তছরূপ

আমি যে লিখতেই পারি না এই চাপা সত্যে আরও তিনমুঠ
মাটি ছড়ানোর জন্যে আমি লিখি
আমার এলেম নেই কাউকে কিছু আটকে রাখার
সেই ঢেউ বুঝে আমি একা-শিলা ভেসে যাই
প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণ আসলে মানুষ এই গিজগিজ চেতনাসংখ্যা
নোটবুকে পেয়ে আমার চূড়ান্ত ভয় করে
উদ্ভিদ চুম্বন পারে — অভিজ্ঞতা-শেষে আমার যৌনতা
বাগানে বাগানে প্রসারিত

আমি আর শৈশবে ফিরবো না এই ডাঁসামিথ্যে
দাঁতে কামড়ে ছুটতে বেরিয়েছি
আমার মৃত্যু হবে কি হবে না সেই সন্দেহ-অভাজন —
মাথার পেছনে দু’হাত — আমাকে একটা চিন্তাশীল পোজে রেখে দেয়
আর শেষে আজকের সাঁঝ যে তিনবছর আগের
সায়ং থেকে টুকে মেরে দেওয়া, সেই তছরূপ হাতেনাতে ধরবো বলে
আমি ভাই তেতলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপিয়ে দিলাম।

2 thoughts on “তছরূপ

  1. লিখাটিকে নিজের মতো করে এগিয়ে নিয়েছেন।
    এই জাতীয় লিখায় পাঠক স্বয়ং লিখকের স্থানে বসে নিজেকে ভাবতে পারেন।

    শুভ সকাল প্রিয় চন্দন দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।