারা ফুটে আছে
মেঘলা রাতের ধুসর রঙের সাথে তুলনা হয় শুধুমাত্র মনখারাপের
তোর তো মন খারাপ হয় না! বুঝবি কি করে?
চাঁদ দেখেছিস কখনো?
এক এক রাতে চাঁদের এক এক রকম সৌন্দর্য
আমি এক এক রাতে গায়ে মাখি এক এক রকম জ্যোৎস্নালো;
ফারাক তো কিছু আছেই! চিন্তা চেতনায়
তোর আর আমার মাঝে;
তুই ঘর সাজাস
দেয়ালগুলো রাঙিয়ে নানা রঙে
আমি সাদাকালো চোখে পৃথিবী দেখি
দেয়ালগুলো ভেঙে ভেঙে।
এক এক রাতে চাঁদের এক এক রকম সৌন্দর্য
আমি এক এক রাতে গায়ে মাখি এক এক রকম জ্যোৎস্নালো;
ফারাক তো কিছু আছেই! চিন্তা চেতনায়
তোর আর আমার মাঝে;
অদ্ভুত আপনার কবিতা। আর আর কবিতার ভাবনা যাযাবর জীবন ভাই। শুভেচ্ছা।
এই প্রশ্ন করবো না যে, আপনি এমন সুন্দর কিভাবে লেখেন জীবন বাবু।
বিষ্ময় নিয়ে কবিতাটি পড়লাম বস্ যাযাবর জীবন।
কবিতা নয় যেন কথোপকথন।