এ.এস.পি (সার্কেল) এর অফিসের গেট থেকে পুলিশের জিপটি বের হয়ে একটা ইউ-টার্ণ নেয়। সোজা হাইওয়েতে চলে আসে। দুরন্ত গতিতে সামনে এগিয়ে চলে ও.সি মনোয়ারকে বহন করা এই জিপটি। ড্রাইভারের পাশের সিটে বসা মনোয়ার গম্ভীর। কিছুক্ষণ আগের সংক্ষিপ্ত আলোচনার জাবর কাটছে সে।
এ.এস.পি সালাহউদ্দিন ওদের দু’জনের মাঝে লিয়াজো বজায় রাখবে আই.জি.পি’র এমন নির্দেশে কিছুক্ষণ আগের এই মিটিং। মনোয়ারের আয়ত্তাধীন এলাকায় দু’টি খুন হয়েছে। পত্রিকাওয়ালারা তাদের গতানুগতিক কাটতি বজায় রাখতে বেশ সরগরম করে তুলেছে ঘটনা দু’টি নিয়ে। ওদেরও কোনো দোষ দেয় না সে। এটা-ই ওদের কাজ। এখন নিজের কাজটা বেশ ভালভাবেই করতে পারলে হয়।
এ.এস.পি (সার্কেল) বখতিয়ারের সাথে এবার দেখা হল অনেক দিন পর। এর আগে চাঞ্চল্যকর এক ট্রিপল-মার্ডারের কেসে দু’জন কাজ করেছিল। সেখানেই দু’জনের ভিতর সম্পর্কটা বৈরী ভাব নেয়। বখতিয়ার ওর সিনিয়র। সেভাবেই কাজটার ফলো-আপ তাঁর উপর ছিল। ফিল্ডের জন্য মনোয়ার। তবে নিজস্ব কিছু ধ্যানধারণা আছে বখতিয়ারের। সে অপরাধীদের বেলায় বড্ড নির্মম। বিশেষ করে খুন-ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজি’র আসামীদের প্রতি। এমন একজনের সাথে কাজ করাটা শান্ত এবং ধীরে চলো নীতির মনোয়ারের জন্য বেশ কষ্টকর বৈকি। সেই কেসে আসামিদের একজনকে ধরেছিল ওরা। তার স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে, অন্যদেরকে ধরার অভিযানে বের হয়েছিল ওদের টিম। খবরের সত্যতা সম্পর্কে বেশ নিশ্চিত হয়েই বের হয়েছিল। ইনফর্মাররা ও নিশ্চিত করেছিল। সহজেই তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। কিন্তু তাদেরকে সরাসরি থানা হাজতে না নিয়ে সেখানেই ইন্টারোগেট করে বখতিয়ার। এক পর্যায়ে বাকি দু’জনের একজন মারা যায়। বাঁধা দিয়েছিল মনোয়ার। কিন্তু বখতিয়ারের তখন হুঁশ ছিল না। শেষে বাধ্য হয়ে বাকি এজনকেও শেষ করে দিতে হয়। সাজানো হয় সেই চিরাচরিত গল্প-ক্রস ফায়ারের।
নিজের উর্ধতন কতৃপক্ষকে সব জানিয়েছিল মনোয়ার। কিন্তু ওনারা সব চেপে যেতে বলেন। বখতিয়ারের আগের রেকর্ড বিবেচনায় এনে তাকে শ্রেফ মৌখিক সতর্কবানী দিয়েই দায় সারা হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেক দিক বিবেচনায় আনতে হয় কতৃপক্ষকে। হেডকোয়ার্টার থেকে বের হবার সময় বখতিয়ার মনোয়ারকে পাস কাটানোর সময় শুধু এইটুকু বলেছিল, ‘ভুলব না আমি।‘ উত্তরে মৃদু হেসে জানিয়েছিল মনোয়ার, ‘উইথ প্লেজার।‘ সেই-ই ছিল সম্পর্কের টানাপোড়ন ওদের দু’জনের।
আজ এ.এস.পি সালাহউদ্দিনের মধ্যস্থতায় এই ডাবল মার্ডারকে ঘিরে, ওদের দু’জনের ভিতর এক নিরব সমঝোতা হয়েছে। সেখানে মনের সায় যতটুকু-ই থাকুক না কেন, দায়িত্ব সামনে আসায় দু’জনেই অতীত ভুলে যেতে সম্মত হয়েছে। নিজের মনে হেসে ভাবে মনোয়ার, ‘আসলেই কি তাই?’
মডেল থানার প্রবেশ দ্বার দিয়ে পুলিশ জিপটি প্রবেশ করে। গেটের রক্ষী কনস্টেবলের এটেনশন হওয়াটা দেখেন এক পলক। গাড়ি থামতেই নিজে দরজা খুকে বের হন ও.সি মনোয়ার। সোজা নিজের রুমে ঢুকে যান। যেতে যেতে সামনে ডিউটি অফিসারকে পেয়ে, এ.এস.আই হারুনকে তাঁর কাছে পাঠাতে বলেন।
বয় চা’ নিয়ে আসে। সাথে গরম নিমকি। প্রিয় এই খাবার কেন জানি জিভে লালা ঝরায় না আজ। মনের ভিতরে কোথায় যেন কিছু একটা কুরে কুরে খাচ্ছে অনুভব করেন। অবশ্য সব সময় নতুন এসাইনমেন্ট পেলে এমনই অনুভব করেন তিনি।
এ.এস.আই হারুন আসেন। সামনের চেয়ারে তাকে বসতে বলেন মনোয়ার। কিছুক্ষন নীরবে অধস্তনের দিকে চেয়ে থাকেন। টেবিলের উপর রাখা ফাইল দু’টির দিকে এবার নজর পড়ে। হারুন সাথে নিয়ে এসেছেন। নিমকির প্লেটটি ঠেলে হারুনের দিকে বাড়িয়ে দেন। হেসে মৃদু মাথা নেড়ে সবিনয়ে প্রত্যাখান করে সে। খেয়াল করেন না মনোয়ার। ততক্ষণে একটা ফাইল হাতে নিয়ে তাতে নিমগ্ন হন। হারুন নীরবে উঠে চলে যায়। বসের স্বভাব ভালই জানা তাঁর। এখন আর ফাইল থেকে উঠবেন না।
সিরাজ আহমেদ। একজন ব্যবসায়ী। আবাসিকের তিন নাম্বার রোডের টপ ফ্লোরের দু’টি ফ্ল্যাট নিয়ে বাস করছেন তিনি অনেক বছর ধরে। সুদর্শণ। এক ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর সংসার। বন্ধু-বান্ধব এবং শুভানুধ্যায়ীর অভাব নেই। পুলিশের ব্যাড-বুকে কোনো নাম নেই। চরিত্রেও নেই কোনো কালিমা। নিজের অফিসেই বেশীর ভাগ সময় কাটাতেন। নিচের ফ্ল্যাটে বাসা। বাইরের লোকজন এলে সবাই অফিসে যেত। বাসায় পরিবারের একান্ত সদস্য ছাড়া কারও পক্ষে কখনো যাওয়া সম্ভব ছিল না।
এমন একজন মানূষ-নির্বিরোধী মানুষ; কেউ তাকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করবে? হত্যার মোটিভ কি? আগের মার্ডারের সাথে লিংকটা কোথায়? এটা ভাবনাতে আসতেই টেবিলের উপর রাখা অপর ফাইলটিকে হাতে নেন। ওটার জায়গা দখল করে আগেরটি।
ফরিদ আলী। বয়স ৪২ বছর (আনুমানিক)। স্বাস্থ্যবান। পেটা শরীর। চিবুকের নিচে কাঁটা দাগ আছে। শ্যামলা। সুদর্শণ না হলেও কদাকার ও নয়। এলাকার স্থানীয়। সরকারি দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। লেখাপড়া কলেজের গন্ডি পার হয়ে আর করেনি। সম্পদশালী। স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাব রাখতেন। থানার ডাটাবেজে মাদকের সাথে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। শেষ সারির একজন ড্রাগ-ডিলার। লোকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতো।
এই ফরিদ আলী এবং সিরাজ আহমেদ- এদের দু’জনের একে অপরের সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ-কোনও ধরণের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দু’জনের ব্যবহৃত মোবাইল সিমের আইটেমাইজড বিল ও চেক করা হয়েছে। সেখানে ও কোনো সূত্র নাই। কারও মোবাইলে কখনো দু’জনের কেউ-ই ফোন করেন নাই। কোনো তৃতীয় পক্ষের মোবাইল ও ওদের দু’জনের মোবাইলের লিস্টে নাই।
তবে কেন?
‘সেটা-ই তোমাকে বের করতে হবে বৎস্য!’ নিজের মনের থেকে উত্তর আসে। কিন্তু তাতে মনোয়ারের প্রশ্নের উত্তর মেলে না। আবারও ফাইল দু’টির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যান। তবে নতুন কিছু চোখে পড়ে না। সুন্দর করে এ.এস.আই হারুন তথ্যগুলি দিয়ে ফাইলটিকে সাজিয়েছে। নিজের অধস্তনের দক্ষতায় মুগ্ধ হব। তখনি নিমকির প্লেটের দিকে চোখ পড়ে। নেয়নি হারুন একটুও। নিজে একটিহাতে তুলে নেন। প্রিয় পরিচিত স্বাদে মন ভরে যায়। এবার অন্য এঙ্গেলে চিন্তা করবেন মনঃস্থির করেন। নিজের ফেলে রাখা নোটবুকে একটু ঝুঁকে কিছু লেখেন। সিরাজের ব্যবসার প্রকৃতি ও ধরণ সম্পর্কে আরও বিশদ ভাবে খোঁজ নিতে হবে। আর ড্রাগের সাথে সিরাজের কোনো লিংক আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।
সেদিন সিরাজের লাশটি বাথটাবে পড়ে আছে দেখতে পেয়েছিলেন। এবার যদিও রক্তাক্ত ছিল না। কিন্তু নৃশংসতার কোনো কমতি রাখেনি খুনি। পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টে খুনের কারণ সেই একই দেখানো হয়েছে। ওভারডোজ হেরোইনে মৃত্যু। বিষ মেশানো ছিল তাতে। আগের খুনের সাথে সাদৃস্য বলতে গেলে এটুকুই। তবে এবার খুনি নির্যাতন চালিয়েছে কারেন্টের শক দিয়ে। বাথ টাবের পানিতে ইলেক্ট্রিক আয়রণের তার ব্যবহার করেছে। প্লাগের সাথে সংযোগ দিয়ে পানিতে তারের ছেড়া প্রান্ত রেখে দিয়েছে খুনি। কিছু কি জানতে চেয়েছিল সে? কি জানতে এমন আগ্রহী হয়ে উঠেছিল সে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুবই জরুরী। এই খুনিকে যেভাবেই হোম থামাতে হবে তাতে। তৃতীয় কেউ খুন হয়ে যাবার আগেই। মনোয়ারের ইন্সটিংক্ট বলছে, আরো খুন হবে। এমন একটা ধারণা বেশ তীব্রভাবেই ওকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সেজন্যই দুশ্চিন্তা করছে সে। মন কখনো ওকে ভুল তথ্য দেয়নি। এবারও যেন ভুল না দেয়। এখন খুনিকে ধরার একমাত্র রাস্তা আরও একটি খুন। কিছু ভুল সে করবেই এটা নিশ্চিত। আর সেই ভুলের খেসারত দিবে ধরা পড়ে।
রুমানা আহমেদ। নিহত ব্যবসায়ির স্ত্রী। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যে রাতে হত্যাকান্ডটি হয়, সেদিন কাউকে ডিনারের জন্য ডেকেছিলেন সিরাজ। তবে লোকটিকে সে কিংবা বাসার পুরনো কাজের মেয়ে- কেউ-ই দেখতে পান নাই। খাবার সাজিয়ে লোকটি আসার আগেই কাজের মেয়ে বাসায় ফিরে এসেছে।
টেবিলে অভুক্ত খাবার পাওয়া গেছে। একটা হুইস্কির বোতল ও পাওয়া গেছে। টিচার’স নাম। বেশ দামী এই স্কচ হুইস্কিটি। বোতলের থেকে সামান্য খালি হয়েছে। একটা-ই পেগ তৈরি করা হয়েছিল। আর সেটাও সিরাজের জন্যই। ওয়াইন গ্লাসে সিরাজের হাতের ছাপই ছিল। সম্পর্ণ ফ্ল্যাটটিতে সিরাজ, বাসার কাজের মেয়ে ছাড়া আর কারও হাতের ছাপ পাওয়া যায় নাই! এটা-ই ফরেনসিক দলের কর্মকর্তাকে অবাক করেছিল। অন্তত খুনির কোনও কোনও না জায়গায় হাতের ছাপ থাকার কথা। কিন্তু নেই। একজন মানুষ আর একজন মানুষকে টর্চার করে করে মেরে ফেলল, অথচ সে তার কোনো চিহ্ন রেখে গেল না?
ফরেনসিক টিম আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছে। ডান হাতের তালুতে একটি চিহ্ন প্যেছেন তাঁরা। খুবই সুক্ষ্ণ একটি ছিদ্র। সূচের অগ্রভাগের আঘাতের চিহ্নের মত। আগের হত্যাকাণ্ডটিতে খুনি ঘাড়ের কাছে ডার্ট গান ব্যবহার করেছিল। নিডলে স্নায়কে বিবশ করে দেবার মত যথেষ্ট পরিমানে রাসায়নিক ছিল। এবারও খুনি তাঁর শিকারকে নিস্তেজ করায় সেই একই কেমিক্যাল ব্যবহার করেছে। হয়ত তাঁর ডান হাতের আঙ্গুলের আঙ্গটি জাতীয় কিছুতে এই রাসায়নিক মেশানো ছিল। দু’জনে ‘হ্যান্ড-সেক’ করার সময়েই এই বিষ নিহতের শরীর ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রশ্ন জাগে, ড্রিংকটা সে নিয়েছিল কখন? খুনি আসার আগেই হয়ত। কারণ কেমিক্যাল শরীরে প্রবেশ করতেই একটা ঘোরের ভিতর চলে যাবে মানুষ। সব সেন্স ঠিক থাকবে; কিন্তু প্রতিরোধের কোনো শক্তি থাকবে না। সিরাজের সাথেই এমন-ই হয়েছিল। আর খুনির ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যাপারটা? হয়ত খুনি গ্লাভস ব্যবহার করেছিল। পায়ে ছিল সফট কোনো জুতো।
একজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশের বিল্ডিঙ্গয়ের পাঁচ তলার নিঃসঙ্গ এক ব্যক্তি। দু’মাস হল বাসা ভাড়া নিয়েছেন। একা থাকতেন। সিরাজের ফ্ল্যাটে সহজে প্রবেশ করা কেবল তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল। দু’টো বিল্ডিং একই মালিকের। একটা সংযোগ ছিল এই পাঁচ তলাতেই। এক বিল্ডিং থেকে অপরটিতে যাবার। হয়ত এই লোকটিকেই সিরাজ সে রাতে ডিনারে ডেকেছিল?
তবে ওদের সন্দেহের কারণ, ঘটনার রাতের পর থেকে লোকটিকে আর পাওয়া যায় নাই। সে যেন একেবারে গায়েব হয়ে গেছে! তবে একজন মানুষের বিভিন্ন কাজ থাকতে পারে। এমন জরুরী কোনো কাজে হয়ত সে গেছে। দু’একদিনের ভিতরেই ফিরবে। তাই তাঁর সম্পর্কে কোনো ধারণা করাটা এইমুহুর্তে ঠিক হবে না। অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
বাড়িওয়ালা এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে যতটুকু তথ্য আদায় করা গেছে, তাদের সেই বর্ণনা শুনে পুলিশের স্কেচ শিল্পী ঐ লোকের স্কেচ তৈরী করেছে। সেটা এখন তাঁর সামনে। একজন পঞ্চান্ন কি ষাট বছরে বৃদ্ধ। চোখের মণি কালো। ফোলা গাল এবং সাদা চুলের একজন মানুষ। চুল পরচুলাও হতে পারে। আর গালে প্যাড লাগানো যেতে পারে। তবে চেহারায় বয়সের বলি রেখাটা করতে বেগ পেতে হবে। অসম্ভব যে তা ও না। কিন্তু তাতে করে তাকে দক্ষ একজন মেক-আপ ম্যানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এলাকার দারোয়ান এবং নাইট গার্ডদের সাথে কথা বলে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। লোকটির বেঢপ সাইজের একটা ভুড়িও ছিল। এত কিছু যদি সবই ফেইক হয়, তবে একজন চতুর এবং ধুরন্ধর খুনির পিছনে লেগেছেন তিনি। নিজের মনে এমন চিন্তা আসতেই কেন জানি ভাল লাগে ও.সি মনোয়ারের। চ্যালেঞ্জ ভালবাসে বলেই কী?
ফরিদ আলীর খুনির স্কেচ এবং সিরাজের সম্ভাব্য খুনির স্কেচ দু’টি পাশাপাশি রাখে। দীর্ঘক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মনোয়ার।কোনো ধরণের মিল খুঁজে পায় না। একটু নিরাশ হয় মনোয়ার। কেবল একটা-ই প্রশ্ন এখন ওর মনে জাগে, ‘এই মুহুর্তে ঠিক কি করছে খুনি?’
…
ঠিক সেই মুহুর্তে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভিতরে একজন যুবক নিজের মোবাইলে নেট চালনায় মগ্ন। নারিকেল ছোবড়ার মত তাঁর চুলের রঙ। কন্ডাক্টর টিকেটের জন্য আসতেই সে মৃদু হেসে নিজের টিকেটটি দেখায়। হাসির উত্তরে কন্ডাক্টরও হাসে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের মানুষের আচরণ ও কেন জানি পালটে যায়। নর্মাল বাসে ভিড়ে গাদাগাদি হয়ে নিত্য যাত্রী এবং কন্ডাক্টরের ভিতর বচসা চলে। আর এখানে এক সিট এক যাত্রী নীতিতে চলা বিলাসবহুল বাসে নেই কোনো হৈ হুল্লোড়। সুদর্শণ যুবকটি মাথা নিচু করে মোবাইলের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকে। মৃদু হাসি তাঁর অধর কোণে। বাস নিজের গতিতে রুট ধরে এগিয়ে চলে।
(ক্রমশঃ)
এই ধরনের গল্পে অপেক্ষা বেমানান! আর কর অপেক্ষা করা যায়!
ঘটনা প্রবাহ বেশ এগিয়ে চলেছে।
এই গল্পটির একদম শেষ পর্বে সকল জট খুলবে। তাই অপেক্ষা করতেই হচ্ছে খালিদ ভাই।
সাথে থাকার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।
অনেক ভালো থাকুন।

হ্যা, একথা ঠিক, সব গল্পের প্রতীক্ষার অবসান হয় শেষ পর্বে।
জি ভাই।
সহমতে থাকার শুভেচ্ছা।
দু:খিত আপাতত এই উপন্যাসটির সাথে থাকতে পারছি না। তবে প্রথম দিকের পর্বগুলি ভালো লেগেছিল। একদিন সময় নিয়ে বসব…
চলতে থাকুক। একটু পিছিয়ে গেলেও খুব শিঘ্র সাথে চলে আসব।
অনেক ধন্যবাদ স্যার।
জি, আপনার সময়মতো আপনি পড়ুন।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।
বেশ কিছু ক্যারেক্টার বেড়েছে লক্ষ্য করলাম। গল্পের শেষ পর্যন্ত সাথে আছি।
আরো অনেক ক্যারেক্টার আসবে। পুরা দেশকে পারলে নিয়ে আসি আমি
সাথে থাকার অফুরান শুভেচ্ছা ভাইয়া

অনেক ভালোবাসা।
হাহাহা। পুরো দেশ এসে পড়লে ভালোই হবে।
‘আগন্তুক` এর ক্যারেক্টারগুলো বেশ লাগছে! আগের পর্বগুলো পড়া হয় নি। ভীষণ মিস করেছি!
খুনি ধরা পড়ুক; আর আমরাও ‘ফেলুদা`র মতো গোয়েন্দা সাজি!
অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা মিতা। শুভ সকাল।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মিতা।
সাথে থাকার শুভেচ্ছা।
হ্যা, খুনী ধরা পড়ুক। কিন্তু গল্পের শেষে গিয়ে আপনার এই মনোভাব হয়তো থাকবে না, সে কাজ আমি করবো হয়তো।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।